আনন্দযাত্রার ইতিহাস
সুদূর অতীতে নববর্ষ উৎসব বৈশাখে না হয়ে অগ্রহায়ণে হতো। সম্রাট আকবর অগ্রহায়ণ থেকে বৈশাখকে বছরের শুরুর মাস নির্ধারণ করেন। বাংলাদেশে ঘটা করে ষাটের দশক থেকে রমনা বটমূলে গানের মাধ্যমে বৈশাখ উদযাপন শুরু হয়। ১৯৮৯ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট (বর্তমান চারুকলা অনুষদ) ঢাকায় প্রথম আনন্দযাত্রা শুরু করে। এর উদ্যোক্তা ছিল চারুকলার ১৯৮৬ ব্যাচ। বাংলাদেশে যেভাবে পহেলা বৈশাখ শহুরে জীবনে উৎসবের অনুষঙ্গ হয়ে ওঠে তা আর হারিয়ে যাওয়ার নয়। এ মহৎ কাজ কিছু শিক্ষার্থী-শিল্পীর সুদূরপ্রসারী শিল্পায়িত চেতনার ফসল।
আশির দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে, মানুষ যখন তার বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য সোচ্চার, ঠিক সেই সময়ে সব হতাশা-যন্ত্রণার মাঝে আনন্দের দীপশিখা জ্বালিয়ে নতুন সূর্য ওঠার আশার বাণী শোনাবার জন্য চারুকলার ১৯৮৬ শিক্ষাবর্ষের তরুণ শিল্পী বৈশাখী ঝড়ের মতো সব আবর্জনা-ক্লেদ উড়িয়ে বৈশাখী উৎসবের মধ্য দিয়ে একটি আনন্দ উদ্দীপনা আনতে প্রয়াসী হয়। ১৯৮৯ সালের পয়লা বৈশাখে ঢাকা শহরে প্রথম আনন্দ শোভাযাত্রার সূচনা হয়। তার আগে ১৯৮৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর এ গ্রুপের নেতৃত্বেই ‘জয়নুল জন্ম উৎসব ৮৮’-এর আনন্দ শোভাযাত্রার সূত্রপাত ঘটে। তবে দেশে প্রথম ১৯৮৬ সালে পয়লা বৈশাখের শোভাযাত্রার সূত্রপাত ঘটায় যশোরের চারুপীঠের শিল্পী এবং শিক্ষার্থীরা। চারুকলা ইনস্টিটিউটের (চারুকলা অনুষদ) আনন্দযাত্রা এবং বর্ষবরণের উৎসব সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।
কোনো মহৎ কর্ম হঠাৎ করে সংঘটিত হয় না। এর একটা ব্যাকগ্রাউন্ড থাকে এবং থাকে দীর্ঘ প্রিপারেশন। এ ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়। আমরা ৮৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা তখন পুরনো প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত। ১৯৮৮ সালে ঢাকা শহরসহ সারাদেশে প্রচণ্ড বন্যা হয়। তখন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে নিসার হোসেন এবং আজিজ শরাফী স্যারের তত্ত্বাবধানে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ তৎপরতা চালানো হয়। আমরা কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে ত্রাণ কাজ শুরু করি। আমি, সোহেল, শুকু, মণি, মুক্তি, তুহিন, মিঠু, মিলি এবং
আমাদের ক্লাসের আরও অনেকে পরিবাগ এবং ইস্কাটন থেকে শুরু করে মগবাজার মোড় পর্যন্ত সব বাড়ি এবং ফ্ল্যাটে গিয়ে খাদ্য এবং কাপড়-চোপড় সংগ্রহ করি। মাহাবুব, সাখাওয়াত, নাজিম, কামরুল, ফরিদ, সালেহÑ এরা অন্যদিকে কাজ শুরু করে। এরপর আমাদের সঙ্গে প্রথম বর্ষের (শিক্ষাবর্ষ ১৯৮৭-৮৮) দেবাশীষ, ইলিয়াস, এনাম, লিটু, শামীম এবং দ্বিতীয় বর্ষের কনক ভাই, বিপুল ভাই এবং পাপিয়া আপা, লুবনা আপা কল্যাণপুর, তল্লাবাগ এবং সোবহানবাগ এলাকায় ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করে। এ সময় বিরামহীন পরিশ্রমে আমি এবং মিঠু প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়ি। রাতে রুটি এবং স্যালাইন বানানো আর দিনে সেগুলোকে বন্যাদুর্গত এলাকায় পৌঁছানো এসব কাজ করতে গিয়ে আমরা সংগঠিত এবং একত্রিত হয়ে গিয়েছিলাম। সে সময় কিছু ভিন্ন মতাবলম্বী সিনিয়র ছাত্ররা আমাদের এসব কর্মকাণ্ডের বিরোধিতাও করে। এ অবস্থায় একটি তুচ্ছ ব্যক্তিগত ঘটনাকে ইস্যু করে নিসার হোসেন স্যারকে তারা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। আমাদের ব্যাচের সবাই জোরালো প্রতিবাদ, পোস্টার লিখে ক্লাস বর্জন করি। এই প্রতিবাদ সভায় নেতৃত্ব দেয় মূলত মাহাবুব, ফরিদ এবং শিপু। আমরা বাকিরা প্রত্যক্ষভাবে এর সঙ্গে ছিলাম। এতে অনেকের ওপর প্রতিপক্ষরা চড়াও হয়, কাউকে কাউকে শাহনেওয়াজ হলে এসে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। এতে আমাদের কেউ কেউ সাময়িকভাবে হলের বাইরে অবস্থান নিই। এ সময় অনেকেই ইনস্টিটিউট ছেড়ে চলে যাওয়ার আবার কেউ কেউ প্রতিশোধ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। মিঠু, হেলাল ও খোকনের ভাষ্যমতে তারা কয়েকজন নিসার হোসেন স্যারের বাসায় দেখা করে আমাদের সিদ্ধান্তের কথা জানায়। নিসার হোসেন স্যার সবাইকে ভালো কিছু করে দৃষ্টান্ত রাখার পরামর্শ দেন। পরে ফরিদ, যশোরের শামীম ভাই এবং লিপু নিসার হোসেন স্যারের কাঁঠাল বাগানের বাসায় দেখা করতে যায়। স্যার ড্রইংরুমেই ছিলেন। এ সময় নিসার হোসেন স্যারের বাবা শিল্পী এমদাদ হোসেন ড্রইংরুমে এসে বসেন। তিনি যশোরে পৌষ মেলার প্রসঙ্গে বলেন। সেই কথার সূত্র ধরে শামীম ভাই যশোরের উদযাপিত পয়লা বৈশাখের উৎসব ও শোভাযাত্রার উদাহরণ দিয়ে আগত শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের জন্মদিন উপলক্ষে চারুকলায় একটি শোভাযাত্রার প্রস্তাব দেন।
আরও পড়ুন:
আকতার পারভেজ সর্বোচ্চ ভোটে সিএসই পরিচালক
আমরা কয়েকজন ছাত্র জিয়া হলের পাঁচ তলায় প্রথম জয়নুল জন্মোৎসবের কাজ শুরু করি খুব গোপনে। শাহনেওয়াজ হল এবং এ.এফ. রহমান হল থেকে পুরনো খবরের কাগজ সংগ্রহ করা হলো। সে সময় শাহনেওয়াজ হলে কাজ করার মতো পরিস্থিতি ছিল না। তাই বাঁশের চটা এবং কাগজ ইত্যাদি সরঞ্জামসহ জিয়া হলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে যথাক্রমে রুমনং ৫২৬, ৫২৭, ৫২৮-এ শিপু সালেহ, লিটন এবং আমার সিট ছিল (জিয়া হলে সিট থাকলেও আমি শাহনেওয়াজ হলেই শেষ পর্যন্ত ছিলাম); বাঁশের চটাগুলো হলের ছাদে নিয়ে রাখা হলো। সেদিন বিকালে সালেহ মাহমুদ কী একটা কাজে কিশোরগঞ্জ চলে যায় এবং ২৮ তারিখ সন্ধ্যায় ফিরে এসে কাজে যোগ দেয়। জিয়া হলে বানানো হলো চারটি ঘোড়া, মুকুট, মুখোশ, অনেক বড় আকারের পেনসিল, দুটি বড় তুলি এবং প্যালেট। ঘোড়া বানাতে সাহায্য করল মাহাবুব। হিরণ¥য়দা এবং শামীম ভাই সন্ধ্যার পরে জিয়া হলে কাজ দেখতে যান। ২৫ তারিখ সব জিনিস নিয়ে প্রথমে চারুকলার পেছনের ক্যান্টিনে এবং পরে বকুলতলার