ভারতীয় ক্রিকেটার দয়ালের বিরুদ্ধে এবার ধর্ষণ মামলা
আরও বড় আইনি জটিলতায় জড়ালেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরের পেসার যশ দয়াল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছে গাজিয়াবাদ পুলিশ। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এর ৬৯ নম্বর ধারায় দোষী সাব্যস্ত হলে দয়ালকে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগকারী তরুণী খুব শিগগিরই ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নিজের বয়ান রেকর্ড করবেন এবং তার পরে তার শারীরিক পরীক্ষাও হবে। মামলায় তরুণী ইলেকট্রনিক প্রমাণসামগ্রী—হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, ভিডিও কলের স্ক্রিনশট ও ছবি—জমা দিয়েছেন। পুলিশ এখন সেগুলো যাচাই করছে।
তরুণীর দাবি, গত পাঁচ বছর ধরে যশ দয়ালের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। এই সময়ে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে নিগৃহীত হয়েছেন। এমনকি তার কাছ থেকে অর্থও নিয়েছেন দয়াল। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, দয়াল তাকে পরিবারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন এবং একরকম স্বামীর মতো ব্যবহার করতেন। তরুণী দয়ালের প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করে সম্পর্ক চালিয়ে গেলেও, পরে বুঝতে পারেন প্রতারণার শিকার হয়েছেন। প্রতিবাদ করলে নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়ে।
তরুণী অভিযোগ করেন, শুধু তার সঙ্গে নয়—দয়ালের আরও তিনজন নারীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল এবং তাদের সঙ্গেও একই ধরনের ব্যবহার করেছেন এই ক্রিকেটার। অভিযোগকারী বলেন, এই নারীরা পরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে তারা যে যন্ত্র বা ফোন ব্যবহার করেছেন, সেগুলোর মাধ্যমে দয়াল বিভিন্ন পণ্য কিনেছেন। সেইসব তথ্যও পুলিশের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
২০২০ সালে সামাজিক মাধ্যমে তাদের আলাপ হয়। তরুণী দাবি করেছেন, তিনি বহুবার দয়ালের বাড়িতেও গেছেন এবং ২০২২ সালের আইপিএল ফাইনাল ম্যাচও মাঠে বসে দেখেছেন দয়ালের সঙ্গে। কিন্তু সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার সময় দয়ালের পক্ষ থেকে শুরু হয় মানসিক চাপ ও হয়রানি।
তরুণী প্রথমে নারী হেল্পলাইন-এ ফোন করলেও সাড়া না মেলায় শেষ পর্যন্ত ২৮ জুন অনলাইনে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে অভিযোগ করেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর দফতর দ্রুত পদক্ষেপ নেয় এবং গাজিয়াবাদের সার্কেল অফিসারকে ২১ জুলাইয়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেয়।
এখন মামলাটি তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগকারিণী ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে বয়ান না দেওয়া পর্যন্ত দয়ালের বিরুদ্ধে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে, অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে যশ দয়ালকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে এবং হয়তো গ্রেপ্তারও হতে পারেন।