‘পাঁচ শ’র বেশি মিসডকল পেয়েছি, ৪ দিন মোবাইল বন্ধ ছিল’
এবারের আইপিএলে ব্যর্থ হয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। গ্রুপপর্বের ১৪ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৪টিতে জয় পেয়ে শেষের দিক থেকে দ্বিতীয় হয়েছে দলটি। তবে এর মধ্যেই দারুণ কিছু ব্যক্তিগত পারফর্মার ছিল দলটিতে। যশস্বী জয়সওয়াল-রিয়ান পরাগরা উজ্জ্বল ছিলেন আপন আলোয়। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচিত ছিলেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী।
৫৫৯ রান করে টুর্নামেন্টের সেরা রান সংগ্রাহকদের একজন জয়সওয়াল। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৩৯৩ রান করেছেন পরাগ। আর ১৪ বছর বয়সী বৈভবের ২৫২ রান কম মনে হতে পারে কিন্তু এই রান তিনি করেছেন মাত্র ৭ ম্যাচে, স্ট্রাইক রেট দুই শ’র ওপরে রেখে। আইপিএলে শুরুর দিকে তাকে দলে রাখেনি রাজস্থান। দলে সুযোগ পেয়েই নিজের জাত চেনান বৈভব।
আইপিএলে নিজের মোকাবেলা করা প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন বৈভব। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিলেন পাঞ্জাব কিংসের দেওয়া ২১০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সেই বিধ্বংসী সেঞ্চুরির পর। মাত্র ৩৮ বলে ১০১ রান করার পথে ভেঙেছেন একাধিক রেকর্ড। সেই ম্যাচের পর একের পর এক কল পেয়েছেন বৈভব। যদিও সেগুলো রিসিভ করার সময় হয়নি তার। এমনকি বন্ধ করে রাখতে হয়েছে মোবাইল ফোনও।
রাজস্থানের প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সাথে খোলামেলা আলাপচারিতায় বৈভব বলেন, ‘আমি ৩-৪ বছর ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আর তার ফলাফলও দেখেছি। যা কিছু বাকি (শটের ঘাটতি) ছিল, আমি তা কাজে লাগাতে পেরেছি। একসময় যা কঠিন মনে হতো, তা সবই সহজ হয়ে গেছে। আমি বুঝতে পেরেছি যে মনোযোগী থাকা গুরুত্বপূর্ণ। স্বাভাবিক খেলা বলে কিছু নেই। আপনাকে কেবল দলের চাহিদা অনুযায়ী খেলতে হবে। এবং এই স্তরে অতিরিক্ত কিছু করার চেষ্টা করা উচিত নয়। আমাকে আমার শক্তিশালী জায়গায় থাকতে হবে এবং দলকে জয়ী করতে হবে।’
সেঞ্চুরির পরের ঘটনার বর্ণনায় বৈভব বলেন, ‘আমি ৫০০টিরও বেশি মিসড কল পেয়েছি, কিন্তু আমি আমার ফোন বন্ধ রেখেছিলাম। সেঞ্চুরি করার পর অনেক লোক আমার কাছে এসেছিল। কিন্তু আমি এটা (আশেপাশে অনেক লোক থাকা) পছন্দ করি না। আমি দূরে থাকার চেষ্টা করি। আমি ৪ দিন ধরে আমার ফোন বন্ধ রেখেছিলাম; আমি আপনাকে (দ্রাবিড়) সেটা বলেছিলাম। আমি আমার বাড়িতে আমার লোকজন এবং কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গেই থাকতে পছন্দ করি। এই তো।’