স্টেডিয়ামের বাইরে ১১ জন নিহতের পরও বন্ধ হলো না কোহলিদের উৎসব
ভারতের কর্নাটক রাজ্যের রাজধানী ব্যাঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে চলছিল আইপিএল জয়ের উৎসব। বাইরে পদদলিত হয়ে নিহত হয়েছেন ১১ জন, আহত হয়েছেন ৩৩ জন। তবুও থামেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর (আরসিবি) তথা কোহলিদের উৎসব।
আইপিএল জয়ের উদ্যাপনের অনুষ্ঠানে লাখ লাখ মানুষের ভিড়ের চাপ সামলাতে দিশেহারা হয় ব্যাঙ্গালুরু পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিপেটা করতেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। তবু বন্ধ করা হয়নি উৎসব। পরিকল্পনা মতোই স্টেডিয়ামের ভেতরে চলতে থাকে অনুষ্ঠান।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর টিম বাস জনসমুদ্রের মধ্যে দিয়েই স্টেডিয়ামের পৌঁছায় বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ। তার আগেই ঘটে গিয়েছে বিপত্তি। অনুষ্ঠান দেখার জন্য বিশেষ পাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল কর্নাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে। সে অনুষ্ঠান দেখতে কয়েক লক্ষ মানুষ চলে আসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, প্রয়োজনের তুলনায় পুলিশকর্মীর সংখ্যা ছিল অনেক কম। ফলে ভিড় সামলাতে নাজেহাল অবস্থা হয় তাদের। এরপর স্টেডিয়ামের গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে অসংখ্য মানুষ দ্রুত ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ লাঠিপেটা। শুরু হয়ে যায় ছোটাছুটি। তাতেই বড় বিপত্তি ঘটে যায়। অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে পদপিষ্ট হয়েছে। আহত হন অন্তত ৩৩ জন।
দুর্ঘটনার খবর আরসিবির ক্রিকেটারেরা সম্ভবত জানতেন না। তাদের আচরণে বা মুখে-চোখে তেমন কোনো উদ্বেগ দেখা যায়নি।
কোহলিরা যখন কর্নাটক বিধানসভায় সংবর্ধিত হচ্ছিলেন, সেই সময় পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে। খবর পৌঁছাতেই সেখান থেকে ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার।
আরও পড়ুন:
লরির ধাক্কায় পুলিশ সদস্য নিহত
তিনি বলেন, ‘বহু মানুষের ভিড় হয়েছে। সকলেই খুব আবেগপ্রবণ। পুরো রিপোর্ট না পেলে বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়। নিরাপত্তার জন্য আমরা ৫০০০ পুলিশ মোতায়েন করেছিলাম। পুলিশের সংখ্যা আরও বাড়ানো হচ্ছে।’
তবে বিতর্ক এড়াতে পারলেন না কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে পৌঁছোনোর পর মাঠের মাঝে তৈরি মঞ্চে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন কোহলিদের সঙ্গে তিনি দাঁড়িয়ে পড়েন মধ্যমণি হয়ে।