বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম কারাগারে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে ধানমন্ডি থানার কিশোর মো. শামীম হত্যা মামলায় বেঙ্গল গ্রুপ ও আরটিভির চেয়ারম্যান এবং নোয়াখালীর সাবেক এমপি মোরশেদ আলমের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক শাহীন মিয়া কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নাই। জামিনের প্রার্থনা করছি।’
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, ‘হত্যা মামলা। এ আসামি ফ্যাসিস্ট হাসিনার অন্যতম সহযোগী। হাসিনার আনুকূল্য নিয়ে ভোট চুরি করে নিজেকে এমপি ঘোষণা করেন। হাসিনা যখন এমপি-মন্ত্রীদের নিয়ে মিটিং করে আন্দোলন দমাতে নির্দেশ দেয়, তখন এ আসামি সেখানে উপস্থিত ছিল। শুধু তিনি না, সব এমপি-মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিল। ষড়যন্ত্র করে। দুই হাজার লোক প্রাণ হারিয়েছে, ২০ হাজার জন আহত হয়েছে। তার জামিন নামঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।’
তখন আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘তাকে বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আত্মগোপনে ছিলেন না। বয়স্ক, অসুস্থ মানুষ। হসপিটালাইজড ছিলেন।’
শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল রাতে রাজধানীর গুলশান-২ থেকে মোরশেদ আলমকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের হোটেল চিলিসের সামনে আন্দোলনে অংশ নেয় মো. শামীম (১৩)। বিকেলে আসামিরা গুলিবর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ করলে শামীম আগুনে দগ্ধ হন। পরে ৬ আগস্ট সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই ঘটনায় ৩ অক্টোবর ভুক্তভোগীর মা জাহানারা বেগম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২৮ জনকে আসামি করে ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, মোরশেদ আলম বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভিরও চেয়ারম্যান। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-২ (সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী উপজেলার একাংশ) আসন থেকে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন তিনি। এরপর একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও একই আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন:
১১ বছরেও বিচারে অগ্রগতি নেই