‘ফিলিস্তিনিরা মানুষের মতো বাঁচার সুযোগ পাক’

বিনোদন সময় প্রতিবেদক
০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০০:০০
শেয়ার :
‘ফিলিস্তিনিরা মানুষের মতো বাঁচার সুযোগ পাক’

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস বর্বরতা বাংলা গানের যুবরাজ আসিফ আকবরের হৃদয় স্পর্শ করেছে। তিনি লিখেছেন, ‘বিদায় রাফাহ্-গাজার জান্নাতি শহিদরা। শ্রেষ্ঠ ধর্মের অনুসারী আর তাদের নিকৃষ্ট শাসকরা আনন্দে থাকুক জ্বলন্ত জমিনের দোজখে।’

ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান লিখেছেন, ‘গাজা শুধু একটি ভৌগোলিক নাম নয়, এটি যেন আজ নির্যাতিত মানুষের প্রতীক! দুঃখজনক হলেও বাস্তবতা হচ্ছে, সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করা ছাড়া আর কিছু করতে না পারা! তাদের পাশে আছি- ভালোবাসা, সংহতি আর শান্তির প্রত্যাশায়।’

একাধিক ফেসবুক পোস্টে গাজাবাসীর প্রতি সমর্থন জানান দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ‘হ্যাঁ! অবশ্যই সংহতি ইসরায়েলি দখলদারিত্ব ও গণহত্যার বিরুদ্ধে।’ এমন স্ট্যাটাসের আগে আরেকটিতে তিনি লিখেছেন, ‘দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি সেনারা ১৫ জন জরুরি চিকিৎসাকর্মীকে হত্যা করেছে। গাজায় যে নিষ্ঠুর আর হৃদয়হীন গণহত্যা ইসরায়েল চালিয়ে আসছে, এটা তারই অংশ। পৃথিবীকে তারা ফিলিস্তিনিশূন্য করার নিয়ত নিয়ে নেমেছে। বিশ্ববাসীর প্রতিবাদে ইসরায়েল ভ্রƒক্ষেপ করবে না, সেটা জানি। কিন্তু বাকি বিশ্ব? বিশ্বের বড় নেতারা? এভাবে বেশুমার শিশুহত্যা, নারীহত্যা, গণহত্যা সবার চোখের সামনে চলতে থাকবে? মানুষের হৃদয়ের ওপর থেকে পর্দা সরুক। ফিলিস্তিনিরা মানুষের মতো বাঁচার সুযোগ পাক।’

চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ লিখেছেন, ‘গাজার আকাশের যে ধোঁয়া আর অশ্রুর বৃষ্টি, সেই নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে আমরা শুধু প্রার্থনা করতে পারি, কাঁদতে পারি আর চিৎকার করতে পারি। এই মানুষগুলোর অপরাধ কি শুধু এই যে, তারা নিজেদের মাটিতে বাঁচতে চায়?’

দীর্ঘ এক স্ট্যাটাসে চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদ লিখেছেন, “আমি যখন এই পোস্ট লিখছি, ততক্ষণে গাজার অস্তিত্ব কি মুছে গেছে? আমরা কি পারলাম না এই শহরটাকে, এই দেশটাকে বাঁচাতে? ফিলিস্তিনের এই ধ্বংসাবশেষের দায় কি আমরা কেউ এড়াতে পারব? ফিলিস্তিনের জন্য আমার মনের কান্না কখনও থামাতে পারিনি। যখন ‘জংলি’র গল্প লেখা হচ্ছিল, তখনও পাখির জায়গায় আমি বারবার ফিলিস্তিনি শিশুদেরই কল্পনা করতাম। আমরা কি শিশুদের জন্য একটা সুন্দর পৃথিবী উপহার দিয়ে যেতে পারব না? যখন যুদ্ধবিরতি চলছিল, তখনও আমি শান্তি পাচ্ছিলাম না। শুধু মনে হতো, এই বিরতি কতক্ষণের? কতক্ষণ এই মানুষগুলো বাঁচবে আসলে? এই যে ঈদের পরপরই তাদের ওপর নরক নেমে এলো, তার দায় কি এই পৃথিবী নেবে না? এই ওয়ার্ল্ড লিডারস, ইসলামিক স্কলারস, নোবেল লরিয়েটস, সাধারণ মানুষ, আমরা কেউ কি এড়াতে পারব এর দায়? আল্লাহ, তুমি জান্নাতের দরজা খুলে দাও। এই পৃথিবী আর গাজাবাসীর জন্য নয়। আমরা পারিনি, আমরা পারলাম না।’

নির্মাতা আশফাক নিপুণ লিখেছেন, ‘দুইটা ভিডিও। একটায় গাজায় শিশু ভাইয়ের চিৎকার করে কান্নায় প্রবোধ দিচ্ছে আরেক শিশু। আরেকটায় গাজায় ধ্বংসস্তূপে বসে চোখে পানি নিয়ে কিছু একটা খেতে খেতে আবার কাঁদছে আরেক শিশু। এই দুই শিশুর কষ্টের অভিশাপে পাপীরা যেন শেষ হয়ে যায়! জুলুমের শেষ পরিণতি যেন দেখে যেতে পারে এই দুই শিশুসহ ফিলিস্তিনের লাখ লাখ মজলুম।’ অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘মানুষ না, যেন নিষ্প্রাণ পুতুল।’

অভিনেতা আব্দুন নূর সজল লিখেছেন, ‘মনুষ্যত্ব কোথায়? এসব কি কোনো মানুষের কাজ হতে পারে? প্লিজ সাপোর্ট গাজা।’ গাজায় ইসরায়েলি হামলার একটি ছবি প্রকাশ করে চিত্রনায়িকা তমা মির্জা লিখেছেন, ‘এটা গোটা মুসলিম দেশের মুসলমানদের শাহাদাতের চিত্র!’

অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি লিখেছেন, ‘মানুষ সভ্যতার জন? জ্ঞান অর্জন করে সবচেয়ে বেশি মানুষেরই ক্ষতি করেছে! আহা জীবন!’ অভিনেতা নাসির উদ্দিন খান লিখেছেন, ‘দেশ-বিদেশের সব অসহায়-নির্যাতিত মানুষের জায়গায়, সব নিপীড়িত জনপদে নিজেকে, নিজের পরিবারকে কল্পনা করে আতঙ্কিত হই প্রতিনিয়ত। যতই আশার আলো খুঁজতে যাই না কেন, জানি কখনই আর শান্ত হবে না এই নষ্ট পৃথিবী। তবু আশা রাখি মনে, ছোটবেলা থেকে দেখে আসা ফিলিস্তিনবাসীর সংগ্রাম সফল হবে কোনো একদিন।’

চিত্রনায়িকা আঁচল আঁখি লিখেছেন, ‘যত দিন এই দুনিয়া আছে, তত দিন গাজা ও ফিলিস্তিন থাকবে ইনশাআল্লাহ। এই যুদ্ধে ফিলিস্তিন আবারও বিজয় লাভ করবে ইনশাআল্লাহ।’ এ ছাড়া অনেক তারকাই গাজার সমর্থনে সরব হয়েছেন।