গ্রেপ্তার নয়, আমাকে অপহরণ করা হয়েছিল: মেঘনা আলম
চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলায় আদালতে হাজির হয়ে নিজ অবস্থান তুলে ধরেছেন মডেল মেঘনা আলম। আজ রবিবার রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় করা মামলায় জব্দ হওয়া মোবাইল, আইপ্যাড ও পাসপোর্ট ফেরতের আবেদন শুনানিতে অংশ নিতে আদালতে উপস্থিত হন তিনি। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম.এ আজহারুল ইসলামের আদালত আদেশের জন্য আগামীকাল সোমবার দিন ধার্য করেন।
আদালতে হাজির হয়ে শুনানিতে মেঘনা আলম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কোনো রাষ্ট্রদূতের ফরমাল অভিযোগ নেই। যে রাষ্ট্রদূতের কথা বলা হচ্ছে, তিনি যদি সত্যিই ক্ষতিগ্রস্ত হন বা ভিক্টিম হন, তাহলে আদালতে এসে প্রমাণ দিয়ে যাক। মিথ্যা মামলা চালিয়ে রাষ্ট্র ও আমার বা সেই রাষ্ট্রদূতের কোনো লাভ হচ্ছে না।’
মেঘনা সাংবাদিকদের বলেন, ‘গণমাধ্যম একটা মানুষকে নিয়ে নিউজ করার আগে তার আইডেন্টিটি স্পেসিফিক করা গুরুত্বপূর্ণ। মিডিয়ায় আমাকে মডেল মেঘনা বলে উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু প্রোফেশনাল আইডেন্টিটি হচ্ছে আমি একজন পলিটিক্যাল লিডারশীপ ট্রেইনার।’
তিনি আরও দাবি করেন, ‘গত ৯ এপ্রিল আমাকে গ্রেপ্তার বলা হচ্ছে, অথচ এটা ছিল সরাসরি অপহরণ। কারণ গ্রেপ্তার করার একটি আইনি প্রক্রিয়া থাকে, সেটা মানা হয়নি। আমার বিরুদ্ধে কোনো মামলা, অভিযোগ বা ওয়ারেন্ট ছাড়াই আমার বাসায় হামলা চালিয়ে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এটাকে আইনি ভাষায় অপহরণ বলে, গ্রেপ্তার বলে না।’
এর আগে, গত ২৮ এপ্রিল ডিটেনশন আইনে তার ৩০ দিনের আটকাদেশ বাতিল করে আদালত। একই দিন তিনি জামিনে মুক্তি পান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মেঘনা আলম ও দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাত কয়েকজন একটি চক্রের অংশ। তারা বিদেশি কূটনীতিক ও ধণাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় করে আসছে।