আ.লীগকে আর দেখতে চায় না ১৮ কোটি মানুষ

চট্টগ্রামে তারুণ্যের সমাবেশে মির্জা ফখরুল

চট্টগ্রাম ব্যুরো
১১ মে ২০২৫, ০০:০০
শেয়ার :
আ.লীগকে আর দেখতে চায় না ১৮ কোটি মানুষ

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে- উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের ১৮ কোটি মানুষ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে আর দেখতে চায় না। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র, বাক-স্বাধীনতা, আইনশৃঙ্খলা, দেশের অর্থনীতিÑ সবই ধ্বংস করে দিয়েছে। গতকাল শনিবার বিকালে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড মাঠে তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বিভাগীয় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল যৌথভাবে এ সমাবেশের আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আমরা এখানে সমাবেশ করছি। আরেকটি সমাবেশ হচ্ছে ঢাকায়। দাবিটা কী, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা। বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ আওয়ামী লীগকে চায় না। তারা দেশে ফ্যাসিবাদ বাকশাল কায়েম করেছিল। প্রথম সংস্কার করেছেন জিয়াউর রহমান। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, অর্থনীতির আজকে যে ভিত্তি গার্মেন্ট সেক্টর, সেটাও জিয়াউর রহমানের অবদান। কেয়ারটেকার ব্যবস্থা এনেছেন খালেদা জিয়া। আজকে সবাই সবকিছু ভুলে যায়। বিদেশ থেকে এসে বড় বড় কথা বললে মানুষ ভুলে যাবে তাই না!

বাংলাদেশ কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে- মন্তব্য করে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দয়া করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে বাকি কাজগুলো দ্রুত সম্পন্ন করুন। হাসিনা ভারত পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এখনও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা বলছে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হতে দেবে না। আমরা যাদের দায়িত্ব দিয়েছি, তারা সঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না। আমাদের তরুণরা ব্যবসা চায়, চাকরি চায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শান্তি চায়। একটা গণতান্ত্রিক দেশ চায়, যেখানে যে যার কথা বলবে। আমরা সে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আজকে তারুণ্যের সমাবেশের একটা উদ্দেশ্য, তরুণরা আবার জেগে ওঠো; সমস্ত চক্রান্ত ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করেছেন গণতান্ত্রিক দেশের জন্য, খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য কাজ করেছেন। তারেক রহমান আধুনিক বাংলাদেশ করতে চান। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিক্রি করে কিছু চাই না। এ জন্য তারেক রহমান বলেছেন, সবার আগে বাংলাদেশ। তিনি বলেছেন, ফয়সালা হবে রাজপথে, সেটাই হয়েছে।

নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে : খসরু

বাংলাদেশে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু বলেছেন, কেউ এটাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। গণতন্ত্রের পথ কেউ যাতে রুদ্ধ করতে না পারে, সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। তারুণ্যের সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে যাব, কারও উসকানিতে পা দেওয়া যাবে না। এটা তারেক রহমানের সিদ্ধাস্ত। আমরা নতুন সংস্কৃতি সৃষ্টি করতে চাই, সহনশীল থাকতে হবে সবাইকে।

তারুণ্যের সমাবেশে তামিম ইকবাল

তারুণ্যের সমাবেশে উপস্থিত হয়েছিলেন তামিম ইকবাল। বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি পলিটিক্যাল কেউ না। আমি একজন স্পোর্টসম্যান। তাই আমি স্পোর্টস নিয়ে কিছু কথা বলব। একসময় চট্টগ্রাম থেকে পাঁচ-ছয়জন করে ন্যাশনাল টিমে প্রডিউস করত। কিন্তু লাস্ট ১০-১৫ বছর আগে সেরকম প্লেয়ার উঠে আসেনি। তিনি বলেন, আমি চাইব, আগামীতে যেন উঠে আসে। এ জন্য কার জন্য কী প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা নয়; আমরা কেন ন্যাশনাল টিমে যেতে পারিনি, তা দেখতে হবে। আর কী করলে আমরা স্পোর্টসে আরও অংশগ্রহণ করতে পারব, অবদান রাখতে পারবÑ তা নিয়ে কাজ করতে হবে।

স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানীর সভাপত্বে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাৎ হোসেন। সমাবেশে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল, যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মো. এরশাদুল্লাহ, সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান নাজিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।