তিন মাসে কোটি টাকার হিসাব বেড়েছে ৫ হাজার
ব্যাংকগুলোতে বিত্তশালীদের ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা আবার বাড়তে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বর শেষে বিভিন্ন ব্যাংকে কোটি টাকার বেশি রয়েছে এমন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ২২ হাজার ৮১টি। এর মধ্যে শেষ তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) বেড়েছে ৪ হাজার ৯৫৪টি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে অর্থপাচার কমে ব্যাংকে টাকা জমা পড়ছে। যে কারণে ব্যাংকগুলোতে কোটি টাকার হিসাবের সংখ্যা বাড়ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে মোট অ্যাকাউন্টের সংখ্যা হলো ১৬ কোটি ৩২ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩২টি। এসব হিসাবে মোট আমানতের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭১১ কোটি টাকা। গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে মোট অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ২০ লাখ ২৮ হাজার ২৫৫টি। এসব হিসাবে জমা ছিল ১৮ লাখ ২৫ হাজার ৩৩ কোটি টাকা। সে হিসাবে তিন মাসে ব্যাংক খাতের হিসাব সংখ্যা বেড়েছে ১২ লাখ ১৯ হাজার ২৭৭টি। আমানতের পরিমাণ বেড়েছে ৪৫ হাজার ৬২৮ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:
আকতার পারভেজ সর্বোচ্চ ভোটে সিএসই পরিচালক
অন্যদিকে গত বছরের ডিসেম্বর শেষে এক কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে, এমন ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ২২ হাজার ৮১টি, যা তিন মাস আগে অর্থাৎ সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ছিল এক লাখ ১৭ হাজার ১২৭টি। সেই হিসেবে তিন মাসে কোটি টাকার উপরে হিসাব সংখ্যা বেড়েছে ৪ হাজার ৯৫৪টি। এর আগে গত বছরের জুন প্রান্তিকে কোটি টাকার বেশি আমানত ছিল এক লাখ ১৮ হাজার ৭৮৪টি।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, গত বছরের শেষদিকে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে ছিল। ওই সময় একশ্রেণির ব্যবসায়ী দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে অতিমুনাফা হাতিয়ে নিয়েছে। একই সময় অন্তর্বর্তী সরকার অর্থপাচার রোধে কঠোর অবস্থান নেয়। ফলে এখন দুর্নীতিবাজ ও
আরও পড়ুন:
বৃহত্তম হিমশৈল
লুটপাটকারীরা অর্থ পাচার করতে পারছে না। যার কারণে বিভিন্ন উপায়ে তারা ব্যাংকে টাকা জমা করছে। পাশাপাশি গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানপরবর্তী পরিস্থিতিতে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেওয়ার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছিল। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বেশকিছু ব্যাংকের প্রকৃত অবস্থার চিত্র প্রকাশ পায়। তাতে অনেক গ্রাহক আতঙ্কিত হয়ে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেন। এখন আবার পরিস্থিতি বুঝে ফের ব্যাংকে অর্থ জমা করছে। ফলে সার্বিকভাবে আমানত বেড়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, কোটি টাকার হিসাব মানেই কোটিপতি ব্যক্তির হিসাব নয়। কারণ ব্যাংকে এক কোটি টাকার বেশি অর্থ রাখার তালিকায় ব্যক্তি ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। আবার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কতটি ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবে, তার কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। ফলে এক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির একাধিক হিসাব আছে। পাশাপাশি অনেক সরকারি সংস্থারও কোটি টাকার হিসাব রয়েছে।
আরও পড়ুন:
কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম