ঢাকায় এসিসি সভা বর্জনের হুমকি ভারতসহ চার দেশের

স্পোর্টস ডেস্ক
১৯ জুলাই ২০২৫, ১৪:২৪
শেয়ার :
ঢাকায় এসিসি সভা বর্জনের হুমকি ভারতসহ চার দেশের

এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বার্ষিক সাধারণ সভা আগামী ২৪ জুলাই ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কারণে এ বৈঠকে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, বিসিসিআই ছাড়াও আরও তিনটি দেশের ক্রিকেট বোর্ড—শ্রীলংকা, ওমান ও আফগানিস্তান সভা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইন্ডিয়া টুডে সূত্রে জানা গেছে, বিসিসিআই ইতোমধ্যে এসিসি এবং বর্তমান চেয়ারম্যান ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান মোহসিন নাকভিকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের অনুপস্থিতির সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। সূত্রটি বলছে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক টানাপোড়েনের জেরেই ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য এই সভা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছে বিসিসিআই।

সভাস্থল নিয়ে আপত্তি জানালেও এসিসি চেয়ারম্যান মোহসিন নাকভি এখনো ঢাকাতেই বৈঠক আয়োজনের পক্ষে অনড়। ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ভেন্যু পরিবর্তনের অনুরোধ সত্ত্বেও বিসিসিআই কোনো প্রতিক্রিয়া পায়নি। বিসিসিআই মনে করছে, ঢাকায় সভা আয়োজনের মাধ্যমে ভারতকে চাপের মুখে ফেলার কৌশল নিচ্ছেন এসিসি প্রধান।

প্রসঙ্গত, এসিসির মোট সদস্য সংখ্যা ২৭। সংস্থার গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের অনুপস্থিতিতে কোনো সিদ্ধান্ত বৈধ হিসেবে গণ্য না-ও হতে পারে। ফলে আসন্ন এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়েই তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

এদিকে, ভারতের সংবাদমাধ্যম স্পোর্টস তক–এর প্রতিবেদনেও একই ধরনের তথ্য উঠে এসেছে। তাদের দাবি, ভেন্যু পরিবর্তন না হলে বিসিসিআই সভা বর্জন করবে—এমন হুঁশিয়ারি আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ ভারতের মাটিতে আয়োজনের কথা থাকলেও এই সভা ঘিরে সৃষ্ট উত্তেজনা টুর্নামেন্টের ভাগ্য অনিশ্চিত করে তুলেছে। বিকল্প ভেন্যু হিসেবে আরব আমিরাতের নাম আলোচনায় এলেও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

ভারতের বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সূত্রের ভাষ্য, ‘বৈঠকের ভেন্যু যদি ঢাকার পরিবর্তে অন্য কোথাও সরানো না হয়, তাহলে বিসিসিআই পুরো সভা বর্জন করবে। এসিসি চেয়ারম্যান ঢাকায় সভা আয়োজনের মাধ্যমে অহেতুক চাপ সৃষ্টি করছেন। আমরা স্পষ্টভাবে ভেন্যু পরিবর্তনের অনুরোধ করেছিলাম।’

তবে পাঁচ দিন বাকি থাকলেও এসিসির পক্ষ থেকে এখনো ভেন্যু পরিবর্তন সংক্রান্ত কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।