ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ

ইউসুফ সোহেল ও আশিকুল হক রিফাত
১০ মার্চ ২০২৫, ০০:০০
শেয়ার :
ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ

মাগুরায় ৮ বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণসহ সারদেশে শিশু-নারী ধর্ষণ, নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে পুরো বাংলাদেশ। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ধর্ষক, নিপীড়কদের বিচার চেয়ে এসব কর্মকা- প্রতিরোধে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি তুলেছে। এ দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ হয়েছে। ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে (ঢাবি) ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণাও এসেছে। বিক্ষোভ হয়েছে দেশের অন্য অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। সোচ্চার হয়ে উঠেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠন। সামাজিক মাধ্যমেও শিশু-নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে চলছে নিন্দার ঝড়।

সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে বোনের শ্বশুর ও স্বামী কর্তৃক নৃশংস নির্যাতনের পর ৮ বছর বয়সী শিশুকে হত্যাচেষ্টার কাণ্ডে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। শিশুটির অবস্থা এখনও চরম সংকটাপন্ন। পাশবিক এ কাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে শাস্তি দাবি করে সাধারণ মানুষ, শিক্ষক-ছাত্র, আইনজীবী, গণমাধ্যমকর্মী, শোবিজ অঙ্গনের তারকা, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন; চলছে বিক্ষোভ, মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণাসহ লাঠি মিছিল।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ধর্ষণ মামলার বিচার ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করার বাধ্যবাধকতা রেখে এ সংক্রান্ত আইন সংশোধন করা হচ্ছে বলে গতকাল জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে দেখতে গতকাল সকালে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) গিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ধর্ষণের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি সরকারের। নারী হয়রানি ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানেরও নির্দেশ দেন তিনি। এর আগে উপদেষ্টা শিশুটির চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং ওর সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। ধর্ষণকা-ে দোষীরা যেন কোনোভাবেই ছাড় না পায়, এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোচ্চার রয়েছে বলেও জানান তিনি।

দেশব্যাপী ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে প্রকাশ্য মৃত্যুদ-ের দাবি জানিয়ে দিনব্যাপী উত্তাল ছিল ঢাবি ক্যাম্পাস। এ দিন ধর্ষকদের প্রকাশ্য শাস্তি দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ঢাবির বিভিন্ন বিভাগসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ দিন বিকাল ৩টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ প্ল্যাটফর্মের ব্যানারে বাঁশের লাঠি হাতে শিক্ষার্থীরা মিছিল করেন।

সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যমতে, ঢাবির ৩৬টি বিভাগ থেকে ধর্ষকদের শাস্তি দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন ঢাবি শিক্ষক নেটওয়ার্কের নেতৃবৃন্দ।

গত শনিবার রাত পৌনে ১টার পর বিক্ষোভ-মিছিলে উত্তাল হয়ে পড়ে ঢাবি ক্যাম্পাস। এ ইস্যুতে গতকাল রবিবারও দিনভর উত্তাল ছিল ঢাবি। সকালের আলো ফুটতেই শুরু হয় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের একের পর এক ক্লাস বর্জন। ৩০টিরও বেশি বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ দিন ক্লাস বর্জন করেন এবং বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। বিক্ষোভকারীরা এ দিন ঢাবি উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপিও প্রদান করেন।

ঢাবি ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাসরিন বর্ষা বলেন, আমরা নারীদের নিরাপত্তা-অনিশ্চয়তা বোধ করছি। একই সঙ্গে যারা ধর্ষণে জড়িত, তাদের সর্বোচ্চ বিচার নিশ্চিতের দাবি করছি। এমন ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, সেই ব্যবস্থাও নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ধর্ষকদের বিচারের দাবি জানিয়ে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন। শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক আলী বলেন, বিভিন্ন দীর্ঘসূত্রতার মাধ্যমে ধর্ষকদের যথাযথ বিচার খুব একটা হতে দেখি না আমরা। এ কারণে ধর্ষকরা বারবার এ ধরনের ঘৃণ্য কর্মকা-ের দুঃসাহস দেখাচ্ছে। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায়ও ধর্ষকদের পার পেয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা অতীতে আমরা দেখেছি। আমরা চাই, অনতিবিলম্বে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ধর্ষকদের বিচারের ব্যবস্থা করা হোক।

ঢাবি লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গতকাল প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দেন এ বিভাগের প্রভাষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শেহরিন আমিন ভূঁইয়া। তিনি বলেন, আমরা শুধু আইনের দোহাই দিই। কিন্তু রেপিস্টদের শাস্তি দিতে ১০ দিনের বেশি সময় লাগার কথা নয়।

দুপুরে রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ করেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) শিক্ষার্থীরা। এ সময় ঢামেক অধ্যাপক আব্দুল ওয়াহাব বলেন, যারা ধর্ষণ করে এবং যারা মদদ দেয়, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

