কুষ্টিয়ার চালের বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে
কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দাম বাড়াচ্ছে অসাধু চালকল মালিকরা
কুষ্টিয়ার খাজানগর মোকামে মিলগেটে চালের পাইকারি দামে একের পর এক বৃদ্ধির প্রভাবে খুচরা বাজারে দেখা দিয়েছে মারাত্মক অস্থিরতা। গত দুই সপ্তাহে মিনিকেট চালের কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা। বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়, যা আগে ছিল ৭৮ থেকে ৮০ টাকা। খুচরা বিক্রেতারা বলেছেন, প্রশাসনের নজরদারির অভাবে অসাধু চালকল মালিকরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তাদের মতে, ‘মিনিকেট’ নামে কোনো ধান না থাকলেও সরু চালের নাম করে দাম বাড়ানোর ফাঁকফোকর কাজে লাগানো হচ্ছে। মেসার্স মা ট্রেডার্সের মালিক মনজুরুল হক জানান, অর্ডার দিয়েও মিলগেট থেকে চাল সংগ্রহ করতে পারছি না। তার মতে, বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, বারবার চালের দাম বাড়ায় তারা চরম বিপাকে পড়েছেন। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোয় ব্যয় সামলানো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। মোশারফ হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা কৌশলে দাম বাড়াচ্ছেন। প্রশাসন যদি কঠোর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে সংকট আরও বাড়বে। সরকারের উচিত নজরদারি বাড়ানো ও আসাধু ব্যবসায়ীদের শাস্তির আওতায় আনা।
এদিকে চালকল মালিকরা দাবি করছেন, ধানের সংকট এবং দাম বৃদ্ধির কারণেই চালের দাম বেড়েছে। মিল মালিক লিয়াকত আলী বলেন, প্রতি মণ ধানের দাম ৩০০ টাকা বেড়ে গেছে, তবুও বাজারে পর্যাপ্ত ধান মিলছে না। ফলে মিনিকেট চালের সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। খাজানগর মোকামে ধান ও চালের মজুদ খুবই কম। বর্তমানে অর্ডার নিয়েও ব্যবসায়ীদের কাছে চাল সরবরাহ করতে পারছেন না সিংহভাগ মিল মালিক। সরকারের উচিত চাল আমদানি করা। বাংলাদেশ অটো মেজর
আরও পড়ুন:
আকতার পারভেজ সর্বোচ্চ ভোটে সিএসই পরিচালক
অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির কুষ্টিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন জানান, প্রতিবছর এই সময়ে সরু ধান ও মিনিকেট চালের দাম বাড়ে। দুই-তিন সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি মণ সরু ধানের দাম বেড়েছে প্রায় ৩০০ টাকা।
এক সপ্তাহ আগে প্রতি মণ ধানের দাম ছিল ১ হাজার ৯০০ টাকা, সেই ধান বর্তমানে ২ হাজার ৫০০ টাকা। ধানের দাম বৃদ্ধি ও সংকটের কারণে চালের দাম বেড়েছে। তবে বোরো ধান উঠতে শুরু করেছে, আশা করছি পরিস্থিতির উন্নতি হবে। তিনি চাল আমদানির পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন:
বৃহত্তম হিমশৈল
তবে কেন্দ্রীয় সংগঠনের সভাপতি আব্দুর রশিদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান জানান, বাজার মনিটরিং টিম সক্রিয় রয়েছে এবং তা আরও জোরদার করা হবে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক মাসুম আলী বলেন, ধানের দামের প্রভাব থাকলেও কেউ যদি অতি মুনাফার চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন:
কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম