২৮ মাস পর ওপেনিং জুটির সেঞ্চুরি, সাদমান পেলেন ৪ বছর পর
সিলেট টেস্টে ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। চট্টগ্রাম টেস্টে সেটি পুষিয়ে দেওয়ার পণ করেই যেন নেমেছিলেন টাইগাররা। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দীর্ঘ ২৮ মাস পর সেঞ্চুরি জুটি পেয়েছেন বাংলাদেশের ওপেনাররা। অন্যদিকে, ৪ বছর পর সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ওপেনার সাদমান ইসলাম।
জিম্বাবুয়েকে প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানে অলআউট করে চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে শুরুটা দুর্দান্ত করেন এনামুল হক বিজয় ও সাদমান। গড়েন ১১৮ রানের নান্দনিক জুটি। চট্টগ্রামের এই মাঠেই এর আগের শতরানের ওপেনিং জুটি পেয়েছিল বাংলাদেশ। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসান গড়েছিলেন ১২৪ রানের জুটি। আজ ৩ বছর ও ৩৩ ইনিংস পর ভাঙল আড়াই বছরের খরা। সবশেষ ১৩ ইনিংসে উদ্বোধনী জুটিতে পঞ্চাশও ছিল না বাংলাদেশের।
দলীয় ১১৮ রানে বিজয় ফিরলে ভাঙে বাংলাদেশের দারুণ এই জুটি। ৮০ বলে ৩৯ রান করে থামেন হঠাৎই টেস্টে ডাক পাওয়া এই ওপেনার। ব্লেসিং মুজারাবানির বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। তবে বিজয় ফিরলেও আরেক পাশে রানের চাকা সচল রেখে খেলতে থাকেন সাদমান।
দ্বিতীয় সেশনে সাদমান পেয়ে যান কাঙ্খিত সেঞ্চুরিও। ৪২তম ওভারে রিচার্ড এনগারাভার বলে চার মেরে রাজকীয় ভঙ্গিতেই ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন এই ওপেনার। ক্যারিয়ারে এটি তার দ্বিতীয় শতক। এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ২০২১ সালে হারারেতে ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক শতক হাঁকিয়েছিলেন সাদমান।
হারারের সেই সেঞ্চুরির পর তিনটা ফিফটি করেছেন সাদমান। রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে করে ফেলেছিলেন ৯৩ রানও। তবে সেঞ্চুরি আর পাওয়া হয়নি। অবশেষে ২৬ ইনিংস পর এল সেই মুহূর্ত। সেঞ্চুরি করার পথে ১ হাজার রানের মাইলফলকও পেরিয়েছেন সাদমান।
চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। এই মুহূর্তে ৪৪ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান টাইগারদের। সাদমান ১০৩ রানে ও মুমিনুল হক ১২ রানে অপরাজিত আছেন। জিম্বাবুয়ের থেকে বাংলাদেশ পিছিয়ে এখন মাত্র ৭১ রানে।