এর আগে, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করে শিক্ষক নেটওয়ার্ক। এতে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেন, ঢাবিতে নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার জন্য সংশ্লিষ্টদের বিচার দাবি করছি। সমাবেশে শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে ৯ দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো- জননিরাপত্তা দানে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে দায় স্বীকারপূর্বক পদত্যাগ করতে হবে; সারাদেশে অব্যাহত ধর্ষণ, নারী নিপীড়ন, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে; সারাদেশে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ ও নিপীড়নের সব ঘটনার বিচার নিশ্চিত করতে হবে; প্রয়োজনে ধর্ষণকা-ের বিচারে পৃথক ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে; সংশ্লিষ্ট অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে ধর্ষণ ও নারী-নিপীড়ন প্রতিরোধের আইনসমূহে প্রয়োজনীয় যৌক্তিক সংযোজন, বিয়োজন ও সংশোধন করতে হবে। সমাবেশে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ অংশ নেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, নারী নিপীড়নকারীদের বিচার হচ্ছে না বলেই সহিংসতা বাড়ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইন-কাঠামো তাদের বিচারে ব্যর্থ হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণও দাবি করেন তারা। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা নারীদের ওপর ধর্ষণ ও নিপীড়নের প্রতিবাদে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন। যতদিন পর্যন্ত নতুন বাংলাদেশের লক্ষ্য বাস্তবায়ন না হয়, ততদিন রাজপথ না ছাড়ার ঘোষণা দেন শিক্ষকরা।

সারাদেশে অব্যাহত ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় নারী উপদেষ্টাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক তাসনীম মাহবুব সিরাজ বলেন, নারী উপদেষ্টারা কোথায়? তারা কী আদৌ আছেন? দেশে কী ঘটছে, সে ব্যাপারে ওনারা কী সচেতন?

সমাবেশে সভাপ্রধানের বক্তব্যে ঢাবি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন বলেন, গৃহ থেকে শুরু করে জনপরিসরে নারীকে নিপীড়ন করা হচ্ছে। এটা হঠাৎ করে হচ্ছে না। সমাজ এই নির্যাতনকে স্বাভাবিকীকরণ করছে। বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ভূমিকা বেড়েছে। কিন্তু নির্যাতন টিকে আছে। ধর্ষণের শাস্তি পাওয়া অপরাধীও জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছে। নির্যাতন যাদের থামানোর কথা, তারা চোখ বন্ধ করে রাখছে। নারী নির্যাতনের ভেতর দিয়ে মানুষকে দমিয়ে রাখা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের আয়োজনে একই ধরনের প্রতিবাদী সমাবেশ নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থীরাও গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ-সহ ছয়টি দাবি উত্থাপন করেন।

রাতে ফের রাজু ভাস্কর্যের বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল : পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ গঠন, সকল ধর্ষণের বিচার ও মাগুরায় শিশু ধর্ষণকারীর মৃত্যুদ- কার্যকরের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম শেষে ফের গতকাল রবিবার রাত ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিল করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা।

দুই দফা দাবিতে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ গঠন : নারীর প্রতি সংঘটিত ধর্ষণ নিপীড়ন, নারীবিদ্বেষী মব ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি রুখতে ঢাবির নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত হয়েছে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ। এ মঞ্চ থেকে গতকাল সকল ধর্ষণের বিচার ও মাগুরায় শিশু ধর্ষণকারীর মৃত্যুদ- কার্যকরের দাবি তুলে ধরা হয়েছে।

ধর্ষণকারীদের বিচার চায় সাদা দল : নারীর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নারী ও শিশু ধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ঢাবির বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। গতকাল রবিবার সংগঠনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম এবং অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

আজ সারাদেশে ছাত্রদলের মানববন্ধন : দেশব্যাপী নারীদের ওপর সহিংসতা, নিপীড়ন, ধর্ষণ, অনলাইনে হেনস্তা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবনতি ও বিচারহীনতার প্রতিবাদে আজ সোমবার সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে ছাত্রদল। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

এ ছাড়া ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- নিশ্চিত করা এবং শিশু ও নারীদের যথাযথ নিরাপত্তার দাবিতে ক্যাম্পাসের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) এবং জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবিপ্রবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেন রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ইসলামী বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন। মাগুরা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরাও পথে নেমে আসেন। দেশে ধর্ষণ-নিপীড়ন বৃদ্ধির কা-ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। নারী নির্যাতনসহ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে সংগঠনটি।

আসামিপক্ষে না দাঁড়ানোর ঘোষণা আইনজীবীদের : ধর্ষকদের ফাঁসি দাবি করে আসামিপক্ষে না দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন আইনজীবীরা। রবিবার দুপুরে মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ইসলামী আন্দোলনের উদ্বেগ : গতকাল রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনূস আহমাদ মাগুরায় শিশু ধর্ষণসহ সাম্প্রতিক বৃদ্ধি পাওয়া ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

শাস্তি দাবিতে হেফাজতে ইসলামের বিবৃতি : এক বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ধর্ষকদের প্রকাশ্য শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান।

বিচার চান শাকিব খান : মাগুরায় ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদ ও দোষীদের বিচার চেয়েছেন ঢালিউডের শীর্ষ তারকা শাকিব খান।