ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থায় বিপাকে আইপিএলের ৩ ফ্র্যাঞ্চাইজি

স্পোর্টস ডেস্ক
০৭ মে ২০২৫, ১৮:০২
শেয়ার :
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থায় বিপাকে আইপিএলের ৩ ফ্র্যাঞ্চাইজি

ভারত-পাকিস্তান এখন সর্বাত্মক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে। গত মাসে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের ওপর হামলার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে ভারত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালে শুরু হয় এই যুদ্ধাবস্থা। দুই প্রতিবেশী দেশের এই উত্তেজনার প্রভাব পড়েছে ক্রীড়াঙ্গনেও। 

যুদ্ধাবস্থার ফলে ভারতের পাকিস্তান সীমান্তবর্তী ১৮টি বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে বিপাকে পড়েছে পাঞ্জাব কিংস, দিল্লি ক্যাপিটালস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের মতো একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি। 

আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিল্লি ক্যাপিটালস ও পাঞ্জাব কিংসের মধ্যে খেলা আছে হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালা স্টেডিয়ামে। এই মাঠটিকে নিজেদের দ্বিতীয় হোম ভেন্যু হিসেবে বেছে নিয়েছে পাঞ্জাব। আগামী ১১ মে মুম্বাইকেও এই মাঠে আতিথ্য দেবে পাঞ্জাব। তবে ধর্মশালা বিমানবন্দরও সাময়িকভাবে বন্ধ হওয়ার তালিকায় আছে। তাই বিপাকে এসব ফ্র্যাঞ্চাইজি। 

ধর্মশালায় খেলা হওয়ার পর আগামী রবিবার ঘরের মাঠে গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে খেলবে দিল্লি। তবে ধর্মশালা বিমানবন্দর বন্ধ হওয়ায় তারা কীভাবে দিল্লি যাবে সেটি নিয়েই বিপাকে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। এক্ষেত্রে তাদের বিকল্প হচ্ছে সড়কপথ ব্যবহার করা। তবে এত পথ অতিক্রম করে খেলা বেশ কঠিনই হবে।

বিসিসিআইয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে পিটিআই বলেছে, ‘এই মুহূর্তে সবকিছুই অনিশ্চিত। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং বিমানবন্দর বন্ধ থাকলে ধর্মশালা থেকে দিল্লি ভ্রমণের বিকল্পগুলি কী কী তা নিয়ে তারা অভ্যন্তরীণভাবে আলোচনা করছে। (দিল্লি ক্যাপিটালসের জন্য) একটি বিকল্প হল বাস ভ্রমণ, তবে এটি কেবল দলের খেলোয়াড়দের ব্যাপারই নয় বরং সম্প্রচারকর্মী এবং অন্যান্য সরঞ্জামগুলো পরিবহনের জন্যও বেশ কঠিন। এটি একটি ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি।’

ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা চরমে ওঠার পর ভারতের শ্রীনগর, লেহ, জম্মু, অমৃতসর, পাঠানকোট, চণ্ডীগড়, যোধপুর, জয়সলমের, সিমলা, ধর্মশালা এবং জামনগরসহ উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি বেসামরিক বিমানবন্দরে সাময়িক স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।

হিমাচল প্রদেশে পৌঁছানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট হাব চণ্ডীগড়। তবে এই বিমানবন্দরটিও বর্তমানে বন্ধ থাকায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মতো দল আগামী ১১ মে তাদের খেলার জন্য ধর্মশালায় কীভাবে যাবে সেটি নিয়ে তারা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। ফলে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির কাছে সরকারি নির্দেশের জন্য অপেক্ষা কর ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।