বাংলাদেশের শতবর্ষী পাঠাগারের একাল-সেকাল
আধুনিক সমাজে লাইব্রেরি বলতে আমরা বুঝি বই বিক্রয়কেন্দ্র, যেখানে পাঠকদের সুবিধার্থে রিডিং কর্নার থাকে। কিন্তু পাঠাগার বলতে বোঝায় বই পড়ার স্থান এবং যেখান থেকে বাড়িতে পড়ার জন্য বই ধার করা যায়। ভারতীয় উপমহাদেশে ক্লাব কালচারের সঙ্গে গড়ে উঠেছিল পাঠাগার, যে পাঠাগার ঘিরে অঞ্চলের মুরব্বিরা চা পান এবং পেপার পড়ার ফাঁকে আড্ডা দিতেন। পাঠাগার শুধু বই পড়ার স্থান নয়, পাঠাগারে তৈরি হয় সামাজিক বন্ধন। কালের সাক্ষী বহন করছে শতবর্ষী অনেক পাঠাগার, যেসব পাঠাগার সামাজিকীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে এসেছে। কিন্তু পুঁজিবাদী সমাজের জাঁতাকলে অধিকাংশ শতবর্ষী পাঠাগার আজ ধ্বংসস্তূপ। দেশজুড়ে শতবর্ষী পাঠাগারের সংখ্যা পঞ্চাশোর্ধ্ব। দেশের শতবর্ষী পাঠাগারগুলো নিয়ে বিস্তরিত লিখেছেন সাগর মল্লিক
ঢাকার প্রথম পাঠাগার রাজা রামমোহন রায় পাঠাগার
১৬১০ সালে সুবেদার ইসলাম খান ঢাকায় বাংলার রাজধানী স্থানান্তর করলে জলাভূমি থেকে শহরে রূপান্তিত হয় ঢাকা। শহরের গোড়াপত্তনের আড়াইশ বছর পরে ১৮৬৯ সালে সর্বপ্রথম ঢাকায় পাঠাগার স্থাপন করা হয়। পাঠাগারের নাম রাজা রামমোহন রায় পাঠাগার। মূলত ঢাকার ব্রাহ্মসমাজের মাধ্যমে পরিচালিত হতো পাঠাগারটি। রবি ঠাকুর থেকে বঙ্কিম, জীবনানন্দ দাশের মতো কবি-সাহিত্যিকের পদধূলি রয়েছে এখানে। বুদ্ধদেব বসু, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, কবি সুফিয়া কামাল, ড. কাজী মোতাহার হোসেন, আবদুল ওদুদ, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন ও কবি শামসুর রাহমানের মতো বিখ্যাত মানুষ এই লাইব্রেরিতে বই পড়েছেন। লাল ভবনটি আজও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু পাঠাগার কক্ষটি উধাও। পাটুয়াটুলী সড়কে ঢোকার মুখে চোখে পড়বে বিশাল লোহার গেটওয়ালা লাল-সাদা বাড়ি। এই বাড়িতে অবস্থিত ঢাকার প্রথম পাঠাগার। এখানে পাঁচ হাজারের বেশি দুষ্প্রাপ্য বই ছিল। এ ছাড়া পাঠগৃহ ভরপুর ছিল দেশ-বিদেশের খ্যাতিমান লেখক, কবি, সাহিত্যিক, ধর্মীয় ও দার্শনিকদের বই-পুস্তকে। কিন্তু ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাবিরোধীদের লুটপাটের পর দুষ্প্রাপ্য সেসব পুস্তক আর সংগ্রহ করা যায়নি। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে গেছে অনেক গ্রন্থ। ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ২০০৯ সালে এটি ভেঙে ফেলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে একে ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ঘোষণা করে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু শুধু মরে গেছে প্রাণের লাইব্রেরিটি। লাইব্রেরি কক্ষটি তালাবদ্ধ পড়ে থাকে।
ঢাকার টাউন হল থেকে লাইব্রেরি ভবন নর্থব্রুক হল
১৮৭৪ সালে ভারতের গভর্নর জেনারেলের ঢাকা সফর স্মরণীয় করে রাখার জন্য নির্মাণ করা হয় নর্থব্রুক হল। শুরুতে টাউন হল হিসেবে নির্মাণ করা হলেও ১৮৮২ সালে একে গণগ্রন্থাগারে রূপ দিয়ে জনসন হল নামকরণ করা হয়। ভবনের রং লাল হওয়ার কারণে স্থানীয় লোকজন লালকুঠি নামে ডাকে এই স্থানকে। স্বল্পসংখ্যক বই নিয়ে পাঠাগারটির যাত্রা শুরু হলেও কয়েক বছরের মধ্যে এর বইসংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। ১৮৮৭ সালে এই পাঠাগারের জন্য বিলেত থেকে বই আনা হয়েছিল। সদরঘাটের বুড়িগঙ্গা নদীর ধার ঘেঁষে অবস্থিত ভবনটি পাকিস্তান আমলের ঐতিহ্যধারায় শুরু করে। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় শ্রীহীন হয়ে পড়ে আছে পাঠাগারটি। ধীরে ধীরে কমতে থাকে পাঠক। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাঠাগারের অধিকাংশ বই নষ্ট হয়ে যায়। স্বাধীনতার পরও গ্রন্থাগারের হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের তেমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ২০০৮ সালের বিধি অনুযায়ী রাজউক মহাপরিকল্পনাভুক্ত স্থাপনা হিসেবে নর্থব্রুক হলকে সংরক্ষণের জন্য তালিকাভুক্ত করে। বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে রয়েছে হলটি। এবং নতুনভাবে লাইব্রেরি ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।
ডাহুকডাকা জনপদের পাঠাগার রামনারায়ণ পাবলিক লাইব্রেরি
১৯০৭ সালের কথা। অজপাড়াগাঁয়ের ডাহুকডাকা এক জনপদে গড়ে ওঠে একটি পাঠাগার। ১১৮ বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য ধারণ করে আজও স্বমহিমায় জানান দিচ্ছে নিজের অস্তিত্ব, নাম রামনারায়ণ পাবলিক লাইব্রেরি। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা সদরে এই গ্রন্থাগারের অবস্থান। ভবনটি স্বমহিমায় এলাকাবাসীকে জানান দেয় আসুন, বই পড়ুন।
দ্বিতল গ্রন্থাগারটি ১১ শতাংশ জমির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। ১৪ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ আছে বেসরকারি এই গ্রন্থাগারের। পদাধিকারবলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এর সভাপতি। ভবনের পাঠাগারকক্ষে চেয়ার, টেবিল, বই, পত্রিকা সব কিছু আছে। ইচ্ছামতো বই পড়া যায়, সদস্যরা বই বাড়িতে নিতে পারেন। বর্তমানে গ্রন্থাগারের আজীবন সদস্য আছেন ১ হাজার ৫৭৪ জন। এক হাজার টাকা জমা দিয়ে হওয়া যায় আজীবন সদস্য। সাধারণ সদস্যের মাসিক চাঁদা মাত্র ছয় টাকা এবং ছাত্রদের জন্য চার টাকা। গ্রন্থাগারের পাঠককক্ষে বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকা নিয়মিত রাখা হয়।
আরও পড়ুন:
পাঠাগার গড়া যাদের স্বপ্ন ছিল
কিশোরগঞ্জ মহকুমার বাতিঘর আলীমুদ্দীন লাইব্রেরি
১৯০৩ সালের অবিভক্ত ব্রিটিশ বাংলার কথা। পূর্ব বাংলার কিশোরগঞ্জ মহকুমা শহরে প্রতিষ্ঠা লাভ করে একটি লাইব্রেরি। ঔপনিবেশিক পশ্চাৎপদ পরিস্থিতিতে স্কুল-কলেজ-শিক্ষার্থীহীন অজপাড়া-মফস্বলে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার কথা বাণিজ্যিক বিবেচনায় লাভজনক না হলেও দূরদৃষ্টির দিক থেকে ছিল অগ্রসর পদক্ষেপ। আলীমুদ্দীন লাইব্রেরি নামে সেই প্রতিষ্ঠান সুদীর্ঘ ১২২ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে কিশোরগঞ্জ অঞ্চলের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিকাশে পালন করে চলেছে গৌরবময় এবং ঐতিহাসিক ভূমিকা। অনির্ধারিত আড্ডা ও আলোচনায় প্রতিদিন জমায়েত হন স্থানীয় সুধীসমাজের প্রতিনিধিরা।
পাঠক আসে না তাই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে নাটোরের ভিক্টোরিয়া পাবলিক লাইব্রেরি
