অক্টোবরে ছাপানো শেষ করতে চায় এনসিটিবি

এম এইচ রবিন
১৬ মে ২০২৫, ০০:০০
শেয়ার :
অক্টোবরে ছাপানো শেষ করতে চায় এনসিটিবি

আগামী বছর নতুন শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যবই চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যেই ছাপানো সম্পন্ন করতে চায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড-এনসিটিবি। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হবে নতুন সংস্করণের পাঠ্যবই।

২০২৬ সালের জন্য প্রাথমিক স্তরে প্রায় ৯ কোটি বই ছাপানো হবে। এ বছর পাঠ্যবই নিয়ে অনেকটা নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে এনসিটিবিকে। এ থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে আগামী ডিসেম্বরেই সবস্তরের পাঠ্যবই ছাপানো শেষ করতে চায় এনসিটিবি।

এনসিটিবির তথ্যানুযায়ী, এ বছর প্রাথমিকের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে ২০১২ সালের কারিকুলামের বই পড়ানো হচ্ছে। আগামী বছর থেকে এ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন সংস্করণের পরিমার্জিত পাঠ্যবই দেওয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী আমাদের সময়কে বলেন, আগামী বছর নতুন শিক্ষাবর্ষে জন্য প্রাথমিক স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যবই অক্টোবরের মধ্যেই ছাপানো শেষ করতে চাই। নতুন বছরে প্রাথমিক স্তরের প্রায় ৯ কোটি বই পৌঁছানোর লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে এনসিটিবি।

পাঠ্যবই ছাপানোর দরপত্র কার্যক্রম কিছুটা শুরু হয়েছে জানিয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, ইতোমধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণির বইয়ের টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। সারাদেশের জেলা-উপজেলাগুলো থেকে বইয়ের চাহিদা নেওয়া হয়েছে। অন্য শ্রেণির বইয়ের টেন্ডার কার্যক্রম জুনের মধ্যে শেষ করা হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের শেষদিকে কারিকুলাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। সে সময় ২০২১ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে শিক্ষার্থীদের নতুন পাঠ্যক্রমের বই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর ২০২১ সালে প্রাথমিকের প্রথম, দ্বিতীয় শ্রেণি ও ২০২২ সালে তৃতীয় শ্রেণির বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলা হয়। এবার ২০২৬ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই পরিমার্জন করে ২০২১ সংস্করণের বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনসিটিবি।

দীর্ঘদিনের চর্চা পাঠ্যবই উৎসব প্রথা ভঙ্গ হয়েছে এ বছর। ‘অপ্রয়োজনীয় খরচ’ এড়াতে অন্তর্বর্তী সরকার বাতিল করেছে ঘটা করে বই উৎসব। কয়েক বছর ধরেই ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিনটি সারাদেশে ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস’ হিসেবে পালন কর হয়। প্রাথমিক, ইবতেদায়ি, মাধ্যমিক, দাখিল ও কারিগরি শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেওয়া হয় এই দিন।