বড়পুকুরিয়ার কয়লার দাম কমাতে চায় পিডিবি
উত্তরাঞ্চলে সরকারের ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) খনি থেকে সরবরাহকৃত কয়লায় পরিচালিত হয়। বড়পুকুরিয়া থেকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কয়লা কিনে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পরিচালনা করে। কয়লা বিক্রির আয় থেকে বড়পুকুরিয়া খনি কর্তৃপক্ষ কয়লা উত্তোলন, ঠিকাদারের বিল, খনি পরিচালনা ছাড়াও সরকারের রাজস্ব জোগান দেয়। তবে হঠাৎ করে আন্তর্জাতিক বাজারে কয়লার দাম কমানোর অজুহাতে বড়পুকুরিয়া খনির কয়লার দাম কমাতে চায় পিডিবি। কয়লার দাম কামানোর বিষয়ে ইতোমধ্যে একটি কমিটি কাজ করছে।
তবে খনি কর্তৃপক্ষ বলছে, ২০২২ সালের দিকে যখন বড়পুকুরিয়ার কয়লার সমান মানের কয়লার আন্তর্জাতিক বাজারে এফওবি (ফ্রেইড অন বোর্ড) মূল্য প্রতি টন ১৯৬ ডলার থেকে ৪৩০ ডলার পর্যন্ত উঠেছিল, তখনও খনি থেকে প্রতি টন ১৭৬ ডলারেই কিনেছে পিডিবি। এখন হঠাৎ করে ১৭৬ ডলার থেকে কয়লার দাম ১৩০ ডলার বা আরও নিচে নামিয়ে আনতে চায়। বড়পুকুরিয়া কর্তৃপক্ষ বলছে, খনির কয়লার দাম কমিয়ে দেওয়া হলে ভবিষ্যতে কয়লা উত্তোলনসহ খনি পরিচালনা ও খনির উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। নতুন করে জমি অধিগ্রহণসহ পরিকল্পনাসমূহ বাস্তবায়ন হবে না। বড়পুকুরিয়া লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।
জানা গেছে, চলতি বছর ১৯ জানুয়ারি কয়লার বিলম্ব মাশুল এবং কয়লার মূল্য পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত একটি পর্যালোচনা সভা হয়।
সেখান থেকেই মূলত বড়পুকুরিয়ার কয়লার দাম কমানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। এ লক্ষ্যে সামগ্রিক তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে সুপারিশ করতে গত ৭ এপ্রিল কমিটি গঠন করে দিয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। পেট্রোবাংলার পরিচালককে (অপারেশন/মাইন্স) আহ্বায়ক করে গঠিত ৯ সদস্যর ওই কমিটি কাজ করছে।
জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রতি টন কয়লা ১৩০ ডলার করে বিক্রি হতো। কিন্তু ২০২২ সাল থেকে প্রতি টন কয়লা ১৭৬ ডলার নির্ধারণ করা হয়। ২০২২ সালে বিপিডিবি ও বিসিএমসিএলের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী বিসিএমসিএলের কয়লার দাম ২০২৩ সালের ৫ জানুয়ারি ১৭৬ ডলার নির্ধারণ করা হয়। পিছনের তারিখ অর্থাৎ ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সেটা কার্যকর করে মন্ত্রণালয়। তবে পিডিবি ২০২২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত নিয়মিত বিল পরিশোধ করলেও ৪৬ ডলার বাড়তি দামে পরিশোধের বিলম্ব মাশুল মওকুফ করে নিয়েছে। সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে বৈঠকে বড়পুকুরিয়ার পাওনা বিলম্ব মাশুল বাবদ ১২২ কোটি ৮৩ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকা অবলোপন করেছে জ্বালানি বিভাগ। আরও প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ২৪ কিস্তিতে পরিশোধের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
দাম কমানোর বিষয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম আমাদের সময়কে বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দাম নির্ধারণের কথা বলেছি। সেটা হলে বিদ্যুৎখাতে ভর্তুকির পরিমাণ কমে আসবে।
এদিকে খনি কর্তৃপক্ষ বলছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে এবং উত্তরাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দীর্ঘ ২০ বছর ধরে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। বিদেশি ঠিকাদারের মাধ্যমে কয়লা উত্তোলন করে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ করা হয়। পিডিবি খনি থেকে কয়লা কেনার অন্যতম বড় ক্রেতা। কয়লা উত্তোলনসহ বিভিন্ন পর্যায়ে অপারেশনাল খরচ বাদ দিয়ে বিক্রি করে প্রতি টন কয়লায় যে প্রফিট থাকে, সেটা দিয়েই খনি উন্নয়ন ও সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন:
