জোটার শেষকৃত্যে না গিয়ে কেন প্রমোদতরীতে রোনালদো?

স্পোর্টস ডেস্ক
০৮ জুলাই ২০২৫, ০৯:৪১
শেয়ার :
জোটার শেষকৃত্যে না গিয়ে কেন প্রমোদতরীতে রোনালদো?

দিয়োগো জোটার মৃত্যুর পর তার শেষকৃত্যে উপস্থিত না হয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তবে সেই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা ও সমর্থনে মুখ খুলেছেন তার বোন কাটিয়া, জানিয়েছেন—সবাই ব্যথা একভাবে বোঝে না।

গত সপ্তাহে স্পেনের উত্তরাঞ্চলে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান ২৮ বছর বয়সী দিয়োগো জোটা ও তার ভাই আন্দ্রে সিলভা (২৫)। দুর্ঘটনার মাত্র ১১ দিন আগেই জোটা বিয়ে করেছিলেন তার শৈশবের প্রেমিকা রুতে কারদোসোকে। তাদের রয়েছে তিন সন্তান—ডিনিস (৪), দুয়ার্তে (২) এবং মাত্র ৮ মাস বয়সী কন্যা মাফালদা।

শনিবার বিকেলে পর্তুগালের গনডোমারে অনুষ্ঠিত হয় জোটা ও তার ভাইয়ের শেষকৃত্য। উপস্থিত ছিলেন পর্তুগালের জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড়, যেমন বার্নার্দো সিলভা ও রুবেন নেভেস। তবে অধিনায়ক রোনালদো ছিলেন না।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘রেকর্ড’ জানায়, রোনালদো হয়তো নিজের ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডির কারণে—বিশেষ করে তার বাবা হোসে দিনিজ আভেইরোর মৃত্যু (২০০৫ সালে)—এই ধরনের অনুষ্ঠান থেকে দূরে থাকতে চেয়েছেন। রোনালদো মনে করেছিলেন, তার উপস্থিতি হয়তো মূল অনুষ্ঠানের গুরুত্বকে ছাপিয়ে যেতে পারে, যা তিনি চাননি।

রবিবার, শেষকৃত্যের একদিন পর, রোনালদোকে দেখা যায় স্পেনের মায়োর্কায় একটি প্রমোদতরীতে ছুটি কাটাতে, সঙ্গে ছিলেন তার সঙ্গী জর্জিনা রদ্রিগেজ। অনেকে আশা করেছিলেন তিনি গনডোমারে উড়ে যাবেন, কিন্তু তার পরিবর্তে তিনি নৌভ্রমণে ছিলেন বলে জানা যায়।

রোনালদোর অনুপস্থিতি নিয়ে কিছু সমালোচনা শুরু হলে তার বড় বোন কাটিয়া আভেইর সামাজিক মাধ্যমে তাকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানান। ইনস্টাগ্রামে তিনি লেখেন, ‘আমার বাবা যখন মারা যান, তখন কেবল কষ্টই নয়, আমাদের চারপাশে ক্যামেরা ও কৌতূহলী মানুষের ঢল সামলাতেও হয়েছিল। সে সময়ের তুলনায় এখন নজরদারি আরও বেশি। পুরো সময় চ্যাপেলে আটকে ছিলাম আমরা সন্তানরা, কেবল দাফনের সময়ই বের হতে পেরেছিলাম।’

তিনি লিখেন, ‘সে সময় অনেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় দলের কোচ (যেমন লুইস ফেলিপে স্কলারি) এসেছিলেন, কিন্তু আমি কাউকে মনে করতে পারছি না। তারা নিশ্চয়ই আমাকে অভিবাদন জানিয়েছিলেন, কিন্তু সেই কষ্টে আমি কিছুই বুঝতে পারিনি।’

‘আপনি কোনোদিন জানবেন না এই কষ্ট, পরিবার বা প্রকৃত সহানুভূতির মানে কী—যতক্ষণ না আপনি নিজে সেটা অনুভব করেন। কেউ যদি আমার ভাইয়ের কোনো কাজ নিয়ে সমালোচনার বার্তা পাঠায়, আমি সেটি একবারেই ব্লক করে দেব। সেই সুযোগ তারা দ্বিতীয়বার পাবে না।’

এই বার্তায় স্পষ্ট, পরিবার হিসেবে রোনালদোদের কাছে শোকের মুহূর্তে সম্মান, ব্যক্তিগত অনুভূতি এবং সংবেদনশীলতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।