নেতৃত্বের অভিষেকেই ট্রিপল সেঞ্চুরিতে মুল্ডারের অনন্য কীর্তি

স্পোর্টস ডেস্ক
০৭ জুলাই ২০২৫, ১৫:৫৬
শেয়ার :
নেতৃত্বের অভিষেকেই ট্রিপল সেঞ্চুরিতে মুল্ডারের অনন্য কীর্তি

বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে ব্যাট হাতে ইতিহাস গড়লেন উইয়ান মুল্ডার। নেতৃত্বের অভিষেকে হেলমেট খুলে ব্যাট উঁচিয়ে তার উদযাপনটি ছিল সাদামাটা, কিন্তু যে কীর্তির জন্ম দিলেন, তা টেস্ট ক্রিকেটের প্রায় দেড়শ বছরের ইতিহাসেও একেবারে অনন্য।

প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট অধিনায়কত্বের অভিষেকেই ট্রিপল সেঞ্চুরির অসাধারণ রেকর্ড গড়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার। দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ধরা দেয় তার এই অর্জন, যা আগে কেউ করতে পারেননি।

ম্যাচের প্রথম দিনেই ২৩৯ রান করে ভারতের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিংয়ের ১৯৬৮ সালের ২৩৯ রানের রেকর্ড ভেঙে নেতৃত্বের অভিষেকে সর্বোচ্চ ইনিংসের নতুন ইতিহাস গড়েন মুল্ডার।

২৬৪ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের ব্যাটিং শুরু করে মাত্র ২৯৭ বলে ট্রিপল সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মুল্ডার। যা টেস্ট ক্রিকেটে দ্বিতীয় দ্রুততম ট্রিপল সেঞ্চুরি। ২০০৮ সালে ভারতের বীরেন্দর শেবাগ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২৭৮ বলে ট্রিপল সেঞ্চুরি করে এই তালিকায় শীর্ষে আছেন।

শেবাগ ও মুল্ডার ছাড়া ৩০০ রানের নিচে ট্রিপল সেঞ্চুরির আরেকটি নজির আছে মাত্র—২০২৪ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের হ্যারি ব্রুক মুলতানে করেন ৩১০ বলে।

মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম অধিনায়ক ও দ্বিতীয় ক্রিকেটার, যিনি টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন। এর আগে দেশটির হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড ছিল হাশিম আমলার অপরাজিত ৩১১ রানের। এবার সেটিও ছাড়িয়ে গেছেন মুল্ডার। ব্লেসিং মুজারাবানিকে চার মেরে ৩১১ পার করে পৌঁছে যান ৩৫০ রানে, ৩২৪ বলে।

২০০৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রায়েম স্মিথের ২৭৭ ছিল অধিনায়ক হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার আগের সেরা ইনিংস। সেটাও ছাড়িয়ে গেছেন মুল্ডার।

এমন কীর্তির পেছনে এক অনিশ্চয়তাপূর্ণ নেতৃত্বের গল্পও আছে। মূল অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ও প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পাওয়া কেশাভ মহারাজের চোটে হঠাৎ করেই দক্ষিণ আফ্রিকার নেতৃত্ব পান মুল্ডার। অথচ স্বীকৃত ক্রিকেটে তার একমাত্র নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা ছিল ২০২২ সালে রয়্যাল লন্ডন ওয়ানডে কাপে লেস্টারশায়ারের অধিনায়ক হিসেবে।

এই টেস্টে ৩৫০ রানে অপরাজিত থাকা মুল্ডার এখন ১৪৮ বছরের টেস্ট ইতিহাসে এক ইনিংসে ৪০০ রানের দ্বারপ্রান্তে।