ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞে সমর্থনের প্রতিবাদে মার্কিন দূতাবাসের সামনে মানববন্ধন

অনলাইন ডেস্ক
০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:২৮
শেয়ার :
ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞে সমর্থনের প্রতিবাদে মার্কিন দূতাবাসের সামনে মানববন্ধন

গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে মিছিল-স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশ। এর অংশ হিসেবে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের সামনে মানববন্ধন করেছে একদল তরুণ। মার্কিন দূতাবাসের সামনে মহাসড়কে অবস্থান নেন তারা। এ সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মিছিলটির সামনে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে দূতাবাস ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, আজ সোমবার অবরুদ্ধ গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনের প্রতিবাদের পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গুলশানের মার্কিন দূতাবাস এলাকায় একদল তরুণ মিছিল বের করেন। পরে মিছিল নিয়ে তারা মার্কিন দূতাবাসের সামনের মহাসড়কে অবস্থান নেন। 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. তারেক মাহমুদ মার্কিন দূতাবাসের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মার্কিন দূতাবাস ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোনোরকম শঙ্কা না থাকলেও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এদিকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সারাদেশে চলমান বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে ঢাকায় অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের চলাচলে সর্তকতা জারি করা হয়েছে। 

আজ সোমবার গুলশানের মার্কিন দূতাবাস এক বিবৃতিতে এ সতর্কতা জারি করে।

মার্কিন দূতাবাস জানায়, গাজা সংঘাতের প্রতিক্রিয়ায় সোমবার ঢাকা এবং সারাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করবে এবং কেন্দ্রীয় গণবিক্ষোভে পরিণত হবে। সম্ভাব্য যানজট বৃদ্ধি এবং দূতাবাসে প্রতিবাদের উদ্দেশ্যে আন্দোলনের কারণে মার্কিন দূতাবাস এদিন বিকেলের জনসেবা সীমিত করবে। এই অবস্থায় মার্কিন নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

বিবৃতিতে দূতাবাস আরও জানায়, মনে রাখতে হবে, শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করা হলেও তা সংঘর্ষে পরিণত হতে পারে এবং সহিংসতায় রূপ নিতে পারে। এই অবস্থায় মার্কিন নাগরিকদের বিক্ষোভ এড়ানো উচিত এবং যেকোনো বড় সমাবেশের আশপাশে চলাচলে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পরিকল্পনা পর্যালোচনা করা উচিত। এছাড়াও স্থানীয় অনুষ্ঠানসহ নিজের আশপাশের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন থাকার পাশাপাশি হালনাগাদ তথ্যের জন্য স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো পর্যবেক্ষণ করা উচিত।

এ ক্ষেত্রে ঢাকায় অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জনসমাগম ও বিক্ষোভ এড়িয়ে চলার পাশাপাশি জরুরি যোগাযোগের জন্য সবসময় চার্জযুক্ত মোবাইল ফোন বহনের পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন দূতাবাস।