শ্রেয়াস শ্রেষ্ঠত্বে ১১ বছর পর আইপিএলের ফাইনালে পাঞ্জাব

স্পোর্টস ডেস্ক
০২ জুন ২০২৫, ০৮:৫২
শেয়ার :
শ্রেয়াস শ্রেষ্ঠত্বে ১১ বছর পর আইপিএলের ফাইনালে পাঞ্জাব

হারলেই বাদ, জিতলে সরাসরি ফাইনালে। স্নায়ুর কঠিন পরীক্ষা নেওয়ার এই ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসের সামনে ২০৪ রানের বড় লক্ষ্য দেয় ৫ বারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। এই রান তুলতে হবে জাসপ্রিত বুমরাহ ও ট্রেন্ট বোল্টদের সামলে। তবে, পাহাড়সমান চাপ একা কাঁধেই বহন করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন পাঞ্জাব দলনেতা শ্রেয়াস আইয়ার। চাপ সামলে নিজের ব্যাটিং শ্রেষ্ঠত্বে দলকে তুললেন ফাইনালে। 

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে শেষ ২ ওভারে ২৩ রান দরকার ছিল পাঞ্জাবের, হাতে ৫ উইকেট। তবে শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ নিয়ে যাওয়ার দরকার হলো না তাদের। অশ্বিনি কুমারের করা ১৯তম ওভারে চার ছক্কায় ২৬ রান নিয়ে পাঞ্জাবকে জয়ের বন্দরে ভেড়ালেন শ্রেয়াস। তখন তিনি ৪১ বলে ৮৭ রানে অপরাজিত! ৫টি চারের বিপরীতে ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৮টি। মুম্বাই দুই শ রান বোর্ডে তোলার পর তাদের বিপক্ষে এই প্রথম জিতল কোনো দল।

২০১৪ সালের দীর্ঘ ১১ বছর পর আবারও ফাইনালে ওঠার স্বাদ পেল পাঞ্জাব। তাদের ফাইনালে ওঠার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে গেল অষ্টাদশ আসরে নতুন চ‍্যাম্পিয়ন পাচ্ছে আইপিএল। কারণ পাঞ্জাব কিংবা বেঙ্গালুরু এখনো শিরোপার স্বাদ পায়নি। আগামীকাল মঙ্গলবার আইপিএলের ১৮তম আসরের ফাইনালে নামবে এই দুই দল। 

এদিন টসে হেরে ব‍্যাট করতে নেমে শুরুতেই রোহিত শার্মাকে হারায় মুম্বাই। তবে বাকিদের প্রায় সবাই রান পাওয়ায় বড় স্কোর গড়ে মুম্বাই। যদিও কেউই হাফ সেঞ্চুরি পাননি। জনি বেয়ারস্টো ২৪ বলে ৩৮ রান করে আউট হওয়ার পর চল্লিশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেন তিলক ভার্মা ও সূর্যকুমার যাদব। শেষদিকে নামান ধীর ১৮ বলে ৩৭ রান করলে দুই শ পেরোনো সংগ্রহ পায় মুম্বাই। 

রান তাড়ায় শুরুতেই প্রাভসিমরান সিংকে হারায় পাঞ্জাব। ঝড়ের আভাস দিয়েও বেশিদূর যেতে পারেননি আরেক ওপেনার প্রিয়াংশ আরিয়া। তবে ২১ বলে ৩৮ রান করে দলের মোমেন্টাম সেট করে দিয়ে যান জশ ইংলিস। এর মধ্যে বুমরাহর এক ওভারেই আদায় করেন ২০ রান। 

পাঞ্জাব মূলত ম্যাচ জেতে নিহাল ওয়াধিরা ও শ্রেয়াসের জুটির ওপর ভর করে। তাদের ৯২ রানের জুটিতে ২১ বলে ওয়াধিরার অবদান ৩৮ রান। শেষ দিকে তিনি ফেরার পর শশাঙ্ক সিং ফিরলেও একাই পাঞ্জাবকে আলোকিত করেন শ্রেয়াস। 

২১ বলে ৩৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন জশ ইংলিস। চতুর্থ উইকেটে শ্রেয়াসের সঙ্গে ৯২ রানের জুটিতে দলকে কক্ষপথে রাখেন নেহাল ওয়াধেরা। ২৯ বলে ৪৮ রান করে তিনি ফিরে যান। পরে শশাঙ্ক সিং দ্রুত ফিরে গেলে চাপে পড়ে যায় পাঞ্জাব। তার অধিনায়কোচিত ইনিংসেই মুম্বাইকে হারিয়ে দিল পাঞ্জাব।