যেমন হতে পারে চট্টগ্রাম টেস্টের ভেন্যু
সিলেট টেস্টে হেরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের আশা শেষ হয়ে গেছে আগেই। এবার লড়াই সিরিজ বাঁচানোর। চট্টগ্রামে জয়ের বিকল্প নেই নাজমুল হোসেন শান্তদের। এজন্য অবশ্য চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেটটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
সিলেটের উইকেটে ঘাস ছিল, পেস সহায়ক ছিল। বল গতিময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাউন্সও করেছে বেশ। সেই সুবিধার ফায়দা পুরোপুরি নিতে পেরেছেন ব্লেসিং মুজারাবানি কিংবা ভিক্টর নিয়াচিরা। বাংলাদেশের ব্যাটারদের বেশি সমস্যা হয়েছে মুজারাবানির বল খেলতে। অবশ্য, স্পিনারদের জন্যও ছিল সহায়তা। ব্যাটারদের জন্যও মন্দ ছিল না। সেটিকে বলা যায় স্পোর্টিং উইকেট।
যদিও সিলেটের মতো নয় চট্টগ্রামের উইকেট। আবহাওয়া, মাটির ধরন ও কন্ডিশনের মধ্যে পার্থক্য আছে। ব্যাটার সহায়ক চট্টগ্রামে পরের দিকে উইকেট বেশ শুষ্ক ও মন্থর হয়ে যায়। তাতে সহায়তা পান স্পিনাররাও। চট্টগ্রামের উইকেট কেমন হবে, সে সম্পর্কে আগামীকাল শুরু হওয়া দ্বিতীয় টেস্টের আগে একটু ধারণা দিলেন বাংলাদেশ দলের কোচ ফিল সিমন্স।
বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘উইকেট খুবই ভালো মনে হচ্ছে। বেশ শক্ত, মসৃণ এবং কিছুটা শুষ্ক। ম্যাচের পরের দিকে কিছুটা টার্ন আশা করতে পারি, যা আমাদের জন্য সুবিধাজনক হতে পারে।’
চট্টগ্রামের উইকেটে সামান্য ঘাস আছে। ম্যাচের দিন সকালে সেটিও কমিয়ে দেওয়া হতে পারে। জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনের কথায়ও কিছুটা ফুটে উঠল উইকেটের চরিত্র, ‘নেটের উইকেটগুলো আমাদের কাছ কিছুটা মন্থর মনে হয়েছে। খেলা যত এগোবে, হয়তো স্পিন বেশ বড় ভূমিকা রাখবে এই টেস্টে।’