প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট নির্মাতার সঙ্গে সম্পর্কের বিতর্কে ইয়ামাল
অফ সিজনে ফুটবলারদের নিয়ে আলোচনার পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম হলেও, বার্সেলোনা ও স্পেনের উদীয়মান তারকা লামিনে ইয়ামাল এই নিয়মের ব্যতিক্রম। মাঠের বাইরে থাকলেও আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন মাত্র ১৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
সম্প্রতি ইনফ্লুয়েন্সার ফাতি ভাসকেজকে ঘিরে গুঞ্জনের রেশ কাটতে না কাটতেই, এবার আলোচনায় উঠে এসেছে ২৯ বছর বয়সী প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট নির্মাতা ক্লদিয়া বাভেলের নাম।
বিষয়টি সামনে আসে ১৯ জুন স্প্যানিশ টেলিভিশন শো ট্রেডএআর-এ। সেখানে দাবি করা হয়, ক্লদিয়া বাভেল নাকি ইয়ামালের সঙ্গে একটি ডেট আয়োজনের চেষ্টা করেছিলেন। এতে যুক্ত ছিলেন এক ফটোগ্রাফার, যিনি তাঁদের ছবি তুলে তা বিক্রি করে লাভবান হওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। শোটি দাবি করে, পুরো বিষয়টিই ছিল একটি ‘মিডিয়া ফাঁদ’।
শো চলাকালে ফোনে সরাসরি যুক্ত হন ইয়ামাল। তিনি বলেন, ‘এমন কিছু কখনোই ঘটেনি। বাভেল আগ্রহ দেখালেও আমি ‘না’ বলেছিলাম। আমাদের কখনো দেখা হয়নি। আর আমার মা কখনো কোনো মেয়েকে বাসায় ঢুকতে দেন না।’
ইয়ামালের এমন বক্তব্যের পর ক্লদিয়া বাভেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে একটি বিবৃতি দিয়ে তার প্রতিবাদ করেন। তিনি দাবি করেন, ‘তিনিই (ইয়ামাল) আমার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন, দেখা করার জন্য জোর করেছেন। বলেছিলেন, মায়ের সঙ্গে থাকেন, অথচ বাস্তবে তিনি একা থাকেন। এখন তিনি দাবি করছেন, আমাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন—যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এমনকি বলছেন, আমাদের দেখা হয়নি। অথচ একাধিক সামাজিক অনুষ্ঠানে আমরা একসঙ্গে ছিলাম।’
বাভেল আরও বলেন, তিনি কখনোই কোনো অপ্রাপ্তবয়স্কের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েননি বা কোনো নির্ধারিত সাক্ষাতে রাজি হননি। নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে তিনি লেখেন, “আমি সম্মানের সঙ্গে অনুরোধ করছি, যেন আমাকে উদ্দেশ্য করে কুৎসিত ও মানহানিকর বার্তা পাঠানো বন্ধ করা হয়। খ্যাতি বা টাকার জন্য কিছু করিনি।”
তবে শেষ পর্যন্ত একটি বিষয়ে দুজনের বক্তব্য মিলে গেছে—দুজনের মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে কোনো একান্ত সাক্ষাৎ হয়নি।
অল্প বয়সেই ফুটবলে নজর কাড়া পারফরম্যান্সের জন্য আলোচনায় উঠে আসা ইয়ামাল মাঠের বাইরের এই বিতর্কে ঠিক কীভাবে নিজেকে সামাল দেন, সেটিই এখন দেখার বিষয়।