ডিএসসিসির মেয়র ঘোষণার গেজেট স্থগিতের রিটের শুনানি আজ
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া গেজেট স্থগিত চেয়ে রিটের ওপর শুনানির জন্য আজ মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল সোমবার বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ এ দিন রাখেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ডিএসসিসি নির্বাচন হয়। পরদিন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে মেয়র পদে তাপস পেয়েছিলেন সোয়া চার লাখ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ইশরাক পান দুই লাখ ৩৬ হাজার ভোট। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক।
গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হয়। এর পর ডিএসসিসির প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন অতিরিক্ত সচিব শাহজাহান মিয়া। এর মধ্যে গত ২৭ মার্চ ডিএসসিসির ২০২০ সালের নির্বাচনে তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। আদালত ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন। রায়ের পর ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন:
একে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এদিকে গেজেট প্রকাশের দিন ইশরাককে ডিএসসিসির মেয়র ঘোষণা করে দেওয়া রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল করে আইনি নোটিশ দেন রফিকুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ নামে দুই ব্যক্তি। নোটিশে গেজেট প্রকাশ এবং ইশরাককে শপথ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। তখন ওই দুই ব্যক্তির আইনজীবী বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া না মেনে দ্রুত রায়টি দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করেছিলাম, ইসি এই আদেশকে চ্যালঞ্জ করবে। কিন্তু ইসি করেনি। আবার খবরে দেখলাম, আইন উপদেষ্টা বলছিলেন, আইন মন্ত্রণালয়ের যে মতামত চাওয়া হয়েছিল, সে জন্য অপেক্ষা না করে গেজেট জারি করা হয়েছে।
আইজনজীবী আরও বরেন, ট্রাইব্যুনাল এমন কোনো আদেশ দিতে পারেন না, যে আদেশের কোনো কার্যকারিতা নাই। এখানে টার্ম শেষ হয়ে গেছে। অধ্যাদেশের মাধ্যমে মেয়র পদ শূন্য করে দেওয়া হয়েছে। পরে মামুনুর রশিদ হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে ২৭ মার্চের রায় ও ২৭ এপ্রিলের গেজেট কেন বেআইনি হবে না এবং ইশরাককে শপথ পরিচালনা থেকে বিরত রাখার নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় রায় ও গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে ইশরাকে মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে নগর ভবন ব্লকেড কর্মসূচিতে নেমেছেন তার সমর্থকরা। কয়েক দিন ধরে এ নিয়ে তারা কর্মসূচি পালন করে আসছেন।