আইপিএলে ফিক্সিংয়ের ছায়া, একজনের কাছ থেকে দূরে থাকতে বলল বোর্ড

স্পোর্টস ডেস্ক
১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:১৮
শেয়ার :
আইপিএলে ফিক্সিংয়ের ছায়া, একজনের কাছ থেকে দূরে থাকতে বলল বোর্ড

চলতি আইপিএলে ফিক্সিং করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। টুর্নামেন্টের ১০টি দলকেই এজন্য সতর্ক করে দিয়েছে বিসিসিআই। হায়দরাবাদের এক ব্যবসায়ী নাকি বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক, ক্রিকেটার, কোচ, সাপোর্ট স্টাফ এমনকি ধারাভাষ্যকারদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন। তার কাছ থেকে সকলকে দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ‘দুর্নীতি দমন নিরাপত্তা ইউনিট’-এর তথ্যমতে, হায়দরাবাদের ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে জুয়াড়িদের সম্পর্ক আছে। তাই দলগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ওই ব্যবসায়ী যাতে দলের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারে।

ব্যবসায়ী ক্রিকেটারদের কাছে ভেড়ার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন। এর মধ্যে আছে, দামী উপহার দেওয়ার চেষ্টা। যার মধ্যে স্বর্ণের গয়নাও আছে। ক্রিকেটারদের কাছে তিনি ভক্ত হিসেবে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান। পরে ক্রিকেটারদের লোভনীয় প্রস্তাব দেন। এছাড়াও ক্রিকেটারদের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তি। বিদেশে ক্রিকেটারদের আত্মীয়দের সঙ্গেও সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করেন। 

বিসিসিআইয়ের ‘দুর্নীতি দমন নিরাপত্তা ইউনিট’ জানিয়েছে, চলতি আইপিএলেও অনেক ম্যাচে গ্যালারিতে দেখা গিয়েছে ওই ব্যবসায়ীকে। এমনকি, বিভিন্ন দলের হোটেলেও গিয়েছেন তিনি। সেই কারণে গড়াপেটার আশঙ্কা আরও বাড়ছে। দলগুলিকে জানানো হয়েছে, কোনও বিষয়ে সন্দেহ হলে তারা যেন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

যদিও হায়দরাবাদের ওই ব্যবসায়ীর নাম কী, সেটা জানায়নি ভারতীয় বোর্ড। তবে নাম জানালে তিনি সতর্ক হয়ে যেতে পারেন তাই এমন কৌশল বিসিসিআইয়ের। 

আইপিএলে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ইতিহাস আছে। স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য ২০১৩ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন রাজস্থান রয়্যালসের তিন ক্রিকেটার এস শ্রীসান্থ, অজিত চান্ডিলা ও অঙ্কিত চাওয়ান। ১১ জন জুয়াড়িকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এছাড়া ফিক্সিংয়ের অভিযোগে দুই বছরের জন্য নির্বাসিত হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস ও চেন্নাই সুপার কিংস।