ডিপিএল /
গ্রুপ পর্ব শেষে রানে শীর্ষে বিজয়, উইকেটে রাকিবুল
চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) গ্রুপ পর্বের খেলা শেষ হয়েছে। সুপার লিগের খেলা আগামী বুধবার থেকে মাঠে গড়াবে। গ্রুপ পর্বের ১১ ম্যাচ শেষে ব্যাট-বল হাতে দাপট দেখিয়েছেন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। যেখানে রানে শীর্ষে রয়েছেন এনামুল হক বিজয়, আর উইকেটে রাকিবুল হাসান।
বিজয় ডিপিএলে রীতিমতো উড়ছেন। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের অধিনায়ক-ওপেনার গ্রুপ পর্বের সবকটি (১১) ম্যাচ শেষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় সবার শীর্ষে রয়েছে। ১১ ম্যাচ খেলে বিজয় করেছেন ৬৫৫ রান। যেখানে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৭ ছক্কা আর ৬১ চার।
তালিকার দুই নম্বরে রয়েছেন প্রাইম ব্যাংকের ওপেনার নাঈম শেখ। দেশের ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় গেল বছর এনসিএল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন নাঈম। সবশেষ বিপিএলেও এই বাঁহাতি ব্যাটার সর্বোচ্চ রান করেছিলেন। চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগেও (ডিপিএল) নাঈমের ব্যাটে রান আসছে। সবমিলিয়ে ৬১৮ রান করেছনে নাঈম। যেখানে তার স্ট্রাইকরেটও (প্রায় ১২২) আকর্ষণীয়। চার মেরেছেন ৬৬ টি, সঙ্গে ছক্কা মেরেছেন ২৭টি।
তিন নম্বর স্থানে রয়েছেন পারভেজ হোসেন ইমন। আবাহনীর এই ওপেনার ১১ ম্যাচ খেলে করেছেন ৫৬৯ রান। চার মেরেছেন ৫১টি, ছক্কা মেরেছেন ৩১টি। তালিকার চার নম্বরে রয়েছেন নুরুল হাসান সোহান। ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের এই অধিনায়ক মিডল অর্ডারে ব্যাট করে করেছেন ৫২২ রান। যেখানে চার মেরেছেন ৫১টি, ছক্কা মেরেছেন ১২টি।
সাদমান ইসলাম তালিকার পাঁচ নম্বরে রয়েছেন। অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে খেলা এই ওপেনার আসর জুড়ে দেখিয়েছেন নিজের সামর্থ্য। ১১ ম্যাচ খেলে করেছেন ৪৬৯ রান। যেখানে সাদমান চার মেরেছেন ৪৯টি, আর ছক্কা মেরেছেন ৪টি।
এদিকে গ্রুপ পর্ব শেষে বল হাতে দাপট দেখিয়েছেন প্রতিটি দলের স্পিনাররা। যেখানে সেরা পাঁচ বোলারদের মধ্যে তিন জনই স্পিনার। এছাড়া সেরা পাঁচে রয়েছেন দুইজন পেসার। তালিকার প্রথমে আবাহনী লিমিটেডের স্পিনার রাকিবুল হাসান ১১ ম্যাচ খেলে ২৩ উইকেট সংগ্রহ করে সবার ওপরে রয়েছেন। বল হাতে বেশ ইকোনোমিকাল এই স্পিনার ওভারপ্রতি খরচ করেছেন ৪.০৭ রান। এর পাশাপাশি গড় ১৫.৪৮।
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের স্পিনার তাইজুল ইসলাম তালিকার দুই নম্বরে রয়েছেন। জাতীয় দলের নিয়মিত এই বোলার ১১ ম্যাচ খেলে শিকার করেছেন সমান ২৩ উইকেট। যেখানে ৪.২৭ ইকোনোমির পাশাপাশি গড় ১৮.১৭। তালিকার তিন নম্বরে রয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। আবাহনীর এই স্পিনার ১১ ম্যাচ খেলে শিকার করেছেন ২০ উইকেট। ৩.৯৪ ইকোনোমিতে গড় ১৬.৩।
এদিকে তালিকার চার এবং পাঁচ নম্বরে রয়েছেন দুই জন পেসার। এর মধ্য চার নম্বরে রয়েছেন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের পেসার শরিফুল ইসলাম। ১০ ম্যাচ খেলে তিনি সংগ্রহ করেছেন ২০ উইকেট। ৪.৫৩ ইকোনোমির সঙ্গে শরিফুলের গড় রয়েছে ১৭। তালিকার পাঁচ নম্বরে রয়েছেন গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের পেসার আসাদুজ্জামান পায়েল। এই পেসারের সংগ্রহে রয়েছে ১০ ম্যাচে ২০ উইকেট। ইকোনোমি রয়েছে ৫.৪২ এবং গড় ২১.৬৯।