আকতার পারভেজ সর্বোচ্চ ভোটে সিএসই পরিচালক
খনির একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন, পিডিবি কয়লার মূল্য আরও কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তবে বাস্তবতা হলো দাম আগে থেকেই গ্রহণযোগ্য ন্যূনতম সীমায় আছে। দাম কমিয়ে দিলে খনিটি লাভজনক অবস্থান থেকে লোকসানে চলে যাবে। এতে খনির কার্যক্রম ব্যাহত হবে।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকও বলেছেন, দাম কমানো হলে মাইনিং কোম্পানিটি লোকসানে পড়বে।
বিসিএমসিএল ২০১৮ সালের আগে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা কয়লার বিক্রয় মূল্যের সঙ্গে অন্যান্য ক্রেতার কাছে সরবরাহ করা কয়লার বিক্রয় মূল্য তুলে ধরে। সেখানে দেখা যায়, বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছাড়া বাইরের ক্রেতাদের কাছে কয়লার বিক্রয় মূল্য বেশি। এ প্রেক্ষিতে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে উত্তোলিত কয়লার প্রকৃত খরচের সঙ্গে বিক্রয় মূল্য নির্ধারণে সভায় উপস্থিত সবাই একমত প্রকাশ করেন। বিসিএমসিএল উল্লেখ করে, খনি থেকে কয়লা উত্তোলন শেষে মাইন ক্লোজ করে দিলে মাইন ক্লোজার প্ল্যান অনুযায়ী আরও অতিরিক্ত ব্যয় যোগ হবে। প্রকৃত উৎপাদন খরচ ও বিক্রয় মূল্যের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত যার সামঞ্জস্য করা হয়নি। এ ছাড়াও ২০২৩ সালের ৫ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ৩০০ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা কয়লার বিক্রয় মূল্যের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে টনপ্রতি প্রকৃত উৎপাদন ব্যয় ১৩৯.৭৮ ডলার হলেও ২০২৪-২০২৫, ২০২৫-২০২৬, ২০২৬-২০২৭, ২০২৭-২০২৮ এর অর্থবছরের টনপ্রতি উৎপাদন ব্যয় যথাক্রমে ১৫৬.৯৪, ১৬৫.৮১, ১৬২.১৩, ১৬৯,৭৮ ডলার প্রাক্কলন করা হয়েছে যার গড় মূল্য ১৬৩.৪৪ মার্কিন ডলার।
এই ব্যয়ের সঙ্গে জমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ ব্যয় বাবদ টনপ্রতি ১৩.৪২ ডলার, অনুসন্ধান ব্যয় বাবদ উৎপাদন ব্যয়ের ৭.৫ শতাংশ, ১২.২৬ ডলার এবং ১৫ শতাংশ হারে মুনাফা বাবদ ২৪.৫২ ডলার যোগ করে প্রতি টন কয়লার বিক্রয় মূল্য দাঁড়াবে ২১৩.৬২ ডলার। এসব খরচের সঙ্গে আরও মাইন ক্লোজার কস্ট যুক্ত হবে।
সূত্রে জানা যায়, বিসিএমসিএল আমদানিকৃত কয়লা ও দেশীয় কয়লার মূল্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ উপস্থাপন করে। সেখানে দেখা যায়, আমদানিকৃত কয়লার ক্যালোরিফিক ভ্যালু ৪৫০০-৫০০০ কিলো ক্যালোরি/কেজি যার ময়েশ্চার ২৮-৩৫ শতাংশ। অপরদিকে বড়পুকুরিয়ার উত্তোলিত কয়লার ক্যালোরিফিক ভ্যালু ৬১৩৭ কিলো ক্যালোরি/কেজি যার ময়েশ্চার ৩.৩৯ শাতংশ। অর্থাৎ সবক্ষেত্রেই বড়পুকুরিয়ার কয়লার গুণগত মান বেশি। কোল পাওয়ার জেনারেশন কর্তৃক আমদানিকৃত কয়লার টেন্ডার রেফারেন্স অনুযায়ী দেখা যায়, ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ময়েশ্চার তারা মঞ্জুর করে এবং কয়লার ক্রয় মূল্যের সঙ্গে সেটি সমন্বয় করে না। কিন্তু ৩০ শতাংশের বেশি হলে ক্রয় মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়।
উল্লেখ্য, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে ২০১৮ সালের ২৪ জুন কয়লার মূল্য বৃদ্ধিজনিত বিপিডিবি ও বিসিএমসিএলের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তৎকালীন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এফওবি মূল্যের ভিত্তিতে বিসিএমসিএল থেকে বিপিডিবিতে সরবরাহকৃত কয়লার বিক্রয় মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে পিডিবি কর্তৃক পরিবহন খরচ, ভ্যাট ও ট্যাক্স ইত্যাদি যোগ করে প্রতি মেট্রিক টনের দর নির্ধারণের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন:
বৃহত্তম হিমশৈল
