শোয়েইনস্টাইগার-ইভোনোভিচের ৯ বছরের বিয়ে জীবনের ইতি
গ্র্যান্ড স্লামজয়ী টেনিস তারকা আনা ইভানোভিচ ও জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী তারকা বাস্তিয়ান শোয়েনস্টাইগার নয় বছরের বিবাহিত জীবনের পর আলাদা হয়ে গেছেন। ইভানোভিচের আইনজীবী এক বিবৃতিতে এই জুটির বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন। গোল ডটকম, ডেইলি মেইলের মতো গণমাধ্যম এই তথ্য জানিয়েছে।
নিজ নিজ ক্ষেত্রে সাফল্যের কারণে ইভানোভিচ এবং শোয়েনস্টাইগার ক্রীড়া জগতের অন্যতম আলোচিত দম্পতি ছিলেন। ২০১৪ সালে প্রথম দেখা হয়েছিল তাদের, তখন বায়ার্ন মিউনিখে খেলতেন শোয়েনস্টাইগার। পরের বছরই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেন এই জার্মান তারকা। আর ২০১৬ সালের জুলাই মাসে বিয়ে করেন এই দুজন।
২০০৮ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতেছিলেন ইভানোভিচ। একই বছরে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালও খেলেছিলেন এই তারকা। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে টেনিস থেকে অবসর নেন তিনি।
তারকা এই দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ছোট সন্তানের বয়স দুই বছরেরও কম। তাদের প্রথম দুই ছেলের নাম যথাক্রমে লুকা এবং লিওন। তবে তাদের তৃতীয় ছেলের নাম জনসমক্ষে নিশ্চিত করা হয়নি।
কয়েক মাস ধরেই ইভানোভিচ ও শোয়েনস্টাইগারের সম্পর্ক নিয়ে চলেছে জল্পনা-কল্পনা। ইভানোভিচের প্রতিনিধি ক্রিশ্চিয়ান শেরটজ ঘোষণা করেন যে ‘জোড়া লাগবে না এমন পার্থক্যের’ কারণে এই দম্পতি আলাদা হয়ে যাচ্ছেন।
মূলত, ভিন্ন ধরনের জীবনযাত্রার কারণেই আলাদা হতে হচ্ছে এই দম্পতিকে। বিভিন্ন ফুটবল ইভেন্টে ধারাভাষ্য দেওয়ার জন্য একেক দেশে যেতে হয় শোয়েনস্টাইগারকে। অন্যদিকে, নিজের জন্মস্থান সার্বিয়ায় বেশি সময় কাটে ইভানোভিচের।
এরই মাঝে শোয়েনস্টাইগারের সঙ্গে অন্য এক নারীর সম্পর্কে জড়ানোর খবরও উঠে আসে জার্মান গণমাধ্যমে। নতুন সেই গার্লফ্রেন্ডকে শোয়েনস্টাইগারকে চুমু দিয়েছেন, এমন তথ্যও প্রকাশ করা হয়েছে। বুলগেরিয়ান সেই নারীর নাম ‘সিলভা’ বলে উল্লেখ করেছে জার্মান গণমাধ্যম। একই স্কুলে পড়া তাদের সন্তানদের মাধ্যমে এই দুজনের মধ্যে পরিচয় বলে জানা গেছে।