৯ গোলের রূদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ইউনাইটেড
ওল্ড ট্রাফোর্ডে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অবিশ্বাস্য এক লড়াইয়ের স্বাক্ষী হলো দর্শকরা। ঘুরে দাঁড়িয়ে অলিম্পিক লিওঁর বিপক্ষে ৫-৪ গোলের দুর্দান্ত জয় তুলে নেয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তাতে দুই লেগ মিলিয়ে ৭-৬ অগ্রগামিতায় ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল তারা। এর আগে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ২-২ গোলে ড্র করে দল দুইটি।
গতকাল রাতে দ্বিতীয় লেগে প্রথমেই দুই গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ইউনাইটেড। ছয় মিনিটের ব্যবধানে পাল্টা দুই গোল করে ঘুরে দাঁড়াল লিওঁ। অতিরিক্ত সময়ে আরও দুই গোল করে স্বাগতিক ইউনাইটেডকে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিঁটকেই দেয় লিঁও। তবে নাটকীয়তার তখন বহু বাকি। শেষ ৭ মিনিটে অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনে ৩ গোল দেয় রেড ডেভিলরা। জায়গা করে নেয় ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে।
ম্যাচে গোল উৎসবের শুরুটা হয় দশম মিনিটে। আলেহান্দ্রো গার্নাচোর পাস পেয়ে ইউনাইটেডকে এগিয়ে নেন মানুয়েল উগার্তে। বিরতির ঠিক আগে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দিয়োগো দালোত।
দ্বিতীয়ার্ধের অনেকটা সময় কোনো গোল করতে পারেনি দুইটি দল। তবে ৭১ মিনিটের পর থেকেই দেখা যায় লিওঁর দাপট। তোলিসো হেডে ব্যবধান কমানোর পর সমতা টানেন নিকোলাস তাগলিয়াফিকো। যদিও নির্ধারিত ৯০ মিনিটের আগের মিনিটে লেনি ইয়োরোকে বাজে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন ফরাসি মিডফিল্ডার তোলিসো।
দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৪ ড্র হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে প্রথমেই দুই গোল দিয়ে দেয় লিওঁ। ১০৪তম মিনিটে হায়ান শের্কি বাঁ পায়ের শটে দলকে এগিয়ে নেন। তার চার মিনিট পর ডি-বক্সে ফোফানাকে ডিফেন্ডার লুক শ ফাউল করায় পেনাল্টি পায় লিওঁ। গোল দিতে কোনো ভুল করেননি লাকাজেত।
স্বাগতিক দর্শকরা যখন হতাশ পড়ে পড়েছেন তখনই হাসি ফোটায় পেনাল্টি। কাসেমিরো ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হওয়ায় পেনাল্টি পায় ইউনাইটেড। পেনাল্টিতে ১১৪তম মিনিটে গোল দেন ব্রুনো ফের্নান্দেস। আর ১২০তম মিনিটে কাসেমিরোর পাসে সমতা টানেন কবি মেইনু। দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন তখন ৬-৬। পরের মিনিটেই সফরকারীদের স্তব্ধ করে দেন হ্যারি ম্যাগুয়ের। কাসেমিরোর ক্রসে দুর্দান্ত হেডে বল জালে জড়ান সমালোচিত এই ইংলিশ ডিফেন্ডার।
সেমিফাইনালে পৌঁছে যায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ স্প্যানিশ লা লিগার ক্লাব অ্যাথলেটিক বিলবাও।