সুতরাং এফওবি মূল্যের সঙ্গে জাহাজ ভাড়া ২৪ শতাংশ, ময়েশ্চারাইজার এডজাস্টমেন্ট এবং কাস্টমস ডিউটি ২৫ শতাংশ, অভ্যন্তরীণ ট্রান্সপোর্ট কস্ট ১০ শতাংশ, কোল হ্যান্ডলিং কস্ট ২ শতাংশ ইত্যাদি ব্যয় যোগ করে প্রতি মেট্রিক টন কয়লার মূল্য নির্ধারিত হলে বড়পুকুরিয়া থেকে বিপিডিবিতে সরবরাহকৃত কয়লার বিক্রয় মূল্য (১৭৬ ডলার) অপেক্ষা প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি হবে। বলা হয় বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড (বিসিপিসিএল)-এর আমদানিকৃত কয়লার ক্রয়মূল্যের বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে।
২০০৫ সাল থেকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির সেন্ট্রাল পার্টের কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে। বর্তমানে চতুর্থ চুক্তির আওতায় ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ২০২৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৪৫ লাখ মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হবে। গত জানুয়ারি পর্যন্ত বর্তমান চুক্তিতে এ যাবৎ ২৪ দশমিক ৭৩ লাখ মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলিত হয়েছে। চতুর্থ চুক্তিতে বছরে আরও বেশি কয়লা উত্তোলন করা হবে।
বিসিএমসিএলের কর্মকর্তারা বলছেন, ২০২৭ সালের পর বর্তমান চুক্তি শেষে অতিরিক্ত প্রায় ২৭ লাখ মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব হবে। যা ২০৩০ সাল পর্যন্ত উত্তোলন করা যাবে। তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩টি ইউনিট অর্থাৎ মোট ৫২৫ মেগাওয়াট চালু থাকলে বার্ষিক প্রায় ১৫ লাখ টন কয়লার প্রয়োজন হয়। কিন্তু বাস্তবিকভাবে সবসময় ২টি ইউনিট চালু থাকায় বছরে প্রয়োজন হয় প্রায় ৭-৮ লাখ টন। কোনো ইউনিট বন্ধ থাকলে অতিরিক্ত কয়লা কোল ইয়ার্ডে জমা হতে থাকে। এ ছাড়া দেশে বছরে প্রায় ৬৫ লাখ মেট্রিক টন কয়লা ইটভাটায় ব্যবহার হয়ে থাকে। অর্থাৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাদেও কয়লার অত্যধিক চাহিদা রয়েছে দেশীয় বাজারে। তবে ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা থাকায় বর্তমানে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাইরে অন্য ক্রেতাদের কাছে কয়লা বিক্রয় বন্ধ রয়েছে।
বিসিএমসিএল সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত ১ কোটি ১৩ লাখ মেট্রিক টন কয়লা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা হয়েছে, বাকি ৩২ লাখ মেট্রিক টন কয়লা অন্য ক্রেতাদের (ইটভাটা, চা শিল্প, গ্লাস শিল্প, প্রাণ গ্রুপ) কাছে সরবরাহ করা হয়েছে।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কয়লা উত্তোলন শুরু ২০০৫ সালে। উত্তোলিত কয়লা দিয়ে খনির পাশেই ৫৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চলছে। দেশে আবিষ্কৃত ৫টি কয়লা ক্ষেত্রের সর্বমোট কয়লার মজুদ প্রায় সাত হাজার ৮২৩ মিলিয়ন টন, যা ২০০ টিসিএফ গ্যাসের সমান। বড়পুকুরিয়া কয়লা ক্ষেত্রে মজুদের পরিমাণ ৪১০ মিলিয়ন টন। শুরু থেকে গত এপ্রিল পর্যন্ত সর্বমোট কয়লা উত্তোলনের পরিমাণ ১৫ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন টন। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা উত্তোলনের জন্য চীনা কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে বিভিন্ন মেয়াদে ভূ-গর্ভস্থ উন্নয়ন ও কয়লা উত্তোলন সম্পর্কিত সর্বমোট ৪টি চুক্তি সম্পাদিত হয়। ৩টি চুক্তির কার্যক্রম ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন ৬ বছর মেয়াদি চতুর্থ চুক্তি করেছে সরকার।
খনি কর্তৃপক্ষ বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৫০ লাখ টন কয়লা উত্তোলন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৯ দশমিক ০৭১২ লাখ টন কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৫০ লাখ টনের বিপরীতে চলতি বছর মে পর্যন্ত প্রায় ৯ দশমিক ১৯ লাখ টন কয়লা উত্তোলিত হয়েছে। উত্তোলিত কয়লার প্রায় পুরোটাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে কয়লা উত্তোলনের শুরু হতে চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার ৫৩ দশমিক ৩২ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম