৪৫টি এজেন্সির কার্যক্রমে বিপাকে ধর্ম মন্ত্রণালয়

এমএইচ রবিন
১১ এপ্রিল ২০২৫, ০০:০০
শেয়ার :
৪৫টি এজেন্সির কার্যক্রমে বিপাকে ধর্ম মন্ত্রণালয়

হজযাত্রীদের সেবাদানকারী ৪৫টি এজেন্সির কার্যক্রমে চরম অসন্তোষ জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এসব এজেন্সির আওতায় থাকা ৬ হাজার ৫৯২ জন হজযাত্রীর জন্য সৌদি আরবে এখনও বাড়ি ভাড়া ও পরিবহন চুক্তি সম্পন্ন হয়নি। ফলে তাদের হজে অংশগ্রহণ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে কড়া হুশিয়ারি দিয়ে জানানো হয়েছে, যদি কোনো হজযাত্রী এজেন্সির অবহেলার কারণে হজে যেতে না পারেন, তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণভাবে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকেই বহন করতে হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সৌদি আরবের নুসুক মাসার সিস্টেমে চারটি লিড এজেন্সি অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এ চারটি লিড এজেন্সির অধীনে রয়েছে ৪৫টি সমন্বয়কারী এজেন্সি। এই এজেন্সিগুলোর অধীনে থাকা ৫ হাজার ৮৪২ জন হজযাত্রীর জন্য এখনও মক্কা ও মদিনায় বাড়ি ভাড়া করা হয়নি। এ ছাড়া, ৭৫০ জন হজযাত্রীর তথ্য এখনও নুসুক মাসার সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত হয়নি।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, হজ ব্যবস্থাপনার সর্বশেষ অগ্রগতি জানাতে ধর্ম উপদেষ্টা ও সচিব বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ে যান। অথচ আগামী ২৯ এপ্রিল থেকেই হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার কথা

রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ধর্ম মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কিছু হজ এজেন্সিকে নোটিশ দিয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে- কেন ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১’ এবং ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২২’ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না। নোটিশে বলা হয়েছে- নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাড়ি ভাড়া ও পরিবহন চুক্তি সম্পন্ন না করা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।

ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাড়ি ভাড়ার বিষয়টি চূড়ান্ত না হওয়ায় ১০ হাজার ৪৮৭ জন হজযাত্রীর হজে অংশগ্রহণ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৫ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭ হাজার ১০০ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে যাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ২০০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১ হাজার ৯০০ জন হজ করবেন।

এদিকে, গত ৮ এপ্রিল হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যসেবা ও টিকাদান কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সারাদেশে ৮০টি কেন্দ্রে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকা গ্রহণের সুযোগ পাবেন হজযাত্রীরা। এসব কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে ঢাকার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল এবং বিভাগীয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলো।

টিকা গ্রহণের আগে তিন মাসের মধ্যে সম্পন্ন সাতটি স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট সঙ্গে রাখতে হবে, যার মধ্যে রয়েছে- ব্লাড গ্রুপ, হেপাটাইটিস বি, ডায়াবেটিস, কিডনি ফাংশন টেস্ট, ইসিজি, এক্স-রে ও পূর্ণ রক্তচাপ পরীক্ষা। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যের জন্য ১৬১৩৬ নম্বরে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।