সাবেক স্ত্রী ও কন্যার জন্য প্রতি মাসে ৪ লাখ রুপি দিতে হবে শামিকে

স্পোর্টস ডেস্ক
০২ জুলাই ২০২৫, ১৭:২১
শেয়ার :
সাবেক স্ত্রী ও কন্যার জন্য প্রতি মাসে ৪ লাখ রুপি দিতে হবে শামিকে

কলকাতা হাইকোর্টে বড়সড় ধাক্কা খেলেন ভারতীয় ক্রিকেটার মোহাম্মদ শামি। সাবেক স্ত্রী হাসিন জাহানকে অন্তর্বর্তিকালীন ভরণপোষণ বাবদ প্রতি মাসে মোট ৪ লাখ রুপি দিতে হবে তাকে—এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অজয় কুমার মুখোপাধ্যায়।

এর মধ্যে দেড় লাখ হাসিনের জন্য এবং আড়াই লাখ তাদের কন্যাসন্তানের খরচ বাবদ দিতে হবে। মেয়ের পড়াশোনা বা বিশেষ প্রয়োজনে অতিরিক্ত খরচও করতে পারবেন শামি, তবে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই মাসিক ভরণপোষণ চালু থাকবে।

২০১৪ সালে মডেল ও অভিনেত্রী হাসিন জাহানের সঙ্গে শামির বিয়ে হয়। তাদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে, জন্ম ২০১৫ সালে। কিন্তু খুব দ্রুতই দাম্পত্যে চিড় ধরে। ২০১৮ সালে যাদবপুর থানায় শামি ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসা, খুনের চেষ্টা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা করেন জাহান। পাশাপাশি, ‘প্রোটেকশন অফ উইমেন ফ্রম ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্যাক্ট, ২০০৫’ অনুযায়ী বিবাহবিচ্ছেদের দাবিতে আদালতের শরণাপন্ন হন তিনি।

ভরণপোষণ ও মামলার খরচ বাবদ ১০ লাখ রুপি মাসিক ভাতা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন জাহান—নিজের জন্য ৭ লাখ এবং মেয়ের জন্য ৩ লাখ টাকা। তবে নিম্ন আদালত এই দাবি খারিজ করে শামিকে শুধু মেয়ের জন্য ৮০ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। পরে জেলা বিচারক সেই নির্দেশ সংশোধন করে জাহানকে ৫০ হাজার এবং মেয়েকে ৮০ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

এই নির্দেশের বিরুদ্ধেই কলকাতা হাইকোর্টে যান হাসিন জাহান। তার আইনজীবীর যুক্তি ছিল, জাহানের আয় মাসে মাত্র ১৬ হাজার টাকা, যা তিনি ব্যাংকের স্থায়ী আমানতের সুদ থেকে পান। এই আয়ে তাদের ব্যয়বহুল জীবনধারা বজায় রাখা সম্ভব নয়। অন্যদিকে, মোহাম্মদ শামির ২০২০-২১ অর্থবর্ষে আয় ছিল প্রায় ৭.১৯ কোটি টাকা। সেই তুলনায় তিনি প্রয়োজনীয় খরচ দিতে নারাজ বলে অভিযোগ।

শামির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, হাসিন একজন সফল মডেল ও অভিনেত্রী, যার নিজস্ব আয় রয়েছে এবং ব্যাঙ্কে একাধিক আমানত আছে। তথ্য গোপনেরও অভিযোগ তোলেন শামি।

তবে হাই কোর্ট এই যুক্তি খারিজ করে স্পষ্ট নির্দেশ দেয়, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শামিকে মাসে ৪ লাখ টাকা করে দিতে হবে। একই সঙ্গে বিচারপতি নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ৬০ দিনের মধ্যে গার্হস্থ্য হিংসার মামলার নিষ্পত্তি করতে।