পেছনে থিওরি রুমে নিয়ে আসা হলো রঙ করার জন্য। ২৮ ডিসেম্বর শোভাযাত্রার আগে থিওরি রুমের জানালায় কালো পর্দা টাঙিয়ে দেওয়া হয় যেন বাইরে থেকে দেখা না যায়। খুব কম লোক এটার সম্পর্কে অবগত ছিল। ২৯ তারিখ সকালে আমরা মুখোশ ও মুকুট পরে গলায় বুকের সামনে ফেস্টুন ঝুলিয়ে রেডি। সকাল ৮টায় আগে থেকে প্রস্তুত রাখা একটি ঢাক বেজে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে থিওরি রুমের দরজা খুলে আমরা এক সঙ্গে সবাই হইহই করে নাচতে নাচতে বের হয়ে এলাম। সবাই অবাক। এক অভিনব দৃশ্য চারুকলায়। আমাদের সিনিয়র একটা গ্রুপ যারা প্রস্তুত ছিল বিরোধিতা করার জন্য তাদের অনেকেই শোভাযাত্রায় নেচে নেচে যোগ দিল। প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা যোগ দিল। শোভাযাত্রা আকারে বড় হলো। টিএসসি দিয়ে কলা ভবন হয়ে ইউনিভার্সিটি ঘুরে আমরা আবার বকুলতলায় ফিরে আসলাম। বার্ষিক এক্সিবিশনে পুরস্কার বিতরণীর পর আমরা পিছনের শুকনো পন্ডে গিয়ে পরে এই শোভাযাত্রা কন্টিনিউ করার ব্যাপারে আলোচনা করছিলাম।
সেই সময় একজন সিনিয়র ২০০/- টাকা দিল আমাদের মিষ্টি খাওয়ার জন্য। শোভাযাত্রার ব্যানারে নাম ছিল “জয়নুল জন্মোৎসব ’৮৮”। এই প্রোগ্রামে আমরা যারা প্রত্যক্ষভাবে কাজ করেছিলাম তারা হলাম- মাহাবুবুর রহমান, সাখাওয়াত হোসেন, কামরুল আহসান খান, ফরিদুল কাদের খান, হানিফ তালুকদার, শহীদ আহমেদ মিঠু, কালাম, এস.এম. ফারুকুজ্জামান হেলাল, আহসান হাবীব লিপু, মনিরুজ্জামান শিপু, সালেহ মাহমুদ, হালিমুল ইসলাম খোকন এবং আমি আলপ্তগীন তুষার।
কিছুদিন পর পয়লা বৈশাখে শোভাযাত্রার মাধ্যমে পালন করার জন্য শামিম ভাই, ফরিদ, মাহাবুব তরুণদার সঙ্গে আলাপ করে। তরুণদা জুইস ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। এত কম সময়ে এটা করা সম্ভব নয়, জুইস ভাইয়ের এই কথায় সাখাওয়াত এবারেই আয়োজন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে। পেছনের ক্যান্টিনে আমরা দুপুরের খাবার খেতাম। ফরিদ টিফিনের দশ টাকা চাঁদা দিয়ে আমার কাছে দশ টাকা নিয়ে ফান্ড কালেকশন শুরু করে একে একে অনেকের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়া শুরু করে। তারপরও টাকার অভাব। ইউনুস স্যার দুইশ টাকা দেন। ফরিদ, হেলাল, আমি ক্লাসমেট জুইয়ের ফরিদ ভাইয়ের বাসায় গেলাম তার কাছ থেকে চাঁদা নিতে; সেখানে সাহায্য পাওয়া গেল।
আরও পড়ুন:
বৃহত্তম হিমশৈল
এরপর একদিন ফরমালি মিটিং হলো দোতলায় টিচার্স রুমের পাশের বারান্দায়। সেখানে উপস্থিত ছিল মাহাবুব, কামরুল, সাখাওয়াত, হেলাল, ফরিদ, বাবুল, কাকলী, মিঠু, অনি, লিপি, প্রথম বর্ষের শোভা, লাভলী এবং ছোট শিপু, সিনিয়রদের মধ্যে ছিল শামীম ভাই, হিরণ¥য়দা, কাঞ্চন ভাই, শিল্পী তরুণ ঘোষ, কামাল পাশা চৌধুরী এবং সম্ভবত মিনু ভাই। সিদ্ধান্ত হলো ১৯৮৯ সালের পয়লা বৈশাখ উৎসবের মাধ্যমে পালন করা হবে। কেউ একজন এটাকে র?