আকমলের ক্ষোভ /

বাংলাদেশও হোয়াইটওয়াশ করে যায়, প্রশ্ন করার কেউ নেই

স্পোর্টস ডেস্ক
১৪ মার্চ ২০২৫, ১৩:১৮
শেয়ার :
বাংলাদেশও হোয়াইটওয়াশ করে যায়, প্রশ্ন করার কেউ নেই

একের পর এক টুর্নামেন্টে গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নিচ্ছে একসময়ের পরাক্রমশালী পাকিস্তান। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফি; কোনোটিতেই গ্রুপপর্বের বাধা পেরোতে পারেনি পাকিস্তান। গত বছর আগস্টে টেস্টে ঘরের মাঠে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশের কাছে। বিষয়টি মানতে পারছেন না দলটির সাবেক ক্রিকেটার কামরান আকমল। 

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে কামরান বলেন, ‘আমাদের খ্যাতি তখনই ফিরে আসবে যখন আপনারা (পাকিস্তান ক্রিকেট) জিততে শুরু করবেন এবং ভালো ক্রিকেট খেলবেন। যদি আপনি কেবল নিজের জন্য খেলেন, তাহলে কারো সম্মান পাবেন না। ...বাংলাদেশের মতো দল কেন আমাদের হোয়াইটওয়াশ করে যায়, তা জিজ্ঞাসা করার কেউ কি আছে? (পিসিবি) চেয়ারম্যানের এটা জিজ্ঞাসা করা উচিত। অন্তত আইসিসি ইভেন্টে সেমিফাইনালে পৌঁছাও!’

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনলে পাকিস্তানের কোনো কর্মকর্তাকে না রাখায়ও ক্ষোভ দেখিয়েছেন আকমল, ‘আপনারা প্রাথমিক রাউন্ডেই ছিটকে যাচ্ছেন। কেউ কি কোচ, অধিনায়ক বা নির্বাচক কমিটিকে জিজ্ঞাসা করেছেন যে ক্রিকেট কীভাবে পরিচালিত হচ্ছে? যখন কোনো জবাবদিহিতা নেই, তখন ক্রিকেট কীভাবে উন্নত হবে? এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কিছু নেই। আমরা যদি জিততে পারি, তাহলে আমরা সম্মান পাব। আইসিসি আমাদের দেখিয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল অনুষ্ঠানে পিসিবির কোনো কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না। আমি সত্যিই আহত। তারা এটি এমনভাবে আয়োজন করেছিল যেন এটি আইপিএল ম্যাচ।’

স্টেডিয়াম নয় বরং খেলা এবং খেলোয়াড়দের উন্নতি করা উচিত বলেও মত আকমলের, ‘আমাদের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে যে আমরা (চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে) অর্থ পেয়েছি এবং স্টেডিয়ামগুলি উন্নত করেছি। আমরা ভাবিনি যে আমাদের ক্রিকেটও উন্নত করা দরকার। আমরা ভাবিনি যে পাকিস্তানের সম্মান কোথায় যাচ্ছে। আমি মনে করি না যতক্ষণ না কেউ এই বিষয়ে কথা না বলে তারা কোনও লজ্জা পাবে।’

পাকিস্তান ক্রিকেটের চিন্তাভাবনাই ছোট বলে মনে করেন আকমল, ‘যদি আমরা একটি সিরিজ জিততে পারি, আমরা তাতে খুশি এবং এটি আমাদের জন্য কেবল একটি অর্জন। চিন্তাভাবনা ছোট এবং তারা বড় কিছু ভাবে না। বিশ্ব ক্রিকেট এবং আমাদের দল কীভাবে খেলছে তা দেখে লজ্জা লাগে। এটি খেলোয়াড়দের ভুল নয়, বরং সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের ভুল। তারা কী ভাবে এবং দল তৈরি করে? আপনি এশিয়া কাপে ভালো করতে পারছেন না, আপনি আইসিসি ইভেন্টে কী জিতবেন?’