উইন্ডিজের বিপর্যয়ের পর জরুরি সভায় লারা-রিচার্ডস-লয়েড

স্পোর্টস ডেস্ক
১৬ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫০
শেয়ার :
উইন্ডিজের বিপর্যয়ের পর জরুরি সভায় লারা-রিচার্ডস-লয়েড

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হারের পর বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট। দলের এমন বিব্রতকর পারফরম্যান্সের পর দ্রুত করণীয় নির্ধারণে জরুরি বৈঠক ডেকেছে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের তিন কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান—স্যার ক্লাইভ লয়েড, স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস এবং ব্রায়ান লারাকে।

দলের সাম্প্রতিক ব্যর্থতা বিশ্লেষণে ‘ক্রিকেট স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড অফিসিয়েটিং কমিটি’তে আরও যুক্ত হচ্ছেন তিন সাবেক ক্রিকেটার—শিবনারাইন চন্দরপল, ডেসমন্ড হেইন্স ও ইয়ান ব্র্যাডশ। এই যৌথ উদ্যোগে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ পথনকশা তৈরির চেষ্টা করা হবে।

টেস্ট সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পারফরম্যান্স ছিল চরম হতাশাজনক। প্রতিটি টেস্ট ম্যাচ তিন দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। সবচেয়ে ভেঙে পড়ার মতো দৃশ্য ছিল জ্যামাইকায় সিরিজের শেষ টেস্টে—মাত্র ২০৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১৪.৩ ওভারে মাত্র ২৭ রানেই অলআউট হয় রোস্টন চেইসের দল। এটি টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।

এই ইনিংসে সাতজন ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হন, যা টেস্ট ইতিহাসে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ সংখ্যক শূন্যের রেকর্ড। দলের প্রথম ছয় ব্যাটারের সম্মিলিত রান ছিল মাত্র ৬, এটিও বিশ্ব রেকর্ড হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়েছে।

সিডব্লিউআই সভাপতি ড. কিশোর শ্যালো এক বিবৃতিতে জানান, এই পরাজয় পুরো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট সম্প্রদায়ের জন্য গভীর আঘাতের। ‘প্রত্যেক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটপ্রেমীর মতো আমিও এই হার মেনে নিতে কষ্ট পাচ্ছি। অনেকেই এই ধাক্কার কারণে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন, খেলোয়াড়রাও এর ব্যতিক্রম নয়,’ বলেন শ্যালো।

তিনি আরও জানান, এই কঠিন সময়েই দল পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া জোরদার করতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের খেলোয়াড়দের প্রস্তুত করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে বোর্ড এবং সেই চেতনার পুনর্জাগরণে কাজ করছে, যা একসময় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ক্রিকেট দুনিয়ার শীর্ষে নিয়ে গিয়েছিল।

লারা, রিচার্ডস ও লয়েডের সঙ্গে এই আলোচনাকে তিনি ‘আনুষ্ঠানিক না হলেও গুরুত্বপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেন এবং জানান, এই কিংবদন্তিরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট উন্নয়নের আগামী ধাপে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকবেন।

টেস্ট সিরিজ শেষ হলেও মাঠে এখন বিশ্রামের সুযোগ নেই ক্যারিবিয়ানদের। সামনে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এরপর আগামী মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজ মাঠে সীমিত ওভারের সিরিজ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

সামনের এই চ্যালেঞ্জগুলো সামনে রেখেই জরুরি ভিত্তিতে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার রূপরেখা তৈরি করতে চাইছে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ।