ম্যাচের পর টানা দুটি সুপার ওভারও ‘টাই’, তৃতীয় সুপার ওভারে ফয়সালা
ক্রিকেট ইতিহাসে আগে কখনও দেখা যায়নি এমন কিছুই ঘটল স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে। ছেলেদের পেশাদার ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো একটি ম্যাচ গড়াল তৃতীয় সুপার ওভারে। অবিশ্বাস্য নাটকীয়তা ও টানটান উত্তেজনায় মোড়ানো এই ম্যাচে নেপালকে হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নেয় নেদারল্যান্ডস।
ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে সোমবার নির্ধারিত ২০ ওভারে নেদারল্যান্ডস ও নেপালের ম্যাচটি শেষ হয় ‘টাই’ হয়ে। এরপর খেলা গড়ায় সুপার ওভারে, সেটিও ‘টাই।’ নিয়ম অনুযায়ী, জয়ী না হওয়া পর্যন্ত সুপার ওভার চলতেই থাকে। অবশেষে তৃতীয় সুপার ওভারে ফয়সালা হয় ফলের।
মূল ম্যাচে নেদারল্যান্ডস ২০ ওভারে করে ১৫২ রান। তেজা নিদারামানু করেন ৩৫ রান, বিক্রামজিৎ সিং করেন ৩০ এবং শেষ দিকে ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন সাকিব জুলফিকার। নেপালের হয়ে লেগ স্পিনার সান্দিপ লামিছানে ৩ উইকেট নেন মাত্র ১৮ রানে।
জবাবে নেপালের শুরুটা ভালো হলেও মাঝের সময়টায় খেই হারায় তারা। কুশাল ভুর্তেল করেন ৩৪, আর অধিনায়ক রোহিত পাউড়েল করেন ৪৮ রান। শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩১ রান, যা নাটকীয়ভাবে শেষ বলে চার মেরে ‘টাই’ করেন নান্দান ইয়াদাভ।
প্রথম সুপার ওভারে নেপাল তোলে ১৯ রান, কুশাল ভুর্তেলের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে। নেদারল্যান্ডসও সমান রান করে, ও'ডাউডের শেষ বলে ছক্কায়।
দ্বিতীয় সুপার ওভারে ডাচরা তোলে ১৭ রান। জবাবে নেপালও সমান রানে থামে, শেষ বলে আইরির ছক্কায়।
তৃতীয় ওভারে অবিশ্বাস্য কিছু ঘটে—নেপাল কোনো রানই করতে পারেনি, ৪ বলে ২ উইকেট হারায় জেবি লায়ন-ক্যাশের বলে। নেদারল্যান্ডসের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র এক ছক্কা, যেটি লামিছানের প্রথম বলেই হাঁকান মাইকেল লেভিট।
এই নজিরবিহীন ম্যাচের নায়ক হয়ে ওঠেন শেষ সুপার ওভারে বল হাতে ঝলক দেখানো জেবি লায়ন-ক্যাশ। তিনিই জিতে নেন ম্যাচ-সেরার পুরস্কার।
ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন নাটকীয়তা খুব কমই দেখা গেছে—এক ম্যাচে তিন তিনটি সুপার ওভার, এবং প্রতিটির ফলাফল নির্ধারিত শেষ বলেই!