ম্যানসিটিকে বিদায় বলে দিলেন ডি ব্রুইনা

স্পোর্টস ডেস্ক
০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪৩
শেয়ার :
ম্যানসিটিকে বিদায় বলে দিলেন ডি ব্রুইনা

চলতি মৌসুম শেষে ক্লাব ছেড়ে যাচ্ছেন ম্যানচেস্টার সিটির কিংবদন্তি মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইনা। তিনি ২০১৫ সালে জার্মান ক্লাব ওলফসবুর্গ থেকে সিটিতে যোগ দেন। দীর্ঘ ১০ বছরে ১৬টি শিরোপা জিতেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ছয়টি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা এবং ২০২৩ সালের ঐতিহাসিক চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়।

সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা ডি ব্রুইনাকে ‘ইতিহাসের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ক্লাবের পক্ষ থেকেও তাকে ‘বিশ্ব ফুটবলের আইকন’ বলা হয়েছে।

৩৩ বছর বয়সী বেলজিয়ান তারকা সামাজিক মাধ্যমে আবেগঘন বার্তায় লেখেন ‘প্রত্যেক গল্পেরই একটা শেষ থাকে, তবে এটা আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর অধ্যায় ছিল। ফুটবল আমাকে আপনাদের কাছে এনেছে, এই শহরে নিয়ে এসেছে। স্বপ্নের পেছনে ছুটেছিলাম, কিন্তু জানতাম না যে এই অধ্যায় আমার জীবন বদলে দেবে। এই ক্লাব, এই শহর, এই মানুষগুলো আমাকে সবকিছু দিয়েছে। আমি কেবল আমার সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি, আর আমরা একসঙ্গে সবকিছু জিতেছি। আমার স্ত্রী মিশেল, সন্তান সুরি, রোম এবং ম্যাসন্ত আমাদের পরিবারের সবার জন্যই ম্যানচেস্টার বিশেষ কিছু হয়ে থাকবে। এটি সবসময় আমাদের হৃদয়ে থাকবে।’

সিটি জানিয়েছে, মৌসুম শেষ হওয়ার আগে ডি ব্রুইনার জন্য ‘যথাযথ বিদায়ী সংবর্ধনার’ আয়োজন করা হবে। ক্লাব এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই গ্রীষ্মে ডি ব্রুইনার চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে আমরা তাকে আবেগঘন বিদায় জানাব। তিনি আমাদের ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়।’

ওলফসবুর্গ থেকে ৫৫ মিলিয়ন পাউন্ডে সিটিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই ডি ব্রুইনা ছিলেন ক্লাবের মধ্যমণি। পেপ গার্দিওলা ২০১৬ সালে কোচ হিসেবে আসার পর তার খেলা অন্য উচ্চতায় পৌঁছে যায়।

সিটির হয়ে তিনি ৪১৩ ম্যাচে ১০৬ গোল করেছেন এবং ক্লাবের হয়ে সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্ট (১১৭) দেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন।

তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চোট তাকে ভুগিয়েছে। গত মৌসুমে প্রায় পাঁচ মাস মাঠের বাইরে ছিলেন এবং এ মৌসুমেও মাত্র ১৯টি ম্যাচ শুরু করতে পেরেছেন।

ডি ব্রুইনা আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তিনি নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য উন্মুক্ত। গুঞ্জন রয়েছে, সৌদি আরবের ক্লাবগুলো তাকে দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করছে। তবে তিনি এখনও তার ভবিষ্যৎ নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলেননি।

ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ১০ বছর কাটানোর পর, ডি ব্রুইনা কেবল ক্লাবের নয়, প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হয়ে থাকবেন।