বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার পাওয়া অর্থের চেয়েও বেশি পেয়েছে ক্লাব বিশ্বকাপজয়ী চেলসি
উড়তে থাকা পিএসজিকে মাটিতে নামিয়ে এনেছে চেলসি। মৌসুম জুড়ে তেমন আলোচনায় না থাকা ইংলিশ এই ক্লাবটি ৩-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে সবশেষ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগসহ চারটি ট্রফিজয়ী দলকে। তাও ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালের মতো বড় আন্তর্জাতিক মঞ্চে।
৩২ দল নিয়ে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টের এই শিরোপা জিতে বড় অর্থ পুরস্কারও পেয়েছে চেলসি। এমনকি সেটা ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনার চেয়েও বেশি।
কাতার বিশ্বকাপ জিতে লিওনেল মেসিরা পেয়েছেন ৪ কোটি ২০ লাখ ডলার। সে সময়ে তখন সেটা ৪৪০ কোটি টাকার মতো। যদিও টাকার মানের কারণে এটা বর্তমানে ৫১০ কোটি ৬০ লাখ টাকার বেশি। সেখানে চেলসি পেয়েছে আরও অনেক বেশি।
ফিফা আগেই জানিয়েছিল, ক্লাব বিশ্বকাপের জন্য তারা দেবে ১ বিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। এই অঙ্ক থেকে চেলসি পেয়েছে ১১ কোটি ৩০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা। তার মানে, আর্জেন্টিনার ২০২২ সালের বিশ্বকাপে পাওয়া অর্থের দ্বিগুণেরও বেশি।
শুধু শিরোপা জয়ের প্রাইজমানি এই টাকা নয়। এর মধ্যে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণসহ নানা বিষয় জড়িত। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ বাবদ ২ কোটি ৮৩ লাখ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৪৪ কোটি টাকা পেয়েছে চেলসি। আর পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে ৮ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। এর মধ্যে ফাইনাল জেতায় ঢুকেছে প্রায় ৪ কোটি ডলার।
এদিকে, পিএসজি রানার্সআপ হয়েও ২০২২ সালের বিশ্বকাপজয়ীদের থেকে বেশি টাকা পেয়েছে। ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা পেয়েছে ১০ কোটি ৫৮ লাখ ডলার বা ১ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৮ কোটি ৯৭ লাখ ডলার বা ১ হাজার ৯১ কোটি টাকা পেয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ।