ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে ১০ বছর নিষিদ্ধ ‘আর্সেনাল’

স্পোর্টস ডেস্ক
১৭ জুলাই ২০২৫, ১৫:৪৪
শেয়ার :
ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে ১০ বছর নিষিদ্ধ ‘আর্সেনাল’

ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে কড়াকড়ি শাস্তি পেল মন্টেনেগ্রোর শীর্ষ লিগের ক্লাব এফকে আর্সেনাল তিভাত। ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা তদন্ত শেষে ক্লাবটিকে আগামী ১০ বছর ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে নিষিদ্ধ করেছে।

এর চেয়ে বড় শাস্তি এর আগে কেবল ২০১৭ সালে আলবেনিয়ার ক্লাব স্কেন্দেরবুর বিরুদ্ধে দিয়েছিল উয়েফা। তাদের এক যুগের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সেই ঘটনার পর এবার আর্সেনাল তিভাতের শাস্তিকেই অন্যতম কঠিন পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

ঘটনার সূত্রপাত ২০২৩ সালের জুলাইয়ে, কনফারেন্স লিগের বাছাই পর্বে আর্মেনিয়ার ক্লাব আলাশকের্টের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে। প্রথম লেগে ১-১ গোলে ড্র করার পর দ্বিতীয় লেগে নিজেদের মাঠে ৬-১ ব্যবধানে হারে আর্সেনাল তিভাত। এই ম্যাচকে ঘিরেই উঠে আসে পাতানো খেলার অভিযোগ।

পরবর্তীতে তদন্তে নামে উয়েফা এবং তদন্ত শেষে তাদের ডিসিপ্লিনারি কমিটি (সিইডিবি) শাস্তির ঘোষণা দেয়। ইউরোপিয়ান টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ক্লাবটিকে পাঁচ লাখ ইউরো জরিমানাও গুনতে হবে।

উয়েফার বিবৃতিতে জানানো হয়, আর্সেনাল তিভাত ইউরোপিয়ান শৃঙ্খলা বিধির ১১ নম্বর অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করেছে, যেখানে বলা হয়েছে ‘সাধারণ আদর্শিক আচরণ’ এবং ‘ম্যাচ ও প্রতিযোগিতার নৈতিকতা রক্ষা’র গুরুত্ব সম্পর্কে।

শুধু ক্লাব নয়, সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তিও শাস্তির আওতায় এসেছেন। খেলোয়াড় নিকোলা সেলেবিচ এবং ক্লাব কর্মকর্তা রানকো ক্রাগোভিচকে আজীবনের জন্য ফুটবল-সংশ্লিষ্ট যেকোনো কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এছাড়া আরও তিন খেলোয়াড়—চেটকো মানোজলোভিচ, দুসান পুলেতিচ ও রাদুলে জিভকোভিচ—প্রতিজনকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

উয়েফা জানিয়েছে, এই শাস্তির মেয়াদ ২০২৪-২৫ মৌসুম থেকে শুরু হয়ে ২০৩৪-৩৫ মৌসুম পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। পাশাপাশি ফিফাকে অনুরোধ করা হবে, যেন শাস্তির ব্যাপ্তি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাড়িয়ে দেওয়া হয়।

ঘটনার বিষয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স আর্সেনাল তিভাতের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা কোনো মন্তব্য করেনি। তবে উয়েফা এখনও জানায়নি যে ঠিক কীভাবে ম্যাচ পাতানো হয়েছিল বা এর পেছনে আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কি না।