বাবা-মা ছিলেন পাকিস্তানের কাশ্মীরে, ভারতে মুষড়ে পড়েছিলেন মঈন
পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর পুনরায় শুরু হওয়া আইপিএলে আর খেলতে আসেননি ইংলিশ ক্রিকেটার মঈন আলী। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছেন তিনি। ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সংঘাত শুরু হওয়ার সময় স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে দলের সঙ্গেই ছিলেন মঈন। তবে ওই একই সময় পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে ছিলেন তার বাবা-মা। এতে ভীত হয়ে পড়েছিলেন মঈন।
বিয়ার্ড বিফোর উইকেট পডকাস্টে কথা বলতে গিয়ে ভীতিকর সেই অভিজ্ঞতা জানান মঈন। অপারেশন সিঁদুরের অংশ হিসেবে ভারত যেখানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছিল সেখান থেকে মাত্র এক ঘণ্টার দূরত্বে ছিলেন মঈনের বাবা-মা। যদিও শেষ ফ্লাইটে পাকিস্তান থেকে বের হয়ে যান তারা।
মঈন বলেন, ‘আমার বাবা-মা আসলে তখন কাশ্মীরে ছিলেন... পাকিস্তানে, যেখানে হামলা হয়েছিল সেখান থেকে মাত্র এক ঘন্টা দূরে। হয়তো আরও কিছুটা দূরে। তাই ব্যাপারটা একটু উদ্বেগজনক ছিল এবং তারপর তারা সেদিন একমাত্র (চলা) বিমানে (পাকিস্তান থেকে) বের হতে সক্ষম হন। আমি খুশি হয়ে গিয়েছিলাম যে তারা বের হতে পেরেছে, কিন্তু ব্যাপারটা আসলেই উদ্বেগজনক ছিল।’
ভারতে নিজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল, তার বর্ণনায় মঈন বলেন, ‘এটা ভয়ংকর ছিল, স্পষ্টতই সবকিছু শুরু হওয়ার আগেই কাশ্মীরে হামলা হয়েছিল। তারপর কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতির মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে গেল এবং হঠাৎ করেই আমরা পরিস্থিতির মাঝে চলে গেলাম। মনে হচ্ছিল আমরা যুদ্ধের মাঝখানে আছি, কিন্তু স্পষ্টতই আমরা কিছুই শুনতে পাইনি (যেমন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা)। হঠাৎ করেই তারপর দেশ (ভারত) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য এবং পরিবারকে নিরাপদ করার জন্য চিন্তা। পরিবারের অন্যরা আমাদের বাড়ি ফেরার জন্য এবং আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে আছি কি না তা নিশ্চিত করার জন্য চিন্তিত।’
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে অবসর ঘোষণা করা এই সাবেক ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার জানান, টুর্নামেন্ট স্থগিত হওয়ার আগেই ভারত ছেড়ে চলে যেতে পেরেছিলেন তিনি।
মঈনের ভাষায়, ‘তারা (বিসিসিআই) এটা (আইপিএল) স্থগিত করার আগে...আমি তাদের মধ্যে একজন যারা আইপিএল বা পিএসএলে খেলছি কি না। যেটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা হচ্ছে নিরাপদ থাকা। অথবা যতটা সম্ভব নিরাপদ থাকার চেষ্টা করা। আমি বলতে চাচ্ছি যে আপনি বিশ্বের কোথাও কখনো নিরাপদ নন। তবে স্পষ্টতই আপনার পরিবার এবং বাচ্চাদের যতটা সম্ভব রক্ষা করার চেষ্টা করুন। এই ধরনের অবস্থা থেকে নিশ্চিত করুন যে সবকিছু ঠিক আছে। সত্যি বলতে, তারা এটি বাতিল করার আগেই আমি (টুর্নামেন্ট থেকে) বেরিয়ে (ভারত থেকে) এসেছিলাম।’