শাদাব-সরফরাজদের এজেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলো ইংল্যান্ড বোর্ড

স্পোর্টস ডেস্ক
২৯ মার্চ ২০২৫, ১১:০৩
শেয়ার :
শাদাব-সরফরাজদের এজেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলো ইংল্যান্ড বোর্ড

পাকিস্তানি ক্রিকেটার ও কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিত্বকারী এক এজেন্টের নিবন্ধন স্থগিত করেছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। মুগিস আহমাদ নামের ওই এজেন্ট ইসিবির দুর্নীতি দমন আইনের চারটি ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। মুগিস পাকিস্তানের কেন্দ্রীয়ভাবে চুক্তিবদ্ধ ৮০ শতাংশেরও বেশি ক্রিকেটার এবং বেশ কয়েকজন সাবেক তারকার এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। 

ক্রিকেট পাকিস্তানের করা এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (আইসিএ) প্রধান হলেন মুগিস ইসিবিতেও একজন খেলোয়াড় এজেন্ট হিসেবে নিবন্ধিত। ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদন্ত এবং একটি স্বাধীন দুর্নীতি দমন ট্রাইব্যুনালে শুনানির পর মুগিস ইসিবির দুর্নীতি দমন আইনের চারটি লঙ্ঘন করেছেন বলে প্রমাণিত হয়েছে। দুর্নীতি দমন ট্রাইব্যুনাল উপযুক্ত সময়ে স্থগিতাদেশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে বলে জানানো হয়েছে।

এর জেরেই লোয়াড় এজেন্ট হিসেবে মুগিসের নিবন্ধন স্থগিত করে ইংল্যান্ডের বোর্ড। আগে পাকিস্তান ক্রিকেটে আধিপত্য দেখাত ‘এসএওয়াইএ কর্পোরেশন’। বতর্মানে সেটির জায়গা দখলে নিয়েছে ‘আইসিএ’। পাকিস্তানের বর্তমানে কেন্দ্রীয় চুক্তিভুক্ত ২৫ ক্রিকেটারের ২০ জনই এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত। 

পাকিস্তানের এসব ক্রিকেটাররা হলেন- আমের জামাল, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, আবদুল্লাহ শফিক, আরাফাত মিনহাস, হাসিবুল্লাহ, জাহানদাদ খান, কামরান গুলাম, খুররম শাহজাদ, মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ হাসনাইন, মোহাম্মদ হুরায়রা, ইরফান নিয়াজি, নাসিম শাহ, নুমান আলী, শাহিবজাদা ফারহান, সাইম আইয়ুব, সাজিদ খান, শাদাব খান, সুফিয়ান মুকিম ও তৈয়ব তাহির। এরই বাইরে ইমাম-উল-হক, মোহাম্মদ হারিস, সরফরাজ আহমেদ, উসামা মীর এবং আব্দুল সামাদের মতো ক্রিকেটাররাও এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। 

পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটারদের মধ্যে আকিব জাভেদ, মোহাম্মদ হাফিজ, ওয়াহাব রিয়াজ, আব্দুল রাজ্জাক, কামরান আকমল, সোহেল তানভীর, উমর গুল, সাঈদ আজমল এবং মিসবাহ উল হকরা আইসিএ’র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এর আগে সায়া কর্পোরেশনের প্রভাব কমাতে পদক্ষেপ নিয়েছিল পিসিবি। এবার আইসিএ’র বিপক্ষে পদক্ষেপ নেয় কি না সেটিই দেখার বিষয়।