একদিন আমাদের সবাইকে ইতিহাসের কক্ষে দাঁড়াতে হবে: নাহিদ রানা
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বর্বরতার চূড়ান্ত রূপ দেখাচ্ছে ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতি ভেঙে একের পর এক হামলায় নির্বিচারে হত্যা করছে শিশুসহ সাধারণ নাগরিকদের। নারকীয় এই হত্যাযজ্ঞের পরও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বিশ্ববাসী। এই ঘটনায় সবাইকে একদিন ইতিহাসের কক্ষে দাঁড়াতে হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ দলের গতিময় পেসার নাহিদ রানা।
আজ রবিবার গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে ফেসবুকে পোস্ট দেন নাহিদ। ধ্বংসযজ্ঞের দুইটি ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে নাহিদ লেখেন, ‘এই নিষ্ঠুরতার ভার আমাদের সবার উপর। একদিন আমাদের সবাইকে ইতিহাসের কক্ষে দাঁড়াতে হবে।’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, তখন থেকে উপত্যকাটিতে অন্তত ৫০ হাজার ৬৬৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত ১ লাখ ১৫ হাজার ২২৫ জন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে গত ১৮ মার্চ থেকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর নিহত ১ হাজার ২৪৯ জন রয়েছেন। এই সময় আহত হয়েছেন ৩ হাজার ২২ জন।
গাজায় ইসরায়েলের নৃশংসতার সবচেয়ে বড় শিকার শিশুরা। জাতিসংঘের তথ্যমতে, প্রায় ১৮ মাসে ১৫ হাজার শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় প্রায় ১৯ হাজার শিশু শহীদ হয়েছে। মা-বাবা হারিয়ে এতিম হয়েছে ৩৯ হাজার শিশু। গাজার মোট ২৩ লাখ বাসিন্দার ৫১ শতাংশ শিশু। উপত্যকাটিতে ইসরায়েলের হামলায় নিহত শিশুদের তথ্য আরও সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরেছে ফিলিস্তিনের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো। তাদের তথ্যমতে, গাজায় নিহত শিশুদের মধ্যে ২৭৪টি নবজাতক আর এক বছরের কম বয়সী ৮৭৪ শিশু রয়েছে। হামলার পাশাপাশি উপত্যকাটিতে ঠান্ডায় জমে ১৭ এবং ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে ৫২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।