্যালি আখ্যা দিল, কামাল ভাই বলল কার্নিভাল। কিন্তু ফাইনালি এটা আনন্দ শোভাযাত্রা রাখা হয়। (পরবর্তী পহেলা বৈশাখে ওয়াহিদুল হক এবং শিল্পী এমদাদ হোসেনের প্রস্তাবে এর নাম রাখা হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা)। প্ল্যান হলো হাতি, ঘোড়া, মুখোশ, মুকুট বানানো হবে। এবার আগে থেকেই পোস্টারের মাধ্যমে প্রচার করা হলো। পোস্টার ডিজাইন করলেন শিল্পী তরুণ ঘোষ, পোস্টারের অক্ষর বিন্যাস করলেন মিনু ভাই। পোস্টার প্রিন্টের ব্যাপারে সাহায্য করল এশিয়াটিক সোসাইটি ও সানোয়ারা করপোরেশন। বিসিক থেকে সাখাওয়াত একটা ফোক হাতির মডেল নিয়ে এলো। মাহাবুব নিয়ে এলো সোনারগাঁওয়ের ফোক হাতির মডেল। ফাইনালি সোনারগাঁওয়ের মডেলটিকে বড় করা হলো। ঘোড়াগুলো বানানো হয়েছিল বাঁশের চটার স্ট্রাকচার দিয়ে। তার ওপরে পাতলা চট আবৃত করা হয়। চটের ওপর গমের আঠা দিয়ে পুরু করে খবরের কাগজ লাগিয়ে দেওয়া হয়। মাটি দিয়ে মোল্ড করে তার ওপর পুরু খবরের কাগজ আঠা দিয়ে লাগিয়ে গ্রোটেক্স মুখোশ বানানো হয়। আমরা সবাই মিলে এগুলো রঙ করি। মোল্ডগুলো মাহাবুব তৈরি করে দেয়। এবার আমাদের ক্লাসের মেয়েরাও অংশগ্রহণ করে, তারা হলোÑ মিলি, মণি, অনি, লিপি, তুহিনসহ অনেকে এবং জুনিয়রদের মধ্যে শামীম, ছোট শিপু, আমিনুল হাসান লিটু, শোভা, নাজিয়া প্রমুখ। আমাদের কাজে মাঝে মাঝে আমাদের আগের ব্যাচের বিপুল ভাই, কনক ভাই এবং সাইফুল ভাই সাহায্য করেন। এ সময় কাঞ্চন ভাইয়ের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। তা ছাড়া জাহিদ মুস্তাফা এবং অশোক কর্মকারেরও ভূমিকা ছিল। শামীম ভাই এবং সাখাওয়াতসহ আমাদের ক্লাসের অনেকে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে গিয়ে চাঁদা নিয়ে আসল ফান্ড কালেকশনের জন্য। নাট্য ব্যক্তিত্ব মরহুমা নাজমা আনোয়ার যথেষ্ট সহায়তা করেন। মুখোশগুলো রঙ করতে সাহায্য করেন শিল্পী তরুণ ঘোষ, শিশির ভট্টাচার্য্য। তিনি পরবর্তীকালে অনেক ভ্যারাইটিজ মুখোশ তৈরি করেন। সেগুলো ছিল অত্যন্ত চমৎকার। তরুণদা এবং শিশির ভট্টাচার্য্য অনেক মাটির সরার ওপর তুলি দিয়ে ডিজাইন করেন। আমরাও অনেক মুখোশ এবং মাটির সরার ওপর ডেকোরেশন করি।
১৯৮৯ সালের (বাংলা ১৩৯৬) পহেলা বৈশাখে সকাল ৮টায় চারটি ঢাকের শব্দের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। ঢাকে বাড়ি দিয়ে উদ্বোধন করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের প্রেসিডেন্ট সাংবাদিক ফয়েজ আহমদ। শোভাযাত্রা চারুকলার গেট দিয়ে বের হয়ে শাহবাগ হয়ে রমনায় যাওয়া মাত্র ছায়ানটের প্রোগ্রাম থেকে অসংখ্য লোক এই অভিনব শোভাযাত্রায় যোগ দেয়। তারপর আমরা শিশু একাডেমি এবং দোয়েল চত্বর ঘুরে টিএসসি হয়ে আবার চারুকলায় ফিরে আসি।
১৯৮৯ সালের পহেলা বৈশাখের পর, ১৯৯০ সাল থেকে মাহাবুব, ফরিদ, লিপি, যশোরে গিয়ে পহেলা বৈশাখের কর্মকাণ্ডে শামীম ভাইকে সহায়তা করতে থাকে।
আরও পড়ুন:
কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
আলপ্তগীন তুষার : ডিন, চারুকলা অনুষদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়