পাঠক সংকটে প্রাণহীন অবস্থা নাটোরের প্রাচীন ভিক্টোরিয়া পাবলিক লাইব্রেরির। নাটোরের মহারাজা জগদিন্দ্রনাথ রায়ের আমন্ত্রণে ১৮৯৮ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটোরে আগমন ঘটে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরামর্শে ১৯০১ সালে সাহিত্যিক ও শিক্ষানুরাগী মহারাজা জগদিন্দ্রনাথ রায় প্রতিষ্ঠা করেন ভিক্টোরিয়া পাবলিক লাইব্রেরি। শিক্ষিত শ্রেণির আনুকূল্যে গড়ে ওঠে সংগ্রহশালা। ১৯৮৬ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক জালাল উদ্দিন আহামেদের প্রচেষ্টায় বিদ্যমান নতুন ভবনের নির্মাণকাজের মধ্য দিয়ে লাইব্রেরির নতুন যাত্রা শুরু হয়। পাঁচ শতাংশ জমির ওপর দাঁড়িয়ে থাকা বর্তমানে লাইব্রেরি ভবনের তৃতীয় তলাজুড়ে মিলনায়তন নির্মাণের কাজ এখন শেষের পথে। বর্তমানে লাইব্রেরিতে এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা, বাংলাপিডিয়া, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসসহ ১২ হাজার বই রয়েছে। এ ছাড়া প্রতিদিন দশটির বেশি জাতীয় পত্রিকা পাওয়া যায় এখানে।
প্রদীপের নিবু নিবু আলোর মতো অস্তমিত রাজবাড়ী পাবলিক লাইব্রেরি
১৯১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় রাজবাড়ী পাবলিক লাইব্রেরি। শতবর্ষ প্রাচীন লাইব্রেরি এখন জরাজীর্ণ। এখানে দুর্লভ ও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন লেখকের প্রায় সাড়ে ৫ হাজার বই রয়েছে। পর্যাপ্ত জায়গা ও আলমারির অভাবে অনেক বই রাখা হয়েছে উন্মুক্ত স্থানে। ফলে অনেক বই খেয়েছে উইপোকা ও তেলাপোকায়। পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে লাইব্রেরির দ্বিতীয় তলা। কোনো নিয়ম-নীতি অনুসরণ না করে ছুটির দিন ছাড়া বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত লাইব্রেরিটি খোলা রাখা হয়। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এখন পরিত্যক্ত লাইব্রেরির দ্বিতীয় তলাটি। নিচতলায় হাতে গোনা কিছু পাঠক বসার ব্যবস্থা থাকলেও নেই সুপেয় পানি ও শৌচাগারের পানির ব্যবস্থা। এ ছাড়া নানা সমস্যার কারণে লাইব্রেরিটি খোলা থাকে মাত্র দুই ঘণ্টা।
পাবনা শহরের দীপশিখা অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরি
আরও পড়ুন:
বৈষম্য ঘোচানোই সত্যিকার মানবিক অর্জন
অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরির শুরু ১৮৯০ সালে। ১৩ শতাংশ জমির ওপর দুই কক্ষের একটি ভবন নিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়। তখনও পাবনায় বিদ্যুৎ আসেনি, পাঠকের সুবিধার জন্য লাগানো হয়েছিল ১৩ টাকা আট আনা মূল্যের পেট্রোম্যাক্স লাইট। সন্ধ্যার পর সে আলোয় পড়াশোনা করতেন পাঠকরা। ১৯৩৬ সালে ১০০ টাকা ব্যয়ে পাঠাগারটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হয়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পাঠাগারটি খোলা থাকে পাঠকদের জন্য।
পাঠকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে নজরুল পাবলিক লাইব্রেরির
