আর্চারের লজ্জা, ক্লাসেনের দ্রুততা ও অন্যান্য
আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ মাঠে নামলেই যে রেকর্ড হয়ে যায়, সেটি বোঝা গিয়েছিল গত আসরেই। ২০২৪ সালে তিন বার আড়াইশোর বেশি রান তুলেছিল এবং ছ’বার দুশোর বেশি রান তুলেছিল তারা। এবারের মৌসুমেও প্রথম ম্যাচ থেকেই আগ্রাসন দেখাতে শুরু করেছে গতবারের রানার্স আপ দলটি।
আজ নিজেদের প্রথম ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসকে ৪৪ রানে হারিয়েছে হায়দরাবাদ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৮৬ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে কমলা জার্সিধারীরা। জবাবে কম যায়নি রাজস্থানও। ম্যাচ হারলেও ২৪২ রান করে ফেলে তারা।
হায়দরাবাদ ইনিংসে এদিন রাজস্থানের হয়ে ভুড়িভুড়ি রান বিলান জোফরা আর্চার। ইংলিশ এই পেসার ৪ ওভারে খরচ করেন ৭৬ রান, পাননি কোনো উইকেট। মানে, ওভারপ্রতি ১৯ রান করে দিয়েছেন আর্চার। আইপিএলের ১৮ আসরের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড। এই টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি রান দেওয়ার তালিকায় তিনি পেছনে ফেলেছেন ভারতের পেসার মোহিত শর্মাকে। সবশেষ আসরেই গুজরাট টাইটানসের মোহিত দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ৭৩ রান খরচ করেছিলেন।
২৮৬ করতে হায়দরাবাদের হয়ে ট্রাভিস হেড ও ইশান কিশানদের পাশাপাশি আজ বড় অবদান রাখেন হেনরিখ ক্লাসেনও। এদিন মাত্র ১৪ বলে ৫টি চার ও ১ ছক্কায় ৩৪ রান করেন তিনি। এর মাধ্যমে আইপিএলে ১ হাজার রান পূর্ণ হয় এই প্রোটিয়া উইকেটকিপার ব্যাটারের।
আইপিএলে হাজার রানের তালিকায় ক্লাসেন এখন দ্বিতীয় দ্রুততম। হাজার রান করতে ক্লাসেনের খরচ হলো ৫৯৪ বল। অন্যদিকে, কলকাতা নাইট রাইডার্সের আন্দ্রে রাসেলের হাজার রান পূর্ণ করতে লেগেছিল মাত্র ৫৪৫ বল। ক্লাসেন ছাড়িয়ে গেছেন বীরেন্দর শেবাগ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও ইউসুফ পাঠানদের মতো তারকাদের।
এদিনে হায়দরাবাদের ইনিংসের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন ছিলেন ইশান কিশান। এ বছরই মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ছেড়ে হায়দরাবাদের ডেরায় ভেরেন ইশান। ৪৫ বলে সেঞ্চুরি আদায় করা এই ক্রিকেটার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৪৭ বলে ১০৬ রান করে। অভিষেকেই আজ সেঞ্চুরি পেয়ে গেলেন ভারতীয় এই ব্যাটার। ১০ বছর ও ১০৬ ম্যাচের আইপিএল ক্যারিয়ারেও এটি ইশানের প্রথম সেঞ্চুরি।
আজ আইপিএল ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করল হায়দরাবাদ। সর্বোচ্চ রান গত আসরে তাদেরই করা ২৮৭। আইপিএলে সর্বোচ্চ ৫টি দলীয় ইনিংসের চারটিই হায়দরাবাদের। তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৭৭ রান এই ক্লাবটির। চতুর্থ সর্বোচ্চ ২৭২ কলকাতার আর পঞ্চম সর্বোচ্চ ২৬৬ রানও হায়দরাবাদের।