ভিনিসিউসের প্রতিকৃতি ঝুলিয়ে বর্ণবাদী অপরাধে দোষী চারজন

স্পোর্টস ডেস্ক
১৭ জুন ২০২৫, ১২:৫২
শেয়ার :
ভিনিসিউসের প্রতিকৃতি ঝুলিয়ে বর্ণবাদী অপরাধে দোষী চারজন

আড়াই বছর আগে রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস জুনিয়রের প্রতিকৃতি ঝুলিয়ে বর্ণ ও জাতিগত বিদ্বেষমূলক অপরাধ (হেইট ক্রাইম) ঘটানোয় চার জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে মাদ্রিদের আদালত। সোমবার দেওয়া রায়ে তাদের ১৪ থেকে ২২ মাস পর্যন্ত স্থগিত কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে, কোপা দেল রের একটি ম্যাচের আগে। রিয়াল ও আতলেতিকো মাদ্রিদের মধ্যকার ওই ম্যাচের আগে আতলেতিকোর কয়েকজন সমর্থক ভিনিসিউসের একটি কুশপুতুল বানিয়ে সেটিতে ২০ নম্বর জার্সি পরিয়ে রিয়ালের অনুশীলন মাঠ ‘ভালদেবেবাস’-এর সামনে একটি ব্রিজে ঝুলিয়ে দেন। পাশাপাশি একটি ব্যানারে লেখা ছিল, "রিয়ালকে মাদ্রিদ ঘৃণা করে।"

ঘটনার পর লা লিগার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বছরের শেষ দিকে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতের রায়ে একজন আসামিকে বিদ্বেষমূলক অপরাধের জন্য ১৫ মাস ও সামাজিক মাধ্যমে হুমকি ছড়ানোর জন্য আরও সাত মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাকি তিন জনকে বিদ্বেষমূলক অপরাধ এবং হুমকির জন্য সাত মাস করে মোট ১৪ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এর পাশাপাশি প্রধান আসামিকে ১,০৮৪ ইউরো এবং বাকি তিনজনকে ৭২০ ইউরো করে জরিমানা করা হয়েছে।

রায় অনুযায়ী, দণ্ডিতরা কেউই ভিনিসিউসের বাড়ি বা রিয়াল মাদ্রিদের অনুশীলন মাঠের এক হাজার মিটার এলাকার ভেতর আসতে পারবেন না। একই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য থাকবে যেকোনো লা লিগা বা স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন আয়োজিত ম্যাচের ক্ষেত্রেও—ম্যাচ শুরুর চার ঘণ্টা আগে থেকে শেষের চার ঘণ্টা পর পর্যন্ত স্টেডিয়ামের এক কিলোমিটারের মধ্যে তাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ।

তবে দণ্ডপ্রাপ্ত চার জন ভিনিসিউস, রিয়াল মাদ্রিদ, লা লিগা এবং স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চাওয়ায় তাদের সাজা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।

রিয়ালে ২০১৮ সালে যোগ দেওয়ার পর থেকে বারবার বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়ে আসছেন ভিনিসিউস। এর আগে, ২০২৩ সালের জুনে ভালেন্সিয়ার মাঠে এমনই এক ঘটনায় তিনজন সমর্থককে আট মাসের স্থগিত কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। গত মাসে, রিয়াল ভাইয়াদলিদের মাঠে ২০২২ সালে ঘটে যাওয়া এক ঘটনায় পাঁচ জনকে এক বছরের স্থগিত কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়। সেটিকে স্পেনে ফুটবল স্টেডিয়ামে বর্ণবাদী আচরণকে প্রথমবারের মতো ‘হেইট ক্রাইম’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার নজিরবিহীন রায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।