বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালক হতে ভুয়া যোগ্যতা দেখান পুতুল

দুদকের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
২১ মার্চ ২০২৫, ০০:০০
শেয়ার :
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালক হতে ভুয়া যোগ্যতা দেখান পুতুল

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসভুক্ত ব্যাংকের সিএসআর খাত থেকে সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে সহায়তার ৩৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। একই সঙ্গে জীবন বৃত্তান্তে ভুয়া যোগ্যতা দেখিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োগ লাভের অভিযোগে পুতুলের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে আরও একটি মামলা করেছে দুদক।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপ-পরিচালক তাহাসিন মুনোবীল হক বাদী হয়ে মামলাটি দুটি দায়ের করেন। সংস্থাটির উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

পুতুল ও নজরুলের বিরুদ্ধে মামলার এজাহারে বলা হয়, তারা পরস্পর যোগসাজশে অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসভুক্ত ব্যাংকগুলোর সিএসআর ফান্ড থেকে বিধিবহির্ভূতভাবে সূচনা ফাউন্ডেশনে টাকা প্রদানের চাপ দেয়। এর ফলে ২০১৭ সালের মে মাসে ২০টি ব্যাংক বাধ্য হয়ে তাদের সিএসআর খাত থেকে ৩৩ কোটি ৫ লাখ টাকা সূচনা ফাউন্ডেশনের অনুকূলে প্রদান করে।

এই অর্থ কীভাবে ও কোন খাতে খরচ করা হয়েছে, তা জানার জন্য সূচনা ফাউন্ডেশনে দুদক থেকে চিঠি পাঠানো হলেও কোনো রেকর্ডপত্র পাওয়া যায়নি এবং দুদকের অভিযানেও প্রতিষ্ঠানটির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি বলে এজাহারে বলা হয়। ভুয়া রেকর্ডপত্রের মাধ্যমে এই অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হয়েছে। সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজের জন্য জমাকৃত অর্থ (সিএসআর ফান্ড) এভাবে অপব্যয় ও আত্মসাতের অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

আরেক মামলায় পুতুলের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ডব্লিউএচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগ আনা হয়। এজাহারে বলা হয়, তিনি এ পদে নিয়োগ লাভের উদ্দেশ্যে ডব্লিউএচও-তে ২০২৩ সালে সিভি পাঠান। এতে তিনি তৎকালীন বিএসএমএমইউর শিক্ষকতা/শিক্ষা ম্যানুয়েল রিভিউ সম্পর্কিত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ, অটিজম ও মানসিক সমস্যা সংক্রান্ত কারিগরি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করার কথা উল্লেখ করেন এবং আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োগ লাভ করেন। কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে ডব্লিউএচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োগ লাভের জন্য দাখিল করা সিভিতে জালিয়াতির মাধ্যমে মিথ্যা ও ভুয়া যোগ্যতা উল্লেখ করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়ার কথা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।