আজ ‘ফাইনাল’-এ মুখোমুখি বাংলাদেশ-আমিরাত
টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেই শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভয় পাইয়ে দিয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। পরশু রাতে তো অঘটন ঘটিয়ে দিল স্বাগতিকরা। রেকর্ড রান তাড়ায় বাংলাদেশকে ২ উইকেটে হারিয়ে অবিস্মরণীয় জয় তুলে নেয় মধ্যপ্রাচ্যের দলটি।
টাইগারদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এটাই প্রথম জয় আরবদের। এই হারের ধাক্কা সামলে উঠতে আজ ফের মাঠে নামবে লিটন দাসের দল। তিন ম্যাচের সিরিজের এই ম্যাচটা ‘অলিখিত ফাইনাল’।
প্রথম ম্যাচে আপ্রাণ চেষ্টা করেও দুইশ ছুঁতে পারেনি বাংলাদেশ। তবু শেষ পর্যন্ত জয় এসেছে। ফিরতি ম্যাচে অবশ্য দুইশ ছাড়িয়েছে দল। ৫ উইকেটে ২০৫ রানের পাহাড়সম পুঁজি গড়েছিলেন লিটন অ্যান্ড কোং। কিন্তু বিশাল এই সংগ্রহ আগলে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে সফরকারীরা। শেষ ওভারে ১২ রানের সমীকরণ ছিল আরব আমিরাতের সামনে। ১ বল হাতে রেখেই সমীকরণ মিলিয়ে ফেলে তারা।
এই ম্যাচের আগে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে ১৭৯ রানের বেশি তাড়া করে কখনও জয়ের নজির ছিল না আরব আমিরাতের। সেই দলটি এবার হিমালয় ডিঙাল। তাও আবার বাংলাদেশের মতো টেস্ট খেলুড়ে দলের সঙ্গে। রাতটা আরব আমিরাতের জন্য ঐতিহাসিক হলেও টাইগারদের জন্য ভীষণ হতাশার। বিব্রতকরও বটে। প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দুইশর বেশি রান করেও হারের মুখ দেখল বাংলাদেশ। বাজে ফিল্ডিং এবং বোলিংই হারের বড় কারণ।
শুধু দল হিসেবে নয়, ভেন্যু হিসেবেও রেকর্ড গড়েছে আরব আমিরাত। প্রথমবারের মতো দেশটিতে কোনো দল দুইশ রানের বেশি তাড়া করে সফল হয়েছে। দেড় দশকেরও বেশি সময়ে আরব আমিরাতে এটা ছিল ২৬৫ ম্যাচ।
বাংলাদেশকে ভড়কে দিয়েছেন স্বাগতিক অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম। শুরু থেকেই পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে ব্যাট করেছেন তিনি। রীতিমতো ঝড় বইয়ে দিয়েছেন তানজিম হাসান, নাহিদ রানাদের ওপর দিয়ে। আলগা এবং বাজে বোলিং আরবদের সাহসী রান তাড়ার কাজটাও সহজ করে দিয়েছে। প্রথম ১০ ওভারে স্বাগতিকরা তোলে ১০৭ রান। পরপর ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচে লড়াইয়ে ফেরে বাংলাদেশ। তবে ওয়াসিম-ঝড়ের ওপর দাঁড়িয়ে কক্ষপথেই ছিল আরব আমিরাত। শেষ ৬ ওভারে ৬০ রানের বড় চ্যালেঞ্জ ছিল তাদের।
এরপর ১১ বলে সমীকরণ নেমে আসে ২৯ রানে। আরবদের হাতে ছিল ৩ উইকেট। শেষ ওভারে তানজিম এসে ডোবান। অন্যরাও খাপছাড়া বোলিং করেছেন। বোলারদেরও তাই বিশেষভাবে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন লিটন।
এমন হতাশার ম্যাচে অভিষেক হয়েছে নাহিদের। কিন্তু অভিষেকের স্নায়ুচাপ সামলাতে পারেননি তিনি। ৪ ওভারে ৫০ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন নাহিদ। ১ উইকেট নিয়ে ৫৫ রান খরচ করেন তানজিম। এই দুজনই মূলত ডুবিয়েছেন দলকে। তাদের বেধড়ক পিটিয়েছেন আরব ওপেনার ওয়াসিম। ৪২ বলে ৮২ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন তিনি। ইনিংসে ৯টি চার ও ৫টি ছক্কা হাঁকান এই ওপেনার। অবধারিতভাবেই তিনি হয়েছেন ম্যাচসেরা।