‘কুসংস্কারাচ্ছন্ন’ বাবাকে প্রথমবার স্টেডিয়ামে এনেই তাণ্ডব চালান অভিষেক
২০১৮ সাল থেকে আইপিএল খেলেন অভিষেক শর্মা। তবে এত বছরেও কখনো ছেলের খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে যাননি অভিষেকের বাবা রাজ কুমার। তার ধারণা ছিল, তিনি স্টেডিয়ামে গেলে ভালো খেলতে পারবেন না ছেলে। শেষ পর্যন্ত ছেলের প্রচেষ্টাতেই প্রথমবারের মতো গেলেন স্টেডিয়ামে। বাবাকে স্টেডিয়ামে এনেই পাঞ্জাব কিংসের বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালান অভিষেক।
গতকাল শনিবার হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে পাঞ্জাবের দেওয়া ২৪৬ রান টপকে ৮ উইকেটে জয় পায় হায়দরাবাদ। ম্যাচে চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে একাই ৫৫ বলে ১৪১ রান করেন অভিষেক। আড়াই শ’র ওপরে স্ট্রাইকরেট রেখে এই রান করেন তিনি। গড়েন আইপিএল ইতিহাসে ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। আর সর্বকালের সেরাদের মধ্যে গেইলের ১৭৫ ও ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ১৫৮ রানের পর এটিই সেরা।
ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, গতকালই প্রথম স্টেডিয়ামে ছেলের খেলা দেখতে যান রাজ কুমার। ম্যাচের পর সংবাদমাধ্যমে তিনিই সেটি জানিয়েছেন। স্বীকার করেছেন নিজের কুসংস্কারের কথাও। এমনকি চতুর্থ ওভারে ছেলে যখন আউট হলো, তখন নিজের ভেতর থাকা সেই কুসংস্কারকেই বিশ্বাস করতে শুরু করেন তিনি। তবে ম্যাচের পর আসে তার স্বস্তি।
অভিষেকের বাবা বলেন, ‘আমি কুসংস্কারে বিশ্বাসী। আমি মনে করতাম, আমি সেখানে (স্টেডিয়ামে) গেলে সে (অভিষেক) ভালো করবে না। এমনকি গত রাতেও যখন সে একটি নো বলে আউট হলো, ওই ৩০ সেকেন্ডে নিজেই নিজেকে দোষ দিচ্ছিলাম। তারপর গ্যালারির ভিড়ে ছক্কাবৃষ্টি শুরু হলো।’
এই ম্যাচের আগেও ম্যাচ দেখতে হায়দরাবাদ যেতে চাননি রাজ কুমার। পরে অভিষেকই বাবার মাঠে আসার ব্যবস্থা করেন। রাজ কুমার বলেন, ‘সে-ই (অভিষেক) টিকিট কেটে দিয়েছিল। যাওয়া নিয়ে আমি কিছুটা দ্বিধায় ছিলাম। তারপর সে কল করল এবং আমাকে হায়দরাবাদ যাওয়ার জন্য রাজি করিয়েছে।’
স্টেডিয়ামে রাজ কুমারের পাশাপাশি গিয়েছিলেন তার স্ত্রীও। মায়ের বিশ্বাস, প্রথম ৫ ম্যাচে মাত্র ৫১ রান করলেও গতরাতের ফর্ম ধরে রাখবে অভিষেক, ‘সবাই খুশি, আমিও খুশি। পুরো হায়দরাবাদ উদযাপন করছে যে তারা জয়ে ফিরেছে। একটু কঠিন অবস্থা ছিল, কিন্তু এখন দল ভালো করতে শুরু করবে।’