ফাইনালে ধস, লাল কার্ড ও হাতাহাতি: বিতর্কের কেন্দ্রে এনরিকে

স্পোর্টস ডেস্ক
১৪ জুলাই ২০২৫, ১৮:৪৩
শেয়ার :
ফাইনালে ধস, লাল কার্ড ও হাতাহাতি: বিতর্কের কেন্দ্রে এনরিকে

চেলসির কাছে বিধ্বস্ত হয়ে শিরোপা হাতছাড়া—পিএসজির জন্য ব্যাপারটা ছিল অনেকটাই অপ্রত্যাশিত। ম্যাচ শেষে কিছু খেলোয়াড়ের উত্তেজিত হয়ে পড়াটা হয়তো স্বাভাবিক, কিন্তু পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে যখন প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে ধাক্কা দেন বলে অভিযোগ ওঠে, তখন তা নিয়ে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। যদিও এনরিকে দাবি করেছেন, তিনি আসলে খেলোয়াড়দের আলাদা করার চেষ্টা করছিলেন।

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগসহ ইতিহাসে প্রথমবার ট্রেবল জয়ী পিএসজিকে নিয়ে প্রত্যাশা ছিল আকাশছোঁয়া। ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় তাদের ফাইনালের ফেভারিটে পরিণত করেছিল। কিন্তু নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ৮২ হাজার দর্শকের সামনে রবিবারের ফাইনালে চেলসির বিপক্ষে ৩-০ গোলে পুরোপুরি আত্মসমর্পণ করে ফরাসি ক্লাবটি। সবগুলো গোলই আসে প্রথমার্ধে।

দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও ফিনিশিংয়ের অভাবে ফিরতে পারেনি পিএসজি। বরং শেষদিকে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট বাকি থাকতে চেলসির মার্ক কুকুরেইয়ার চুল টেনে ধরায় সরাসরি লাল কার্ড দেখেন পিএসজির মিডফিল্ডার জোয়াও নেভেস।

ম্যাচ শেষে হাতাহাতিতে জড়ান দুই দলের কয়েকজন খেলোয়াড়। এর মধ্যেই ক্যামেরাবন্দি হয় পিএসজি কোচ লুইস এনরিকের চেলসি ফরোয়ার্ড জোয়াও পেদ্রোকে ধাক্কা দেওয়ার দৃশ্য, যা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।

ঘটনার ব্যাখ্যায় এনরিকে বলেন, ‘এমন চাপ ও উত্তেজনাকর ম্যাচ শেষে আবেগ প্রকাশে সমস্যা নেই। সবার কাছেই এটা ছিল ভীষণ স্নায়ুচাপের। যা ঘটেছে, তা অবশ্যই কাঙ্ক্ষিত নয়, কিন্তু এমন পরিস্থিতি প্রায় অনিবার্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি চেলসি কোচ মারেস্কাকেও দেখেছি, তাকেও অন্যদের ঠেলে আলাদা করতে হয়েছে। আমিও সেটাই করছিলাম—খেলোয়াড়দের বিচ্ছিন্ন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা।’

তবে বিতর্কিত এই পরিণতির মাঝেও এনরিকে মনে করিয়ে দিলেন, ২০২৪-২৫ মৌসুমে পিএসজি কী দারুণ সফল ছিল। জানুয়ারি থেকে শুরু করে ফরাসি সুপার কাপ, লিগ আঁ, ফরাসি কাপ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ — একে একে সব ট্রফিই ঘরে তুলেছে তারা।