মুরগির দাম কমলেও বেড়েছে ডিমের

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৪ মে ২০২৫, ০০:০০
শেয়ার :
মুরগির দাম কমলেও বেড়েছে ডিমের

গত সপ্তাহের মতো চলতি সপ্তাহেও মুরগির বাজার নিম্নমুখী রয়েছে। গত সপ্তাহে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগির কেজি গতকাল শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা পর্যন্ত। যদিও কোথাও কোথাও ১৬০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হয়েছে। অপরদিকে আগের সোনালি মুরগির দামও গতকাল কিছুটা কমেছে। কিন্তু উল্টোপথে হাঁটছে ডিমের বাজার। ডিমের দাম ডজন প্রতি ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

গতকাল রাজধানীর মালিবাগ, কারওয়ানবাজারসহ বিভিন্ন খুচরা বাজার ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণত সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মুরগির দাম চড়া থাকলেও শুক্রবারের বাজারেও মুরগির দাম কমেছে। কয়েক দিন আগেও ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। গতকাল তা কমে ১৫০ টাকাতেও বিক্রি হয়েছে। আর একইভাবে সোনালি মুরগির দাম কমে বিক্রি হয়েছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা পর্যন্ত।

মালিবাগ বাজারের খুচরা বিক্রেতা মো. ফারুক হোসেন বলেন, কাপ্তানবাজারে ব্রয়লারের পাইকারি দর কমে কেজি ১২৮ থেকে ১৩০ টাকায় নেমেছে। এতে খুচরাতেও কমেছে। এ বাজারে (মালিবাগ) আজ (শুক্রবার) এ মুরগির কেজি বিক্রি হয়েছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। কিন্তু আমার দোকানে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা বিক্রি করছি।

কাপ্তানবাজারের মো. সিরাজুল ইসলামসহ এখানকার পাইকারি বিক্রেতারা জানান, এমনিতেই কোরবানির ঈদের আগে মুরগির চাহিদা কমে যায়। দামও কমে আসে। তা ছাড়া এ সময় অনেক খামারি রোগ-বালাইয়ের ভয়ে কম দামে মুরগি ছেড়ে দিচ্ছেন। এতেও দাম কমে এসেছে।

অপরদিকে ডিমের খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগে যে ফার্মের বাদামি ডিমের ডজন ১৩০ টাকা বিক্রি হয়েছে, এখন তা কিনতে গুনতে হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪৫ টাকা পর্যন্ত। অথচ ব্যবসায়ীরা বলছেন, বছরের এমন সময় ডিমের দাম আরও বেশি থাকে। সে তুলনায় এখনও সেভাবে দাম বাড়েনি।

তেজগাঁও পাইকারি বাজারের ডিম ব্যবসায়ী মো. ইমতিয়াজ আলী জানান, বৃষ্টি মৌসুমে সাধারণত ডিমের দাম বাড়তি থাকে। অন্যান্য বছর এমন সময় দাম অনেকটা বাড়তি থাকে। সে তুলনায় দাম ততটা বাড়েনি। ডজনে ৫ টাকা বেড়েছে বলে দাবি তাদের।

এদিকে বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম আরেকটু কমেছে। বাজারে বেশির ভাগ সবজি এখন ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পটোল, ঢ্যাঁড়স, চিচিঙ্গা ও কাঁকরোল আছে এই তালিকায়। এ ছাড়া বরবটি, কচুর লতি, উস্তা, বেগুন, ঝিঙে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। বাজারভেদে এসব সবজির দাম কিছুটা বাড়তি দামেও বিক্রি হয়েছে।

কারওয়ানবাজারের সবজি সরবরাহকারী পাইকারি ব্যবসায়ী বলরাম চন্দ্র বলেন, সম্প্রতি বৃষ্টিপাতের কারণে কৃষকরা সবজি তুলে ফেলছেন। অনেক এলাকায় বন্যার শঙ্কার কারণে অনেকে ক্ষেতের সবজি আগেভাগে তুলে ফেলছেন। এতে বাজারে গ্রীষ্মের সবজির সরবরাহ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ফলে দামও কমেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় প্রতিটি সবজির দাম কম রয়েছে।

পেঁয়াজ ও আলুর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। কিন্তু মাছের বাজারে দাম অনেকটা চড়া রয়েছে। এর মধ্যে পাঙ্গাস, তেলাপিয়া, কৈ, চিংড়ির মতো চাষের মাছগুলো অনেকটা আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।