ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি

জাহিদ ভূঁইয়া
২৫ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০
শেয়ার :
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি

নাটকে অভিনয় করে আলো কেড়েছেন। বর্তমানে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন ওটিটি প্ল্যাটফরমে কাজ করে। তিনি তাসনিয়া ফারিণ। সম্প্রতি বিঞ্জে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত ওয়েব ফিল্ম ‘বাবা, সামওয়ান ফলোয়িং মি’। শিহাব শাহীন পরিচালিত এ ফিল্ম নিয়ে প্রত্যাশা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হয় অভিনেত্রীর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জাহিদ ভূঁইয়া

গেল বৃহস্পতিবার মুক্তি পেল ওয়েব ফিল্ম ‘বাবা, সামওয়ান ফলোয়িং মি’। কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

এখন পর্যন্ত যারাই ফিল্মটি দেখেছেন, সবাই ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বিশেষ করে আমার অভিনীত বিজয়া চরিত্রের প্রশংসা করছেন আলাদা করে। আমার যারা ভক্ত-দর্শক এখনো ফিল্মটি দেখেননি, তাদের অনুরোধ করব এটি দেখার জন্য। আশা করি, সময়টা বিফলে যাবে না। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটা ঘোরের মধ্যে থাকতে হবে।

যারা এখনো দেখেননি, তাদের জন্য গল্প প্রসঙ্গে একটু ধারণা দেওয়া যাবে?

এক রাতের ঘটনা নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘বাবা, সামওয়ান ফলোয়িং মি’। বাবা-মেয়ের একটি ঘটনাই ফিল্মে উঠে এসেছে। গল্পে দেখা যাবে বিদেশে থাকা অবস্থায় বিজয়া হঠাৎ এক রাতে খেয়াল করে, কেউ একজন তাকে অনুসরণ করছে। বিপদের আঁচ পেয়ে সে তার বাবাকে ফোন করে। কীভাবে তার বাবা সাহায্য করে, আদৌ সাহায্য করতে পারে কিনা, সে রাতে কী হয়, আদৌ কেউ অনুসরণ করছিল কিনা, করলেও কেন করছিল এসব উত্তর পাবেন দর্শক। নির্মাতা শিহাব শাহীনের মেয়ে সফেনের সঙ্গে এমন একটা ইনসিডেন্স হয়েছিল। সেখান থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েই তিনি নির্মাণ করেছেন ফিল্মটি।

সাম্প্রতিক সময়ে আর কী কী কাজ করলেন?

শিহাব শাহীনের পরিচালনায় আরেকটি ওয়েব ফিল্মের কাজ শেষ করেছি। নাম ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’। এতে আমার বিপরীতে আছেন প্রীতম হাসান। এটি আগামী বছরের শুরুর দিকে মুক্তি পাবে। এ ছাড়া কাজল আরেফিন অমির ‘অসময়’ ওয়েব ফিল্মের কাজ শেষ করলাম কিছুদিন আগে। সিনেমাটি এ বছরের শেষেই দেখা যাবে। এ ছাড়া আরও কিছু কাজ নিয়ে কথা চলছে।

‘নিকষ’ ওয়েব ফিল্মে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য কদিন আগে ‘দীপ্ত অ্যাওয়ার্ড’-এ ওটিটি বিভাগে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন। অনুভূতি কেমন ছিল?

পুরস্কার হলো ভালো কাজের স্বীকৃতি। আর সেই স্বীকৃতি যদি আসে নিজের অনেক পছন্দের কাজের মাধ্যমে, তা হলে আনন্দ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। ‘নিকষ’ আমার ভীষণ ভালো লাগার একটি কাজ। অনেক পরিশ্রম করে এতে অভিনয় করেছি। আমার চরিত্রের নাম ছিল সুলতানা। চরিত্রটির জন্য কোনো মেকআপ নিইনি। কারণ আমি যদি মেকআপ নিতাম, তা হলে সুলতানা দর্শকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠত না। তাই চরিত্রে আসল রূপ দেওয়ার জন্যই মেকআপ ছাড়া ওইভাবে কাজ করার প্রয়োজন ছিল। মেজবাহ উদ্দীন সুমন চমৎকার সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন আর রুবেল হাসানের নির্মাণে ছিল মুগ্ধতা।

বর্তমানে ওটিটি ঘিরেই আপনার ব্যস্ততা। এই মাধ্যমে কাজের সুবিধা কেমন বলে মনে হয়?

ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আমার জন্য বেশ লাকি। এই মাধ্যমে প্রথম কাজ ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলমেন’। এর পর ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’, ‘নিঃশ্বাস’, ‘কারাগার’সহ বেশ কিছু কনটেন্টে কাজ করেছি। করপোরেট অফিস বলেন, শপিংমল বলেন কিংবা দেশের বাইরে ওটিটির কাজগুলোরই বেশি প্রতিক্রিয়া পাই। আগে আমি এই শ্রেণির দর্শকের প্রতিক্রিয়া পাইনি। আর ওটিটিতে গল্প বলার স্বাধীনতা আছে, সময় নিয়ে কাজ করা যায়, এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বাজেট বেশি ফলে কাজ করে আরাম পাওয়া যায়। ওটিটির কাজের জন্যই ‘আরও এক পৃথিবী’ সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলাম। ওটিটিই এখন আমার প্রথম পছন্দ।

তাহলে কি নাটকে আর অভিনয় করবেন না?

করব না কেন? নাটক দিয়েই আমি পরিচিতি পেয়েছি। সুতরাং কাজ অবশ্যই করব। তবে বেছে বেছে গল্প, চরিত্র দেখে অভিনয়ের সম্মতি দেব। যে কাজগুলো দর্শকের মনে দাগ কাটতে পারবে, নাটকে সে ধরনের কাজের চেষ্টা থাকবে। একটা সময় পরিচিতির জন্য টানা নাটকে কাজ করেছি। ভালো-মন্দ সব কাজই আছে ওখানে। তবে গঁৎবাধা নাটকে আর অভিনয় করব না।

‘আরও এক পৃথিবী’র পর কলকাতার আরেকটি সিনেমায় যুক্ত হয়েছেন। দেশের সিনেমায় কবে দেখা যাবে?

দেশের অনেক সিনেমা নিয়েই কথা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত কাজ করা হয়নি, আবার সিনেমাটাই আর হয়নি এমনটাও হয়েছে। এটা আমার জন্য দুর্ভাগ্যের। আশা করি, শিগগিরই দেশের সিনেমায় কাজ করতে পারব। আরেকটা কথা না বললেই নয়। সিনেমা নিয়ে আমার আলাদা দর্শন আছে। সবকিছু মিলে গেলেই ‘হ্যাঁ’ বলি। ব্যাটে-বলে দুবারই কলকাতার সিনেমায় মিলে গেছে। সেই জায়গা থেকেই বিপ্লব গোস্বামীর ‘পাত্রী চাই’-এ যুক্ত হয়েছি। সব ঠিক থাকলে এ মাসের শেষদিকে কলকাতায় যাওয়ার কথা। আশা করছি, ডিসেম্বরের শুরুতে শুটিং শুরু করতে পারব।