৭ ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার শেষ করে দিয়েছিলেন বিসিসিআইয়ের নির্বাচকরা!
২৮ বছরের খরা কাটিয়ে ২০১১ সালে ভারত ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতলেও তার পরের সময়টি তাদের জন্য ছিল বেশ কঠিন। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছে ৪-০ ব্যবধানে। এই হারের পর ক্যারিয়ারই শেষ হয়ে গিয়েছিল ভারতের ৭ ক্রিকেটারের। এর পেছনে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তৎকালীন নির্বাচকদের দায়ী করেছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার যুবরাজ সিংয়ের বাবা যোগরাজ সিং।
নির্বাচকদের মধ্যে ছিলেন ভারতের সাবেক তুখোড় অলরাউন্ডার মহিন্দর অমরনাথও। তাদের কঠোর সমালোচনা করে যোগরাজ জানিয়েছেন, তখন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়ার গোপন পরিকল্পনাও হয়েছিল।
ইনসাইড স্পোর্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যোগরাজ বলেছেন, ‘আপনারা (বিসিসিআইয়ের তখনকার নির্বাচকরা) ক্রিকেটারগুলোকে একদম কোনো কারণ ছাড়াই ধ্বংস করে দিয়েছেন। গৌতম গম্ভীর, যুবরাজ সিং, হরভজন সিং, জহির খান, মোহাম্মদ কাইফ, ভিভিএস লক্ষণ, রাহুল দ্রাবিড়দের মতো ক্রিকেটারদের। আপনারা ২০১১ সালের পর তাদের সঙ্গে এটা করেছেন। আপনারা ২০১১ সালের পর বিশ্বকাপের পর দল ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। ৭ জন খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ার ধ্বংসের মুখে পড়েছিল।’
ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার কাছে হাই-প্রোফাইল এই সিরিজ পরাজয়ের পর গম্ভীর, যুবরাজ, জহির এবং হরভজনের মতো খেলোয়াড়রা ধীরে ধীরে জাতীয় দল থেকে ব্রাত্য হয়ে পড়েন। অন্যদিকে, দ্রাবিড় এবং লক্ষণ তাদের বর্ণাঢ্য টেস্ট ক্যারিয়ারকে বিদায় ঘোষণা করেন।
২০১১ বিশ্বকাপজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হওয়া সত্ত্বেও ২০১৫ বিশ্বকাপের সময় গম্ভীর, যুবরাজ, জহির এবং হরভজন; সকলেই ওয়ানডে দলের বাইরে ছিলেন। সেই সময়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে বাজে আচরণ এবং তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে ছেলেখেলা করার জন্য যোগরাজ অমরনাথকে দোষারোপ করেন।