কাঠগড়ায় কাবরেরা

ক্রীড়া প্রতিবেদক
১৬ জুন ২০২৫, ১০:০২
শেয়ার :
কাঠগড়ায় কাবরেরা

এএফসি এশিয়ান কাপ ফুটবলের বাছাইপর্বের ম্যাচে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে হারার পর কোচ হ্যাভিয়ার কাবরেরার কোচিং নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে উঠেছে অনেক কথা। একাদশ গঠন থেকে শুরু করে সবকিছুতে তার দূর্বলতা ফুটে উঠেছে। এই অবস্থায় তার পদত্যাগেরও দাবি করেছেন অনেকে। সাবেক ফুটবলাররাও তাকে কাঠগড়ায় তুলেছেন।

১০ জুনের ম্যাচটি ঘিরে শুধু দর্শকরাই নয়, অনেক প্রত্যাশা ছিল জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলারদেরও। কিন্তু সিঙ্গাপুরের কাছে হারে হতাশ হয়েছেন এই ফুটবলাররাও।

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও দেশের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার আলফাজ আহমেদ দল নির্বাচনে কোচের দায়কে বড় করে দেখছেন। স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরার একাদশ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলে আলফাজ বলেন, ‘আমরা শুরুতেই হেরে গেছি। আমাদের দল নির্বাচনে ভুল ছিল। তাজ উদ্দিন ভুটানের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলেছে। অ্যাটাকিংয়ে উঠেছে, ভালো কিছু ক্রস করেছে। তাকে নেওয়া হয়নি। আমার মাথায় ঢোকেনি কাজেম শাহকে কেন কোচ খেলালেন? তাকে আর হামজাকে এক লাইনে খেলিয়েছে। আসলে কোচ কোন ফরমেশনে খেলিয়েছে সেটাই মাথায় ঢোকেনি। আমার মনে হয় তাজ উদ্দিন ও ইমনকে রাইট ব্যাকে নিয়ে শুরু করতে পারত।’

শুরু থেকেই কেন বাংলাদেশ আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেনি তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আলফাজ, ‘ফুটবলারদের দেখে মনে হচ্ছিল ওরা কিছুটা ভীতু ও নার্ভাস ছিল। কেউ অ্যাটাকে যাচ্ছিল না। অথচ যখন গোল খেয়েছে বাংলাদেশ তখন আবার পারল কীভাবে আক্রমণে উঠতে?’

বাংলাদেশ দল রক্ষণের ভুলে বারবার বিপদে পড়েছে। সিঙ্গাপুরের কাছে হারে বাংলাদেশের ডিফেন্ডারদের দায় দেখছেন জাতীয় দলের আরেক অধিনায়ক মামনুল ইসলাম, ‘এই ম্যাচে হারের পেছনে সবাই মিতুলের দোষ দিচ্ছে। কিন্তু আমি ওকে দোষ দেব না। কারণ গোল সেভের পর ডিফেন্সে যে অর্গানাইজেশন দরকার ছিল সেটার অভাব ছিল। মার্কিংয়ের অভাব ছিল। আসলে আমরা আরও সুন্দর ফুটবল খেলতে পারতাম। এত উন্মাদনার মধ্যে, সব কিছু মিলিয়ে ফুটবলের যে মঞ্চটা প্রস্তুত হয়েছিল সেটা কাজে লাগাতে পারেনি ফুটবলাররা।’ দীর্ঘদিন ধরে একজন নাম্বার নাইনের অভাবে ভুগছে বাংলাদেশ। এটা নিয়েও আক্ষেপ মামুনুলের, ‘আমাদের একজন নাম্বার নাইনের বড়ই অভাব। রাকিবকে কেন রাইট উইং থেকে রাইট ব্যাকে খেলানো হলো? সে তো দলের বড় স্ট্রেংথ।’

দুই ম্যাচ শেষে মাত্র ১ পয়েন্ট বাংলাদেশের। কিন্তু এখনই এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বের আশা ছাড়তে রাজি নন এই মিডফিল্ডার, ‘আমি এখনও আশাবাদী। যদি এই দলে একজন ভালো মানের নাম্বার নাইন পাওয়া যায় তাহলে আমাদের দল যে কোনো দলকে হারিয়ে দিতে পারবে।’