গোপালগঞ্জের শতবর্ষের পুরনো নজরুল পাবলিক লাইব্রেরি পাঠকের অভাবে বন্ধ রয়েছে। ১৯২০ সালে ব্রিটিশ সরকারের আমলে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল লাইব্রেরিটি। সেই থেকে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু নতুন বই না থাকা, বিদ্যুৎহীন ও জানালা ভেঙে যাওয়াসহ নানা সমস্যা নিয়ে লাইব্রেরিটি ২০২৩ সালের শুরুতে বন্ধ হয়ে যায়। কালের সাক্ষী এই লাইব্রেরিকে সংস্কার করে আধুনিকায়নের দাবি জানিয়েছেন পাঠকরা।
দক্ষিণবঙ্গের বাতিঘর উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি
খুলনায় অবস্থিত উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৯৭ সালে। বর্তমানে এখানে ৩০ হাজার বই রয়েছে। এটি খুলনার সবচেয়ে জনপ্রিয় গ্রন্থাগার। ১৮৯৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তখনকার খুলনা শহরের কিছু উৎসাহী ব্যক্তি একটি ঘরোয়াভাবে প্রতিষ্ঠা করেন। সেই থেকে চলছে শতবর্ষী এই পাঠাগার।
দুর্লভ পুঁথির সংগ্রহশালা রামমালা লাইব্রেরি
কুমিল্লা শহরের রামমালা লাইব্রেরি প্রসিদ্ধ পুরনো পুঁথির জন্য। ১৯১২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই লাইব্রেরির সংগ্রহে আছে দুর্লভ ৯ হাজারেরও বেশি পুঁথি, যা আনুমানিক ১৭০০ থেকে ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে লেখা হয়।
আরও পড়ুন:
ইবিতে শীতের আগমনী বার্তা
প্যারীমোহন সাধারণ গ্রন্থাগার
বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার সদর উপজেলায় অবস্থিত প্যারীমোহন গ্রন্থাগার। শত বছরের পুরনো গ্রন্থাগারে অনেক বিখ্যাত লেখকের বিরল বই আছে। ১৯১০ সালে প্যারীমোহন সাধারণ গ্রন্থাগারটি নির্মাণ করা হয়েছে। স্যান্যাল বংশের রায় সাহেব খেতাবপ্রাপ্ত জমিদার প্যারীমোহন স্যান্যাল গ্রন্থাগারটি নির্মাণ করেন।
দেশের আনাচ-কানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে শতবর্ষী অনেক পাঠাগার। অধিকাংশ পাঠাগার ক্ষতিগ্রস্ত হয় মুক্তিযুদ্ধের সময়। পরবর্তী সময়ে পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে এসব পাঠাগার। আপনার শহরের দিকে নজর ফেরালেও চোখে পড়তে পারে এমন পাঠাগার।
পাঠকের সুবিধার্থে কিছু পাঠাগারের তালিকা দেওয়া হলো :
- পিরোজপুর শেরেবাংলা পাবলিক লাইব্রেরি
- ঠাকুরগাঁও সাধারণ পাঠাগার
- চুয়াডাঙ্গা আবুল হোসেন পৌর পাবলিক লাইব্রেরি
- রাজারামপুর হিতসাধন সমিতি ও পাঠাগার
- শেরপুর টাউন ক্লাব পাবলিক লাইব্রেরি
- আর্য পুস্তকাগার
- হরেন্দ্রলাল পাবলিক লাইব্রেরি
- কোটচাঁদপুর পৌর সাধারণ পাঠাগার
- গাইবান্ধা পাবলিক লাইব্রেরি অ্যান্ড ক্লাব
- নীলফামারী সাধারণ গ্রন্থাগার
- রাজশাহী সাধারণ গ্রন্থাগার
- বীরচন্দ্র মাণিক্য গণপাঠাগার
- অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরি
- টাঙ্গাইল সাধারণ গ্রন্থাগার
- শাহ মখদুম ইনস্টিটিউট পাবলিক লাইব্রেরি
- কুড়িগ্রাম পাবলিক লাইব্রেরি
- নোয়াখালী পাবলিক লাইব্রেরি
- বরিশাল পাবলিক লাইব্রেরি
- উডবার্ন সরকারি গণগ্রন্থাগার
- কুমারখালী পাবলিক লাইব্রেরি
- বানারীপাড়া পাবলিক লাইব্রেরি
- রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি
- ভিক্টোরিয়া পাবলিক লাইব্রেরি
- কক্সবাজার ইনস্টিটিউট পাবলিক লাইব্রেরি
- চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পাবলিক লাইব্রেরি
- যশোর ইনস্টিটিউট পাবলিক লাইব্রেরি
- সিরাজগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরি