পাকিস্তান থেকে দেশে ফিরে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা শোনালেন রিশাদ
প্রথমবারের মতো বিদেশে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন রিশাদ হোসেন ও নাহিদ রানা। তবে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সংঘাতের কারণে এক কঠিন মুহূর্তের মুখোমুখি হয়েছিলেন এই দুজন। আতঙ্কের মুখে আজ শনিবার পাকিস্তান ছেড়ে দেশে পা রেখেছেন রিশাদ-নাহিদ।
ভারতের সঙ্গে সংঘাতের জেরে পাকিস্তানে পিএসএল খেলতে যাওয়া বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছিল বেশ কয়েকদিন ধরেই। তবে গত বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাশে ফুড স্ট্রিটের একটি ভবনে ভারতের ড্রোন হামলার পর পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়। সেই হামলার পর প্রথমে ম্যাচ ও পরে পিএসএলই স্থগিত হয়ে যায়। আর বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে বাড়ে উত্তেজনা।
রিশাদ-নাহিদকে ফেরাতে পরে উদ্যোগ নেয় বিসিবি, যোগাযোগ করতে থাকে পিসিবির সঙ্গেও। প্রথমে পাকিস্তান থেকে বিশেষ বিমানে দুবাইয়ে আনা হয় বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটারকে, সেখান থেকে আজ বিকেলে ঢাকায় পৌঁছান নাহিদ রানা ও রিশাদ।
বিমানবন্দরে অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে রিশাদ বলেন, ‘ ‘আসলে প্রথম যে পরিস্থিতি আমরা দেখেছি, শুনতে পেয়েছি, শোনার পর একটু আতঙ্কিত হয়েছিলাম সবাই, ভয় কাজ করছিল। সবাই সমর্থন করছিল দেশ থেকে, টিম ম্যানেজমেন্ট থেকেও। বিসিবি থেকেও অনেক খোঁজখবর নিয়েছে।’
পাকিস্তান থেকে পরিবারকেও সান্ত্বনা দিতে হয়েছে রিশাদের, ‘চেষ্টা করছি ভালো রাখার জন্য (পরিবারকে), ইতিবাচক কথা বলার জন্য, যেন টেনশন না করে।’ রাওয়ালপিন্ডিতে হামলার দিন রিশাদ ও নাহিদ একসঙ্গেই ছিলেন। সেসময় থেকে নাহিদকেও সান্ত্বনা দিতে হয়েছে রিশাদকে, ‘নাহিদ রানা একটু ঘাবড়ে যায় এবং একটু চুপচাপ ছিল। আমি ওকে বলছি টেনশনের কিছু নেই, আমরা দুজন আছি। আল্লাহ তো আছেই।’
পিএসএল খেলতে যাওয়া বিদেশিরা ভয় পেয়েছিল উল্লেখ করে রিশাদ বলেন, ‘ওরা (বিদেশি ক্রিকেটাররা) অনেক ডিপ্রেশনে পড়ে গিয়েছিল...কীভাবে যাবে, কী করবে, না করবে। ওরা মানসিকভাবে অনেক ভেঙে পড়েছিল।’
টুর্নামেন্টে রিশাদ খেলার সুযোগ পেলেও এক ম্যাচও খেলতে পারেননি নাহিদ। ৫ ম্যাচ খেলে লাহোর কালান্দার্সের হয়ে ৯ উইকেট নিয়েছেন লেগ স্পিনার রিশাদ। অন্যদিকে, টুর্নামেন্টের মাঝপথে পেশোয়ার জালমিতে যোগ দিয়েছিলেন নাহিদ। তবে টিম কম্বিনেশনের কারণে জায়গা হয়নি তার।